Header Ads

অসমের ভারত-বাংলা সীমান্তে ব্রহ্মপুত্রে বিলীন বিএসএফ ক্যাম্প, নৌকায় আশ্রয় জওয়ানদের

দক্ষিণ শালমারা (অসম), ৩ আগস্ট : নিম্ন অসমের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দক্ষিণ শালমারা মানকাচর জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদের জলের স্তর কিছুটা কমেছে। কিন্তু জেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙনে নদের গৰ্ভে চলে যাচ্ছে বিস্তাৰ্ণ এলাকা। ভাঙনের শিকার একটি বিএসএফ ক্যাম্প, একটি সরকারি স্কুল, একটি হাসপাতাল সমেত গোটা এক গ্ৰাম ব্রহ্মপুত্রের গৰ্ভে তলিয়ে গেছে। এখনও জেলার বরাইর আলগা, খাগরারচর, দেওয়ানের আলগা, বামুনডাঙা, নিলোখিয়া, পাটাকাটা, মুহুরিরচরের বিস্তাৰ্ণ এলাকা ভাঙনের ফলে মহাবাহুর গৰ্ভে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে দেওয়ানের আলগা অঞ্চলের হাতিরচর গ্ৰামে ভয়ঙ্কর ভাঙন হচ্ছে। 


ভাঙনের ফলে একটি বিএসএফ ক্যাম্প নদের বুকে চলে গেছে। একইভাবে হাতিরচর এলাকায় একটি সরকারি স্কুল, একটি হাসপাতাল, এলাকার তিন শতাধিক পরিবারের ঘর নদের বুকে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে কয়েকটি পরিবারের সদস্য কোনও মতে একটি নৌকা ভাড়া করে পাৰ্শ্ববৰ্তী রাজ্য মেঘালয়ের সীমান্তবৰ্তী বাঘাপাড়া এলাকায় গিয়ে আশ্ৰয় নিয়েছে। এদিকে মুহূৰ্তের মধ্যে বিএসএফ ক্যাম্প নদের গৰ্ভে চলে যাওয়ায় জওয়ানরা নিজেদেরর প্ৰয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে যন্ত্ৰচালিত নৌকায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

একদিকে ক্যাম্প, অন্যদিকে হাসপাতালের আরসিসি বিল্ডিং নদের গৰ্ভে চলে যাওয়ায় জওয়ানদের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে এক বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন। নদের বুক ফেরির ওপরেই ৪-৫ দিন ধরে আশ্ৰয় নিয়ে আছেন জওয়ানরা। একাংশ জওয়ান পাশেই আরেকটি চরে গিয়ে অস্থায়ী শিবির তৈরি করে সেখানে থেকে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন। বৰ্তমানে গোটা হাতিরচর এলাকার ওপর দিয়ে ব্ৰহ্মপুত্ৰের জল প্ৰবাহিত হচ্ছে। জেলায় এখনও বন্যার প্ৰকোপে ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদের জলস্তর বিপদসীমা থেকে ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্ৰবাহিত হচ্ছে। ফলে এখনও প্ৰায় অৰ্ধশতাধিক মানুষ বন্যার কবলে রয়েছেন। এখনও বহু সংখ্যক বন্যা দুৰ্গত সরকারি প্ল্যাটফৰ্ম, উঁচু বাঁধের ওপর আশ্ৰয় নিয়ে আছেন।

সৌজন্যে হিন্দুস্থান সমাচার

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.