Header Ads

ঢেকিয়াজুলির ঠেলামারা গ্রামে আজও কারফিউ বলবৎ, মুখ্যমন্ত্রী ডিজিপি-কে তদন্তের নির্দেশ


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অযোধ্যাতে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে উৎফুল্লিত হয়ে অসমের মঠ,   মন্দির, নামঘরে  হিন্দুধর্মালম্বী  লোক যখন প্রদীপ জ্বালিয়ে, সংকীত্তন করে  রাম বন্দনা করছিলেন, তখন শোণিতপুর জেলার তেজপুরের ঢেকিয়াজুলি ঠেলামারার গরুদুবা গ্রামে শিব মন্দিরে প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে বজরং দলের সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশ যুবকের বচসা থেকে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় ১২ জন আহত, ৯ টি গাড়ি ভস্মিভুত হয়। এডিজিপি জি পি সিং একথা জানিয়ে বলেন, কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। গতকালের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। গতকাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশকে লাঠি চার্জ করতে হয়। শূন্যে গুলি ছুড়তে হয়। রাতে পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী নেমেছে, রাত থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আজও অব্যাহত আছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল এই ঘটনার তদন্তের জন্য  ডিজিপি  ভাস্করজ্যোতি মহন্তকে নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখার জন্যে আহ্বাষ জানিয়েছেন। তিনি আজ পানবাজার পুলিশ থানার নব নির্মিত ভবনের দ্বারোটঘাটান করে এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার বরাক ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মানুষের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি  বজায় রাখা, প্রধানমন্ত্রীর 'সব কা সাথ, সব কা  বিকাশ' আমাদের মূল মন্ত্র। লকডাউনের সময় ১৪৪ জারি আছে, তার মধ্যে বজরং দল কি করে শোভাযাত্রা বার করলো? এই প্রশ্ন তুলেছে আমসু, আসু, জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ প্রভৃতি সংগঠন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বলেছেন, গতকাল বজরং দলের কোনো প্রোগ্রাম গরুদুবা  গ্রামে ছিল না। ভক্তরা শিব মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিল। গতকালের ঘটনা   সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে বলে আসুর সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ অভিযোগ করেছেন। তিনি  উচ্চ পর্যায়ের  তদন্তের দাবি জানান। জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদের নেতা পলাশ চাংমা ও একই দাবি জানান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.