Header Ads

মমতার কড়া নির্দেশ শুভেন্দুকে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
শুভেন্দু অধিকারীর গতিপ্রকৃতি যখন একদিকে নজরে রাখার চেষ্টায় রয়েছে তৃণমূল শিবির, অন্যদিকে তখন লুকোচুরির মেজাজে রয়েছেন নন্দীগ্রামের 'মেজদা'। সবমিলিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। সূত্রের দাবি,২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে যখন সমস্ত পক্ষ নিজের ঘর গোছাতে ব্যস্ত, তখন দলের একাংশকে অন্ধকারে রেখে শুভেন্দুর এই 'একলা চলা'কে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না পার্থবাবুরা। এই প্রেক্ষাপটে এবার তৃণমূলের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকে দেওয়া হল কড়া বার্তা।
 
বিশ্ব আদিবাসী দিবস তথা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বর্ষপূর্তির একাধিক অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ থাকায় ঝাড়গ্রামে সরকারি অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেই বার্তা দিয়ে ঝাড়গ্রামের পিয়ালগেড়িয়া ফুটবল ময়দানে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
হুল দিবসে ও আদিবাসী দিবসের পর পর দুটি অনুষ্ঠানেই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাজির ছিলেন। আর বেছে বেছে সেই অনুষ্ঠানেই শুভেন্দুর অনুপস্থিতি রীতিমতো অস্বস্তিতে রেখেছে তৃণমূলকে।
এদিকে, গত রবিবার মহিষাদল শহিদ বেদিতে শুভেন্দু অধিকারী শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করতে যান। তাঁর এই কর্মসূচি সম্পর্কে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানতই না। জল্পনার কারণ, শাসক দলের নেতা থেকে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, কাউকে না জানিয়েই তিনি একা হাজির হন কর্মসূচি পালনে। এবার তাঁর পাশে দেখা যয়ানি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদেরও।
শুভেন্দুর এ হেন গতিবিধিতে রীতিমতো অস্বস্তিতে দল। আর সেই কারণেই শুভেন্দু অধিকারীকে এবার বড়সড় বার্তা দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল জানিয়েছে, দল ও সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠানে যেন হাজির থাকেন শুভেন্দু অধিকারী । কারণ রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে রয়েছেন।
সূত্রের খবর,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় শুভেন্দু অধিকারীকের জানিয়েছেন , সুষ্ঠুভাবে যেন মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব তিনি পালন করেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর থেকে আসা এই বার্তায় শুভেন্দু অধিকারী এবার কোনপথে হাঁটেন সেদিকে নজর সকলের।
চাঞ্চল্যকর কোনো খবর উঠে আসার সময় খুব নিকটেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.