Header Ads

রাজ্যপালকে খোঁচা মহুয়ার--আঙ্কেলজি এখন বলছেন রাজভবন ও তাঁর উপরে নজরদারি করা হচ্ছে !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রীর গরহাজিরা নিয়ে ফের রাজভবন ও নবান্নের সম্পর্কে জটিলতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি নিয়ে ফের উষ্মাপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তবে সাংবাদিক বৈঠকে এবার রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তিনি। তাঁর দাবি, রাজভবনের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই অভিযোগে বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। রাজ্যপালকে পালটা জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের অভিযোগ, রাজভবনের কেউ তলে তলে নবান্নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তাই রাজভবনের অন্দরের সমস্ত কথা সরাসরি রাজ্য সরকারের কাছে চলে যাচ্ছে। তাঁর দাবি, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যার নাম উঠে আসবে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, “নবান্নের কোনও গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে রাজভবনে এলে আমি সতর্ক করতাম।”
রাজ্যপালের কটাক্ষের পরই টুইট করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি টুইটে ফের রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে ‘আঙ্কেলজি’ বলে সম্বোধন করেন। টু্ইটে লেখেন, “আঙ্কেলজি এখন বলছেন রাজভবন ও তাঁর উপরে নজরদারি করা হচ্ছে। ওই জিনিসটা আপনার গুজরাটের বস সকলের থেকে ভাল জানেন। আমরা এ কাজে নিতান্তই শিক্ষানবীশ। (Uncleji now claims he & WB Raj Bhavan premises under surveillance.
Believe me, that’s something your bosses from Gujarat do better than anyone else - any of us would be novices at it.)
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক কখন ভাল আর কখন খারাপ তা বোঝাই দায়। স্বাধীনতা দিবসে আচমকাই রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এবং স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজভবনে বিকেলে চা-চক্রে তিনি যোগ দেননি। এ নিয়েই তর্ক বিতর্কের ফলে আবারও তলানিতে ঠেকেছে রাজভবন এবং নবান্নের সম্পর্ক। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের চা চক্রের আয়োজন নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.