Header Ads

মহাসড়ক নিয়ে কুম্ভনিদ্রায় সরকার, মান্দারদিসাতে বসছে টোল গেট !

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, হাফলং : দীর্ঘ প্রায় দুই তিন বছর আগেই পার্বত্য জেলার মান্দারদিসার পুরানা বাজার এবং নতুন বাজারের মাঝখানে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইণ্ডিয়া টোল গেট বানাতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। এমনকি স্ট্রিট লাইট পর্যন্ত বসানোর কাজ সেরে ফেলা হয়। বাকি ছিল টোল কালেকশনের ঘর নির্মাণ। আর ইতিমধ্যে তাও সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। চলছে রঙের প্রলেপ। তথ্য মতে সব কাজ শেষ এবার অপেক্ষা শুভারম্ভের। জানা গেছে সব ঠিকঠাক থাকলে আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে টোল গেট কার্যকরী হবে।

মহাসড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ পাহাড়ের মান্দারদিসা থেকে হারাঙ্গাজাও অবধি মহাসড়ক নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে। তবে প্রায় দেড় দশকে কর্তৃপক্ষ মান্দারদিসা থেকে জাটিঙ্গা শতাধিক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে সক্ষম হয় নি। কিন্তু এবার সাধারণ জনগণের পকেট কাটতে উদ্যোত হয়েছে নাহাই এবং এতে রাজ্য সরকার নাহাইকে সম্পূর্ণ সহযোগ করছে। আর তাই এবার পার্বত্য জেলার মান্দারদিসার টোল গেট প্রস্তুত করে তোলা হয়েছে।  সম্ভবতঃ অক্টোবরের প্রথম দিন থেকে টোল কালেকশন আরম্ভ হবে। অথচ মান্দারদিসা থেকে মাহুরের ইনরিমবাংলো পর্যন্ত কাগজে কলমে মহাসড়ক সম্পূর্ণ বা সচল রয়েছে। বাস্তবে মাইবাঙ থেকে হাতিখালী পর্যন্ত মহাসড়কে একাধিক জায়গায় সড়কপথ ভেঙে বসে যাওয়ার আজ বছর দুই বছর অতিক্রম করেছে। কিন্তু পরিতাপের কথা হলো সড়ক পুনঃসংস্কারে গুরুত্ব দেওয়ার বিপরীতে জনদরদী সরকার জনগণের পকেট কাটার আগাম প্ল্যানে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আরও জানা গেছে মান্দারদিসার পর কালাচান্দের মানেগিপুরেও পাহাড়ের দ্বিতীয় টোল গেট বসানো হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের প্রথমার্ধে কালাচান্দ এবং মুপার মাঝখানে প্রায় দেড় থেকে দুশো মিটার এলাকা জুড়ে মহাসড়কে প্রথমে ফাটল দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে বিশাল এলাকাজুড়ে সড়ক ভেঙে চৌচির হয়ে বসে যায়। এরপর গত বছর মুপা এবং লাংটিঙের মাঝখানেও সেই প্রায় একশো মিটার পথ অনুরূপ ভাবে বসে যায়। এরপর লাংটিং হাতিখালীর মধ্যেও পঞ্চাশ মিটারের অধিক এলাকা মহাসড়ক নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তবে বলা বাহুল্য বছরের পর বছর আসলেও নাহাই আজ অবধি সড়ক নির্মাণ করতে পারেনি। যদিও স্থানীয় ভাবে জনৈক ঠিকাদারী সংস্থাকে দায়িত্ব দিলেও সাধারণ জনগণকে সাবওয়ে ধরে চলাচল করতে হচ্ছে। 

অথচ মান্দারদিসাতে টোল গেট নির্মাণের কাজ দিন রাত চলছে। কারণ এখন থেকে চার চাকার ছোট গাড়ি নিয়ে মাইবাঙ বা লাংটিং থেকে লামডিং আসা যাওয়া করলে কমপক্ষে দেড়শো টাকা দিতে হবে।  

সাধারণ জনগণের ভাষ্য হলো টোল দিতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে আগে নাহাই বা সরকার এক ভালো সড়ক উপহার দিক। কারণ সড়কের উপর কালো আস্তরণ রয়েছে যদিও কিন্তু প্রথমতঃ সড়ক পথের অ্যালাইনমেন্ট নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এমনকি সড়কের উপরের ভাগ সমান নয়। এরমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় সড়ক ভাঙা থাকায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অনেক কষ্ট হয় এবং গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সড়ক ঝকঝকে করে টোল নিলে জনগনের আপত্তি থাকবে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.