Header Ads

গ্রহণযোগ্যতা প্রাপ্তির পথে ভাগপ

 


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটীঃ রাজ্যের বিশিষ্ট গণশিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাসের নাতি সুবিমল বিশ্বাসের নেতৃত্বে নিষ্পেষিত, শোষিত, অবহেলিত জনসাধারণের রাজনৈতিক ন্যায্য প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে গত ২০১৫ সালে গঠন হয়েছিলো রাজনৈতিক দল ভারতীয় গন পরিষদ। বিশিষ্ট ভাষা সেনানি মনিন্দ্র রায়, একগুচ্ছ গরীবদরদী সমাজহিতৈষীদের দিয়ে গঠিত ভারতীয় গণপরিষদ প্রথম অর্থাৎ ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ১২০০ ভোটের জন্য বিজনী সিটে পরাজিত হয়ে সকলকে চমকে দেয়া প্রচন্ড মোদি হাওয়ার মধ্যেও বিজনী বিধানসভা কেন্দ্রে যুবনেতা অজয় রায় প্রতিপক্ষের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলো। গত ২০১৬ সালের জাগিরোড বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা বর্তমান দলের সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন। যে "সর্ব ভারতীয় রাজনৈতিক দলের মিথ্যাচার, প্রতারণায় অথিষ্ট হয়ে নিষ্পেষিত, শোষিত, লাঞ্ছিত, বঞ্ছিত, গরীব মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে গেছে৷ একদিকে, পেটের ভাত যোগাযোগের তাড়না, অন্যদিকে "ডি" সন্ত্রাসবাদের যাতনা৷ এইসব গরীব অসহায় মানুষ আমাদেরকে নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী, তদরূপ আমরাও যথাসাধ্য চেষ্টা করবো যাতে এই গরীব অসহায়দের আমরা উদ্ধার করতে পারি"সুকান্ত বাবু আরও জানান যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণ করা ভাগপ দল অন্নপ্রাশন সম্পূর্ণ করে এখন মোটামুটি গুটি গুটি হাটতে সক্ষমতা অর্জন করেছে। জনসাধারণ চাইলে আগামীতে বিধানসভায় প্রবেশ করতেও সক্ষম হবে। উল্লেখযোগ্য যে বাঙালি হিন্দুর নেতৃত্বে জাতি-জনগাষ্ঠী, ভাষা-ধর্ম ভেদাভেদ না করে সকলকে নিয়ে গঠিত ভারতীয় গণপরিষদ দলটির উত্থানে শংকিত একটি মহল ভাগপ দলকে বাঙালির দল বলে প্রচার চালাচ্ছে, যা আদৌ সত্য নয়। কারন গত ২০১৬-র বিধানসভার নির্বাচনে দল শুধুমাত্র বাঙালি নয় অন্যান্যদেরকেও প্রার্থিত্ব প্রদান করেছিল। উল্লেখযোগ্য যে বাঙালিরা কংগ্রেসের প্রতি রুষ্ট হয়ে বর্তমানের শাসনাধিষ্টত দলকে সমর্থন করেছিল শুধুমাত্র শান্তিতে রাতের ঘুমের আশায় কিন্তু রাতের ঘুমতো দূরেরই কথা এখন পাইকারীহারে এনআরসি ছুট, ৬নং দফার অন্ধকার মেঘাছন্নরূপী ভবিষ্যত নিয়ে এখন শংকিত সমগ্র বাঙালি সমাজ৷ তাই কংগ্রেস, বিজেপি নয় এইবার বিজিপিই একমাত্র ভরসা বাঙালিদের কাছে। অবশ্য যুব সমাজ যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে এগিয়ে আসাটা এক শুভ লক্ষণ বলে মন্তব্য করেন প্রতিষ্ঠাপক সভাপতি সুবিমল বিশ্বাস।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.