Header Ads

গোয়ালপাড়ায় নবনির্মিত ডিটেনশন ক্যাম্প কাদের জন্য, প্রশ্ন শ্যামল সরকারের



নয়া ঠাহর প্রতিবেদন,গুয়াহাটিঃ কয়েকদশক ধরে রাজ্য রাজনীতি গরম হয়ে আছে বিদেশী সমস্যা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে। উল্লেখযােগ্য যে এই বিদেশী ইস্যুকে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করেই অগপ দল একাধিকবার রাজ্যের শাসনভার দখল করতে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু অসম বিদেশী মুক্ত হয়নি এই অভিযােগ আসু সহ অসমের বেশকিছু জাতীয়তাবাদী দল সংগঠনের। অসম বিদেশী মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই দেশের মধ্যে অসমেই সর্বপ্রথম জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর কাজ আরম্ভ করা হয় এবং যা এখনও চলছে। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার নতুন ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করছেন! এই সম্পর্কে মতামত, প্রতিক্রিয়া জানবার জন্য যােগাযােগ করা হয়েছিল রাজ্যে সুদীর্ঘ দিন থেকে বাঙালিদের হয়ে বিভিন্ন সময়ে লড়াই করা কয়েকজন। নেতার সাথে সারা বিটিসি বাঙালি যুবছাত্র ফেডারেশনের মুখ্য উপদেষ্টা শ্যামল সরকার বলেন যে হিন্দু বাঙালিদের সাথে চূড়ান্ত প্রতারণা করেছে বর্তমানের কেন্দ্র ও রাজ্যে শাসক দল বিজেপি সরকার। দেশের প্রধানমন্ত্রী তাে ঘােষণা করেছিলেন ডিটেনশন ক্যাম্প ভেঙে দেবেন বলে কিন্তু দুঃখের বিষয় যে এখন তারাই কাৰ্যকালে ৪৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে কয়েক শ বিঘা জমি নিয়ে যা প্রায় ৭টি বিশাল ফুটবল মাঠের সমান হবে এবং যেখানে ৩০০০ বিদেশী ঘােষিতদেরকে বন্দী করে রাখা হবে। আগামী দু তিন মাসের মধ্যে উক্ত নবনির্মিত ডিটেনশন ক্যাম্পটির উদ্বোধনও করা হবে। এসব প্রস্তুতি কাদের জন্য? বলে শ্যামল বাবু প্রশ্ন করেন৷

সারা অসম বাঙালি ঐক্যমঞ্চের কার্যকরী সভাপতি শান্তনু মুখার্জী র মতে রাজ্যে হিটলারের শাসন চলছে৷ গায়ের জোরে প্রকৃত ভারতীয়দের বিদেশী বানানাে হচ্ছে শুধুমাত্র বাঙালি বলেই। বাঙালি মানেই যদি বাংলাদেশী হয় তাহলে আজকের দিনেও বাংলাদেশে প্রচুর অসমিয়া,বড়াে,গারাে,মনিপুরী,চাকমা,হাজং,কোচ,রাজবংশী,আদিবাসী সমেত আরও অন্যান্য জনগােষ্ঠীয় মানুষ বসবাস করছে যাদের বংশােদ্ভূতরা অসম সহ ভারতের অন্যান্য প্রান্তে বসবাসকারীরা নিজেদেরকে আদি বাসিন্দা বলে কিভাবে দাবী করে! যারা একই জনগােষ্ঠী, একই উপাধি এবং একই ভাষাগােষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। তা হলে ডিটেনশন ক্যাম্প শুধুমাত্র বাঙালিদের জন্য অন্যদের জন্য নয় কেন? "নতুন ডিটেনশন ক্যাম্প বিজেপির প্রতি বাঙালিদের প্রাণভরা ভালােবাসার উপহার" বলে মন্তব্য করেন শান্তনু মুখার্জী।

"ডিটেনশন ক্যাম্প বাঙালি হত্যা করা একটি কারখানা, যা এতােদিন ছােট্ট ছিলাে এখন বিজেপি আমলের সরকার বৃহদাকারে রূপান্তরিত করতে চলেছে এই মন্তব্য রঙিয়া বাঙালি জনমঞ্চের সভাপতি সুরজিৎ পালের। কথা প্রসঙ্গে ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকাকালীন মৃত্যু বরণ করা দুলাল পাল,ফালু দাস সহ অন্যান্যদের কথা বলেন, যারা আদৌ বিদেশী নন বা বিদেশী ছিলেন না। বাঙালিদের রক্ত তথা প্রাণের সরকারের বেলায়ই তাে লাইটপােষ্টে "ডি" নােটিশ ঝােলানাে হয়েছ৷ ১৯৮৩ র আন্দোলনই হােক। বা শিলাপাথার কাণ্ড নগাঁও কাণ্ড বা ‘কা’ বিরােধী আন্দোলনই হােক না কেন বিভিন্ন সময় সংগঠিত বিভিন্ন ঘটনার অজুহাতে নিরপরাধী বাঙালিদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির ধ্বংস করা হয়েছিল তাদের কয়টা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে বর্তমানের সরকার সাহায্য করেছে তা কেউ বলতে পারবে কি? সরকারের উদ্দেশ্যে প্ৰশ্ন ছুড়ে দিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুরজিৎ পাল। অবশ্য বাঙালিদের সাথে প্রতারণার উত্তর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাঙালিরা কড়ায় গণ্ডায় চোকাবে বলেও মন্তব্য করেন রঙিয়া জনমঞ্চের সভাপতি সুরজিৎ পাল।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.