করোনা পরিস্হিতি ভয়াবহ ত্রিপুরায়, আদালতের নজিরবিহীন নোটিশ রাজ্যকে
বিপ্লব বৈদ্য , আগরতলা : করোনা পরিস্হিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে ত্রিপুরায়। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্হা রাজধানী আগরতলা সমেত গোটা পশ্চিম জেলায়। শনিবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৬ জনের।মৃত্যুর গড় হিসাবে উত্তর - পূর্বাঞ্চলে শীর্ষে ত্রিপুরা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজারের কাছাকাছি। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একেবারেই ব্যর্থ সরকার। দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চাইছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের অনেকেই। স্বাস্থ্য পরিষেবার এই অব্যবস্হা দেখে স্বঃপ্রনোদিত মামলা নিয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্ট । হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ.এ কুরেশি এবং বিচারপতি শুভাশীষ তলাপাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশার কারন জানতে চেয়ে পনেরটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করেছে শুক্রবার । সাত দিনের মধ্যে উত্তর জানানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে উচ্চ আদালত। অন্যদিকে রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবিপি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহে গোলযোগ দেখা দেওয়ায় শুক্রবার গভীর রাতে জিবি - তে গিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ পুনরায় স্বাভাবিক করে দেন রাতুল দে নামে এক প্রকৌশলি। বিপ্লব দেব বিরোধী হিসাবে পরিচিত বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন - র সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে বিনে পয়সায় অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক করেও সরকারের রোষানলে পড়েছেন রাতুল বাবু। রাতুল বাবুর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ আনলেন জিবিপি হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারপার্সন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। রাজ্যের একমাত্র বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রাতুল বাবু কয়দিন আগেও জিবি হাসপাতালে অক্সিজেনের পাইপ লাইন সারাই করে দিয়েছিলেন বিনে পয়সায়। শুক্রবার রাতেও হাসপাতালের এক চিকিৎসক রাতুল বাবুকে ফোনে ডাকেন বলেও জানান তিনি।
কোন মন্তব্য নেই