Header Ads

রুশ টিকার প্রথম ব্যাচের উৎপাদন সম্পন্ন !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

নভেল করোনাভাইরাস সৃষ্ট কভিড-১৯ রোগের টিকা উৎপাদন
শুরু করেছে রাশিয়া। গতকাল শনিবারই টিকার প্রথম ব্যাচ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স। রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র দিয়ে এ তথ্য জানায় সংবাদ মাধ্যমটি।

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এখনো সংশয় থাকলেও রাশিয়া বলছে, তারা
যে টিকা তৈরি করেছে এবং উৎপাদন পর্যায়ে গেছে, তা এ মাসের শেষ দিকে সরবরাহ শুরু হবে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ না হলেও রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, টিকাটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটি মানবদেহে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থাও গড়ে তুলতে পেরেছে।
টিকাটি উদ্ভাবন করেছে রুশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট। সহযোগিতা করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী কার্যকর টিকা তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে। প্রায় দু-শ প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই প্রতিযোগিতার দৌড়ে। এর মধ্যে হঠাৎ করেই সবার আগে সফলতা ঘোষণা করে রাশিয়া। যদিও টিকাটির কার্যকারিতা পরীক্ষার ক্ষেত্রে তৃতীয় ধাপের মানবপরীক্ষা যেখানে হাজারো স্বেচ্ছাসেবীর ওপর প্রয়োগ করা হয়, তা অনুসরণ করা হয়নি। ফলে এটি নিয়ে গবেষকদের সন্দেহ সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, টিকাটি নিরাপদ। নিজের মেয়েও এই টিকা নিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
রাশিয়া টিকাটির নাম দিয়েছে ‘স্পুটনিক ৫’, যা সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নামে নামকরণ করা করেছে। স্পুটনিক মিশনটি শীতলযুদ্ধকালীন মহাকাশ অভিযান প্রতিযোগিতার এক তীব্র বিরোধের প্রতীক হয়ে রয়েছে। ফলে এখানে অনেকে রাজনীতির গন্ধও পাচ্ছেন।
ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর আগে টিকা প্রস্তুতকারক গামেলিয়া ইনস্টিটিউট জানায়, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি নাগাদ ৫০ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদন করতে পারবে রাশিয়া।
রাশিয়ার তৈরি করা প্রথম ব্যাচের টিকাগুলো চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দেয়া হবে। এরপর তা সাধারণ জনগণের ব্যবহারের জন্য ছাড়া হবে। ইকোনমিক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার পরীক্ষা ও জনগণের ওপর প্রয়োগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.