নির্বাচনের আগে অরুনোদয় প্রকল্পের মাধ্যমে সব ভোটারদের মন ছুঁতে চায় বিজেপি
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমে আগামী বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত মার্চ
এপ্রিল মাসে। তার আগে আগামী ২ অক্টোবর থেকে সরকারের এক অভিনব জনপ্রিয় কর্মসূচি
শুরু হচ্ছে, যা আগামী নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে। অরুনোদয় নামে কর্মসূচিতে দরিদ্র পরিবারের বিধবা,
বাড়ির অবিবাহিত মহিলা,
বিবাহ বিচ্ছিন্ন মহিলা ও বাড়ির
প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্যকে মাসে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আগামী
নভেম্বর মাস থেকে বাড়ির পুরুষ নয় মহিলাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরকার টাকা জমা দেবে।
আজ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিজেপির চক্রধর গগৈয়ের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একথা জানান। তিনি বলেন, যাদের বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকার বেশি,
যাদের ঘরে ফ্রীজ আছে, নিজের কেনা
ট্রাক্টর আছে, চার চাকার গাড়ি আছে, ১৫ বিঘার বেশি জমি
থাকা পরিবারের মানুষ এই টাকা পাবেন না। পরিবারের কোনো সদস্য সরকারি চাকরি পেলে বা সরকারি পেনশন
পেলে সুবিধা পাবে না। তবে কুশল কোয়র, ইন্দিরা মিরি সাহায্য নিধি থেকে পেনশন বা আর্থিক সাহায্য পাওয়া মহিলাদের
ক্ষেত্রে তা বাধা হবে না। কোনো জনহিতকর সংস্থা থেকে পাওয়া ট্রাক্টরের ক্ষেত্রেও
বাধা হবে না। তবে নিজে কেনা ট্রাক্টর থাকলে অরুনোদয় কল্যানমূলক
কর্মসূচির আর্থিক সাহায্য পাবেন না। এই অর্থ পেতে কোনো প্রমাণ পত্র লাগবে না গ্রাম
বুড়ো, পঞ্চায়েত প্রধান কারও
অনুমতির প্রয়োজন নেই। নিজের প্রত্যায়িত নিদিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। যাতে কোনো ভুল তথ্য না থাকে। ভুল প্রমাণিত হলে
জেলার ডেপুটি কমিশনাররা আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এক সিলেকশন প্রক্রিয়ার
মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করা হবে। ১৫ হাজার টাকার উপরে পূজা, বিহু,
বিদ্যালয়ে পরীক্ষা,
প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্যা
প্রভৃতি সময় অতিরিক্ত এক হাজার টাকা দেওয়া হবে। এই সাহায্যের পরিমাণ বছরে বছরে
বাড়তে থাকবে। মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দারিদ্র সীমারেখার নীচের প্রায় ১৯ লক্ষ পরিবারকে ঔষুধপত্র কেনার জন্য ৪০০ টাকা, ৪ কেজি ডাল কেনার
জন্য ২০০ টাকা, চার কেজি চিনি
কিনতে ৮০ টাকা এবং ১৫০ টাকা শাক-সব্জি কেনার জন্য ৮৩০ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা
হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার তলের মানুষ তো রেশনে ভর্তুকি মূল্যে চাল পাচ্ছেই।
কোন মন্তব্য নেই