Header Ads

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে বঙ্গ সফরে আসছেন কৈলাস !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
দেশে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা কেউ বাংলায় পা রাখেননি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই পাঁচ মাসে রাজ্য বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় করোনা ভাইরাসের গতিতে। দলের একাংশের যদিও দাবি, বিষয়টি নিছকই কাকতালীয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুপস্থিতির সঙ্গে এর যোগসূত্র নেই। তবে রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাই ঘনিষ্ঠমহলে বলছেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ এবং অরবিন্দ মেননদের মতো শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়মিত ৬ মুরলীধর সেন লেনে আনাগোনা থাকলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এতটা প্রকট হয়তো হত না। সূত্রের খবর, সেই দ্বন্দ্ব সামাল দিতেই আগামী সপ্তাহে কৈলাস উড়ে আসছেন কলকাতায়। রাজ্য বিজেপির যুযুধান দুই গোষ্ঠীকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি।
 
দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, 'বাংলায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে না উঠলে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এখনই করোনার ঝুঁকি নিয়ে কলকাতায় আসতেন না।' আর এক নেতার বক্তব্য, 'বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসছে। এখন আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে হবে। কিন্তু তার বদলে আমরা নিজেরা নিজেদের সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত। লাগাম টানতেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় তড়িঘড়ি আসছেন বাংলায়।' রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর যদিও দাবি, 'এতদিন লকডাউনের কারণে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আসতে পারছিলেন না। এখন আনলক চলছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এ বার কেন্দ্রীয় নেতারা আসা শুরু করবেন। আমাদের পার্টিতে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।'
এর আগে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল মুকুল রায়ের। কিন্তু অমিত করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় মুকুলও দিল্লি সফর বাতিল করেন। সূত্রের খবর, কৈলাস কলকাতায় এসে দিলীপ-মুকুলদের নিয়ে বৈঠক করবেন ঠিকই, তবে যতক্ষণ না অমিত শাহের সঙ্গে মুকুলের একান্ত বৈঠক হচ্ছে, ততক্ষণ রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আগুন ধিক ধিক করে জ্বলতেই থাকবে। মুকুলের নিজের কথায়, 'কৈলাসজি আসছেন শুনেছি। এর থেকে বেশি কিছু জানি না।' এরই মধ্যে ১৬ অগস্ট রাজ্যের প্রতিটি বুথে 'গণতন্ত্র বাঁচাও' কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যে দলের ৯৮ জন শহিদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করারও কথা বিজেপি নেতাদের।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.