Header Ads

করিমগঞ্জ, শিলচর কি অসমের মধ্যে নয়, বিধানসভায় প্রশ্ন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : গত মার্চ মাস থেকে মারণ রোগ করোনা সংক্রমণের ফলে সাধারণ শ্রমজীবী গরিব মানুষের অবস্থা শোচনীয়  লকডাউনের ফলে অধিকাংশ মানুষ ঘরবন্দি অবস্থায়। ৫ থেকে ৬ মাস ঘরে বসে, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ চরম দুর্দশার মধ্যে আছেন। আজ বিধানসভাতে সরকার অত্যন্ত দায়সারা গোছের জবাব দিয়ে জানালো অসংগঠিত শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে  শ্রম প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় কিষানের ভাষায় প্রণালিবদ্ধ তথ্য অর্থাৎ ডাটাবেস প্রস্তুত করা হচ্ছে। এক কল্যাণকামী সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী করোনা বিপর্যস্ত, চরম দুর্দশাগ্রস্ত গরিব শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়ে মাস বাদ বলছেন,  ডাটা প্রস্তুত করা হচ্ছে একথাও বলেন, টাকার কোনো অভাব নেই। সরকার গৃহ শ্রমিক ও অন্যান্য শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের অধীন নথিভুক্ত ,২১,৩৭৪ জন শ্রমিককে সরকার হাজার টাকা করে দিয়েছে। কিন্তু অসংগঠিত গরিব শ্রমিক মৃৎ শিল্পী, ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বাজনা বাদক,  রিক্সাওয়ালা, অটোওয়ালা প্রভৃতি গরিব শ্রমিকদের কল্যাণে সরকার কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে? উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাখ্য দে পুরকায়স্থ এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এই শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে কমলাখ্য বলেন, সরকার বলছে, টাকা আছেঅথচ অর্থের অভাবে মানুষ মরছে  বাইরে থেকে লক্ষের বেশি শ্রমিক এই রাজ্যে এসেছেআজও জবকার্ড দেওয়া হয়নি। এই রোগ কমার কোনো লক্ষণ নেই। তারা ফিরে যাবে না। বরাকের আর্থিক দুরাবস্থা তুলে ধরে বলেন, সেখানে ১০ দিন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে দিন আনা দিন খাওয়া গরিব মানুষের আয় নেই অভুক্ত অবস্থায় দিন যাপন করছে। মানুষ মারা যাচ্ছেতিনি অভিযোগ করেন, করোনা নিয়ে রাজনীতি চলছে। কংগ্রেসের জাকির হোসেন শিকদার প্রমুখ শ্রমমন্ত্রী জবাবে বলেন, আজও সরকার শ্রমিকদের জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ন্যুনতম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী বলেন, সরকার লক্ষ শ্রমিককে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। দক্ষতা বিকাশ বিভাগ তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। আজ বিধানসভাতে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী রঞ্জিত দত্তের এক জবাবে সদন উত্তপ্ত হয়ে উঠে  বিধানসভাতে কমলাখ্য দে পুরকায়স্থ দৈনিক যুগোশঙ্খে প্রকাশিত এক খবরের দৃষ্টি আর্কষণ করে বলেন, রাজ্যে সংখ্যালঘু ছাত্রদের বৃত্তি প্রদানের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে সরকার এই দুর্নীতি নির্মূল করতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে?  জবাবে মন্ত্রী বলেন, করিমগঞ্জ, শিলচর, বরপেটা, মারীগাঁও, নগাঁও প্রভৃতি জেলাতে এই দুর্নীতি ধরা পড়েছে অসমে  নেই। সঙ্গে সঙ্গে কমলাখ্য প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন,  করিমগঞ্জ, শিলচর কি অসমের মধ্যে পড়ে না? মন্ত্রী জবাবে বলেন, উজান অসমে একটিও দুর্নীতি নেই। তিনি জানান, এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে ব্যাংক অফিসার পর্যন্ত জড়িয়ে আছেকেউ ছাড় পাবে নাসরকার হাত গুটিয়ে বসে নেই। ইতিমধ্যে এফআইআর করা হয়েছেসিআইডি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.