Header Ads

শান্তিনিকেতনে প্রাচীর দেওয়া নিয়ে ভাঙচুর, স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন !!

 বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌষমেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মাঠে পৌষমেলা হয় সেই মাঠ প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ করছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে  এসে সেখানে হাজির হয়। তারা নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে মাঠ ঘেরার কাজ বন্ধ করতে বললেও তারা কাজ বন্ধ করে নি। এতে নির্মাণ সামগ্রীসহ বিশ্বভারতীর একটি অস্থায়ী অফিসে ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পুলিশ থাকলেও তারা পুরোপুরি উদাসীন ছিল।
কয়েকদিন আগেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এ বছর পৌষমেলা আয়োজন না করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। গত শনিবার থেকে মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়।

কিন্তু এর বিরোধিতা করে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের ধারণা হয়, চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে মেলা। বিশেষ করে, বোলপুর এবং শান্তিনিকেতনের ব্যবসায়ীদের একাংশ পৌষমেলার পক্ষে। যা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এবং মিছিল-পাল্টা মিছিল হচ্ছিল।
যদিও এবারই পৌষ মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিনা বাধায় সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ ধ্বংস করার ঘটনায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের দাবি, এই কাণ্ড ঘটেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রশাসনের মদতেই। এর পেছনে সিণ্ডিকেট রাজ ও জমি মাফিয়াদেরও হাত রয়েছে বলে বিরোধীদের একাংশের দাবি। ইতিমধ্যেই দুবরাজপুরের তণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এফআইআর দায়ের করেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সহ পুরো ঘটনা বিস্তারিত জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে--একই সঙ্গে অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.