Header Ads

রাম-রাজনীতি ও ধর্মীয় রাজনীতির দ্বিচারিতা !!

 বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

জানি, এ প্রসঙ্গটি আগুনে আঙুল ঠেকানোর মতোই যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ । তবু এ প্রসঙ্গে একেবারে চুপচাপ থাকাটা যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে না, তাই একই সঙ্গে মারাত্মক স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল এই প্রসঙ্গের অবতারণা। রাম সম্পর্কে আমার খুবই সংক্ষিপ্ত এবং দৃঢ় ধারণাটিকে স্পষ্ট করে দিতে চাই। আমার ধারণায়--‘রাম’ মানুষেরই আরোপিত দেবত্বের একটি অলৌকিক ধারণা ও বিশ্বাস ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রকৃতপক্ষে তেত্রিশ কোটি দেব-দেবীর জন্মই মানুষের ধারণা ও বিশ্বাসের মধ্যেই।

মানুষকে এই বিশ্বাস ও ধারণার দিকে তাড়িত করেছে আমাদের চারপাশের প্রকৃতি। মানব যখন সভ্যভব্য হয়নি--পোশাক-পরিচ্ছদ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয় নি, জল-অরণ্যের কাঁচা মাংস এবং ফলমূল নির্ভর জীবন যাপন করছে তখনও কিন্তু মারাত্মকভাবে বজ্রপাত হত, দাবানল হত, সুনামি জলোচ্ছ্বাস-প্লাবন-বন্যা হত, ঝড়-তুফান-হারিকেনও হত--লণ্ডভন্ড হয়ে যেত চরাচর। তখন থেকেই মানুষ একটা বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিল। তারা ভাবতো--একটা পাথর ভাঙতে গেলে বা একটা হিংস্র পশু শিকার করতে গেলে মানুষেরই যেখানে বিপুল শক্তি ও বুদ্ধি লাগে সেখানে অদৃশ্য থেকে যিনি বজ্র ছুঁড়ছেন, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে যিনি চরাচর ভাসাচ্ছেন, অরণ্যে অগ্নিবর্ষণ করে যিনি দাবানল সৃষ্টি করছেন সেই অদৃশ্য শক্তিধর তো সামান্য কেউ হতে পারেন না--অন্তত সাধারণ মানুষ তো এরা কেউ নন--তাহলে এই অসীম অদৃশ্য শক্তিধর কে? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম হল দেবত্বের এবং তাদের তুষ্টির জন্যে প্রার্থনা পুজো এবং মানুষের সংগৃহীত সেরা দ্রব্যাদি নিবেদনের সংস্কৃতি।

গোটা বিশ্বের মানবজাতির মধ্যেই এইভাবেই দেবতাদের জন্ম হয়েছিল। স্থান-কাল-পাত্র ও সভ্যতাভেদে দেবতাদের চেহারা ও তাদের জন্যে স্তব-স্তুতি-প্রার্থনারও ভেদাভেদ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এটাই হল দেবতার আদি জন্মকথা। মানুষ যত সভ্য হয়েছে শিক্ষিত হয়েছে ততই দেবত্বের ধারণায় নানাভাবে সংস্কারের প্রভাবে নানান পরিবর্তন এসেছে। দেবতা ও তাঁদের অলৌকিক শক্তি সম্পর্কে এক শ্রেণীর উচ্চ চেতনাসম্পন্ন মানুষ নিরন্তর এমন একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুনোর চেষ্টা করে চলেছেন যেখানে তাঁরা দেবতার সংস্পর্শে সম্পৃক্ত হতে পারবেন ! আমাদের দেশে শ্রচৈতন্য-রামকৃষ্ণ-বামাক্ষ্যাপা সহ অসংখ্য আধ্যাত্মিক মহাপুরুষের জীবনকথায় দেবতার সঙ্গে তাঁদের প্রত্যক্ষ যোগসাধনের কথাও বলা হয়েছে। মানুষ বিশ্বাস করেছে--বিশ্বাস করেছে বলেই ঠাকুরঘরে পাথরের দেবদেবীর পাশে শ্রীচৈতন্য-রামকৃষ্ণ-বামাক্ষ্যাপা-বিবেকানন্দের ছবিকে দেবতা হিসেবেই পুজো করা হয়। যারা পুজো করেন তারা কেউ জীবনে কখনো বিজ্ঞান পড়েন নি, মার্ক্সবাদ কী বস্তু জানেন না, ধর্মীয় সুরসুরি দিয়ে কিছু পাষণ্ড কিভাবে রাজনীতি করছে--এসব কিছুই জানেন না তা তো নয় ! প্রায় প্রস্তরযুগ থেকেই প্রাকৃতিক শক্তির কাছে নিরন্তর পরাজিত ও নতমস্তক মানুষ দেবত্বের যে ধারণায় বিপন্মুক্তির সম্ভাবনা খোঁজার চেষ্টা শুরু করেছিল সেটাই সভ্যতা ও শিক্ষার আলোয় নানানভাবে বিকশিত হয়েছে নানান চেহারায় মানব সভ্যতার ভেতরে দ্রুত শেকড় ছড়িয়েছে। দেবত্বের ধারণা ও বিশ্বাসের শক্তি তার প্রচীনত্বের ইতিহাসকে না ভুলে পরিবর্ধিত ও সংশোধিত করতে করতে আজ এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ‘রাম’ প্রায় ধারণাতীত দেবত্বের আসনে অভিষিক্ত হয়ে গেছেন ! সুতরাং এবারে রাম-এঁর কথাতেই আসা যেতে পারে।
আমার বাড়িতে বৃহৎ আয়তনের মহাভারত ও রামায়ণ আছে। ছোটবেলায় অসাধারণ চিত্রশোভিত রামায়ণ ও মহাভারতের চৌম্বক কাহিনীতে ভীষণভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলাম সে কথা স্বীকার করতে আমার আজও কোনো ঘোমটার দরকার আছে বলে মনে করি না। রাম ও শ্রীকৃষ্ণকে কেন্দ্রীয় চরিত্র করে যে দুটি বিপুল কাহিনী (বিতর্ক উসকে ইতিহাস বলছি না) এ দেশে লেখা হয়েছিল তার তুলনা বিশ্ব সাহিত্যে আর আছে বলে আমার মনে হয় না। এই দুই কাহিনীতে অসংখ্য চরিত্র যেভাবে আঁকা হয়েছে--অসংখ্য সম্পর্ককে যেভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে--ঘটনার পর ঘটনাকে যে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং সেইসব ঘটনার ঘাতপ্রতিঘাত যে ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং যে ভাবে অসীম শক্তিশালী অলৌকিক বুদ্ধিবিবেচনা ও সমস্তরকমের চরিত্রের ওপর নিজেদের অনতিক্রম্য প্রভাব তৈরি করেছেন রাম এবং শ্রীকৃষ্ণ তাতে মুগ্ধতার শিখরে পৌঁছে যাওয়া মানুষের মনোজগতে এই দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র অনায়াসে দেবতার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন। মিথে পরিণত হয়েছেন। আমি বহুবার ঐ দুই বৃহৎ আয়তনের রামায়ণ (বাল্মীকি-কৃত্তিবাস ও বেদব্যাস-কাশীরাম দাস) ও মহাভারত পড়েছি--এখনও মাঝে মাঝে পছন্দের কিছু কিছু অধ্যয় পড়ি। পড়তে পড়তে আমিও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই--এই দুই অসাধরণ গ্রন্থের লেখকদের কথা ভেবে। রাজনীতি-সমাজনীতি-অর্থনীতি-ধর্মনীতি’র কোন্ জায়গাটাতে তাঁদের প্রাজ্ঞ মননশীলতার ছাপ পড়ে নি? আমি আজও পড়তে পড়তে আচ্ছন্ন হয়ে যাই এই দুই কাহিনীর জটিল অথচ বোধগম্য বুনটের কথা ভেবে ! এই দুই কাহিনীর দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র রাম ও কৃষ্ণকে যদি কেউ দেবতার আসনে বসিয়ে পুজো করে--আমি কোন্ হরিদাস পাল তাতে রুষ্ট হব?
মানুষের ধারণা ও বিশ্বাসের সামনে যদি কোন শক্তি দাঁড়াতে পারতো তাহলে গোটা দুনিয়া জুড়ে আজও এত অসংখ্য দেবালয়-মন্দির-চার্চ-মঠ-আশ্রম গড়ে উঠতে পারতো? এত অসংখ্য দেব-দেবী নির্ভর সাহিত্য নির্ভর কাহিনী রচিত হতে পারতো? এখনও কি বিজ্ঞান ভিত্তিক যুক্তিবাদ মন্দির-মসজিদ-চার্চ ভেঙে হাসপাতাল শিক্ষায়তন তৈরি করার মতো যুক্তিবাদী মানুষ তৈরি করা যাচ্ছে? কলকাতার বুদ্ধিজীবিরা একবারও তাদের নিজেদের দু-ঠোঁট ফাঁক করে বলেছেন--এতকাল ধরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে (রাম মন্দির নির্মাণের খরচ কেও সম্ভবতঃ টপকে যাওয়া) দুর্গোৎসব না করে ঐ টাকায় প্রতিটি গ্রামে একটা করে হাসপাতাল--একটা করে আধুনিক স্কুল কলেজ গড়ে তোলা যেতে পারতো? তাঁরা কি কেউ বলতে পেরেছেন--ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আচরণের বিষয়, তার জন্যে কোটি কোটি টাকার মন্দির-মসজিদের প্রয়োজন নেই--হাজার হাজার একর জমির দরকার নেই--ওসব ভেঙে দিয়ে ওখানে হাসপাতাল স্কুল খোলা হোক? বলতে পারেন নি এবং পারবেন না। রাজনীতি তাদের ঠোঁট সেলাই করে রেখেছে--চেতনাকে স্বার্থান্ধ করে রেখেছে। মাঝে মাঝে শতচ্ছিদ্র বোলচালে বাজার (রাজনীতি) গরম করা ছাড়া উচ্চমার্গীয় চিন্তাবিদদের আর কিচ্ছুটি করার নেই--করলে খেতাব ফস্কাবে--উচ্ছিষ্ট ফস্কাবে--পদ ফষ্কাবে। সুতরাং জায়গামতো  সুযোগমতো নির্দেশমতো রাম ও শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে রাজনৈতিক
পটকা ছোঁড়ার কাজটুকুই তাদের একমাত্র দায়িত্ব হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে।
বিশ্বাস করতে বাধা নেই--রামায়ণ-মহাভারত ইতিহাস নয়--নিছকই কাহিনী, কেন্দ্রীয় দুই চরিত্র রাম ও কৃষ্ণ কল্পিত চরিত্র--তবু যুগান্তরের ধারাবাহিক দেবত্বের আসনে অভিষিক্ত হয়ে আসা এই দুই চরিত্রকে দেবতার আসন থেকে নামানো যাচ্ছে কি? কোনোদিনও কি যাবে? বিষয়টাকে এই দিক থেকে না ভেবে রামকে যারা রাজনীতির ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহারে উন্মত্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে রামের দেবত্বে বিশ্বাসীরা যতটা লাভবান হচ্ছে ততটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাম নামটাতেই যারা অ্যালার্জির শিকার হচ্ছে তারাই। কারণটা কিন্তু খুবই স্পষ্ট  এবং একটুও দুর্বোধ্য নয়।
ছোট বেলায় অনেককেই শুনতে হয়েছে--ওদের বাড়ি যাবে না, ওর সঙ্গে মিশবে না, ওই পেড়োবাড়িতে একবারেই পা দেবে না--ইত্যাদি কড়া কড়া নিষেধ। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে--কর্তারা যাদের নিষেধ করছেন তাদের সাইকোলজি না বুঝেই নিষেধ করে তাদের দ্বিগুণভাবে প্ররোচিত করছেন নিষিদ্ধ বাড়িতে যেভাবেই হোক যাওয়ার জন্য--নিষিদ্ধ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে মিশতে এবং পোড়োবাড়িতে পা রাখতে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু তারা যদি এসব না বলতেন--নিজেরাই চোখে চোখে রাখতেন তাহলে কিন্তু অদম্য কৌতুহল এবং আগ্রহ তৈরি হতো না। রাজনৈতিক নির্বোধরা এসব মনস্তাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে কখনো বিন্দুমাত্র পড়াশোনা করে--এমন দুর্নাম তাদের দেওয়া যাবে না। ফলে মানুষ যখন দেখলো--রাম নাম শুনলেই একদল বেজায় ক্ষেপে যাচ্ছে এবং তীব্র অসহিষ্ণুতার কারণে কাণ্ডজ্ঞান হারাচ্ছে তখন যারা রামকে নিয়ে এতদিন বিশেষ কিছু ভাবে নি তারাও কিছু ভাবতে শুরু করে দিল। যারা রামের দেবত্বে বিশ্বাসী এবং রামকে খোলাখুলি তাদের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে রাখার ও প্রচারে অকুণ্ঠ তারা এই রামবিরোধী রাজনীতিকে অক্লেশে নিজেদের পক্ষে টেনে নিতে সক্ষম হল। রামকে কেন্দ্র করে একটা ভাবাবেগ এমনিতেই আছে সেই ভাবাবেগকে যে তীব্র রাম-বিরোধিতা আহত করছে সেটা তুলে ধরতে রামাশ্রয়ী রাজনীতির কোনো সমস্যাই হচ্ছে না। ফলে যাদের একই সঙ্গে রাম ও রহিম উচ্চারণে ঘোরতর রাজনৈতিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের কাণ্ডজ্ঞানও ক্রমশঃই যে লুপ্ত হচ্ছে সেটা বুঝতে কারুরই অসুবিধে হচ্ছে না।
পশ্চিমবঙ্গে জনস্বার্থে  যে সাপ্তাহিক লকডাউনের দিন-তারিখ নিয়ে জেদ ও সিদ্ধান্তহীনতা প্রকট হচ্ছে তাতেও এই রাম-রাজনীতির অনভিপ্রেত ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ঈদ ও মহরমের দিন মানুষের জীবনবাঁচানোর প্রশ্নে যাদের কোনোরকম হেলদোল নেই তারাই যখন ৫ আগস্টকেই মানুষের জীবনের স্বার্থে লকডাউনের আওতায় ফেলছেন তখন রামাশ্রয়ীদের তুলনায় রামবিরোধীদের যে কতটা পিছিয়ে যেতে হচ্ছে সেটা বোঝার মতো বা সংশ্লিষ্টদের বোঝানোর মতো কেউ আছেন বলে মনে হচ্ছে না। পরিণত বয়স্ক কিন্তু অপরিণত মনস্ক কোন কোন নেতা ঈদ এবং মহরমের প্রসঙ্গ আস্তিনে চেপে রেখে বলছেন--৫ তারিখে মানুষের জীবনের ঝুঁকি নেওয়া যাবে না--ঐ দিন লকডাউন হবেই ! যুক্তি-তর্কে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না। কারণ, উদ্দেশ্যটা এতই স্পষ্ট যে এ সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে রুচিতেও বাধে।
কিন্তু আদতে কি এই রাম-বিরোধী রাজনীতিতে এত তীব্রভাবে লেগে থাকার ফল ভাল হতে চলেছে? গত লোকসভা নির্বাচনে গোটা উত্তরবঙ্গ সহ (মালদহ) মুর্শিদাবাদেও কি তা প্রতিফলিত হয়েছে? ফলাফল স্পষ্ট করেই বলছে তা হয় নি। আসল সত্যিটা কিন্তু এখনও ধরা পড়ছে না অনেকের কাছেই। মুসলিমদের অনেকেই এই রাম-বিরোধী রাজনীতিতে বিরক্ত হচ্ছে। কারণ, তারা দেখেছে--রামমন্দির নির্মাণ ঠেকানো সম্ভব হয় নি বাতেলাবাজ রাজনীতিকদের পক্ষে। তাদের ফালতু বাগাড়ম্বরে মুসলিমদের বিরুদ্ধে একটা সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতাই তৈরি হচ্ছে এবং বপিদ বাড়াচ্ছে।
হৈ-হৈ করে রামমন্দির নির্মাণ হচ্ছে ও হবে এবং সেখানকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক পট পরিবর্তন বিপুল আকারে হয়ে যাবে। তার প্রভাব ঠেকানো যাবে না গোটা দেশের কোথাও। তাহলে এই রাম বিরোধী রাজনীতির ওপর এত জোর দিয়ে আখেরে কার কতটুকু লাভ হবে সেটা নিয়েই মানুষ এখন ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। রামবিরোধিতায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ না করে মানুষের সার্বিক উন্নয়নের দিকে নজর দিলেই বিভেদ ও বিদ্বেষের রাজনীতির বিষাক্ত আবহাওয়া থেকে মানুষই প্রকৃতপক্ষে বাঁচবে। মুসলিমদেরও অনেকেই বুঝে গেছে--যত বেশি বেশি রামবিরোধিতার রাজনীতির চাষ হবে ততবেশি শক্তিশালী হবে রামাশ্রয়ী রাজনীতির প্রভাব। কারণ, এ দেশটার নাম ভারতবর্ষ--শুধু এ দেশেই নয়--পৃথিবীর বহু দেশেই রাম ও রামমন্দিরের প্রভাব যথেষ্ট শক্তিশালী। সুতরাং রাম-কে রামের জায়গায় থাকতে দিয়েই সঠিক বোধবুদ্ধির রাজনীতিতে যতক্ষণ না ফেরা সম্ভব হচ্ছে ততক্ষণ ক্ষতির বহর বাড়তেই থাকবে। পরিণত বয়স্কদের অপরিণত মনস্কতার কুফল ভোগ করতে হবে সাধারণ মানুষকে ঠিক ততদিন যতদিন না সব মানুষ সঠিকঅর্থে রাম-রাজনীতির খেলাটা বুঝতে সক্ষম হচ্ছে !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.