মূর্তিভাঙা নিয়ে মন্তব্য, মামলা জিতেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে, সরগরম ত্রিপুরার রাজনীতি
বিপ্লব বৈদ্য, আগরতলা, ৫ অগাস্ট : ত্রিপুরার উপজাতি এলাকা স্ব- শাসিত জেলা পরিষদের সদর দপ্তর খুমলুঙে একটি মূর্তি ভাঙ্গার ঘটনা নিয়ে নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে লেখা মন্তব্য নিয়ে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী ও সিপিএম দলের দুইটি ফেসবুক পেজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে সরকার ও বিজেপি দলের তরফে। এই নিয়ে এখন সরগরম ত্রিপুরার রাজনীতি। মামলার বিষয়ে জিতেন্দ্র চৌধুরীর কড়া প্রতিক্রিয়া,এক চুলও সরবেন না,নিজের বক্তব্য থেকে।ফেসবুকে যা লিখেছি তা আছে, থাকবে সাক্ষী হিসাবে । পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলানো হচ্ছে। এইটা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
জিতেন্দ্র চৌধুরীর কথায়, রাজ্যে মূর্তি ভাঙ্গার সংস্কৃতি আমদানি হয়েছে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি - আইপিএফটি জোট সরকার তৈরি হওয়ার পর থেকে। পুলিশের সামনেই দিন দুপুরে বিলোনিয়ায় গুড়িয়ে দেওয়া হলো লেলিনের মূর্তি, কৈলাশহরে ভাঙা হল জননেতা বৈদ্যনাথ মজুমদারের মূর্তি। বিশ্রাম বাড়িতে ভাঙলো মহারাজা বীর বিক্রম মানিক্য বাহাদুরের মূতিও। বিরোধী দলের বিভিন্ন অফিসের রবীন্দ্র নজরুল সুকান্তের বহু ছবি পুলিশের সামনেই ভেঙে ফেলল, পুড়িয়ে ফেলল দুষ্কৃতীরা। তখন পুলিশ স্বীকার করল না। সরকারের তথ্য দপ্তর বিবৃতি দিয়ে জানালো, প্রচন্ড বৃষ্টিতেও মূর্তিটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। আর পুলিশ বলল,প্রবল বৃষ্টির মধ্যে তাদের সামনেই ভেঙ্গে পড়লো। ডাহা মিথ্যা কথা। মূর্তিটি ছিল ফাইবারের। আঘাত করা ছাড়া ফাইবারের মূর্তি অন্য কোনভাবে নষ্ট করা যায় না। বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ার তো প্রশ্নই নেই। মূর্তিটি যে বানিয়েছেন সেই ঠিকাদারই কথা কথাগুলি বলেছেন জিতেন্দ্র বাবুকে। ঠিকাদার নিজেই রাধাপুর থানায় গিয়েছিলেন অভিযোগ জানাতে। তার অভিযোগ পত্র রাখেনি পুলিশ। মূর্তিটির চারদিকের লোহার বেষ্টনীতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জিতেন্দ্র চৌধুরীর সাফ কথা, আমিতো বিজেপি, আরএসএসের লোকেরা এই মূর্তিটি ভেঙেছেন, এমন অভিযোগ করিনি। রাজ্যে নতুন করে আমদানি হওয়া মূর্তি ভাঙ্গার সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে এই ঘটনায়। এই কথাটা বলেছি। এটাও তাঁদের গায়ে লেগেছে। পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা বলানোটাও গর্হিত অপরাধ ।দলের দুইটি ফেসবুক পেইজও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ত্রিপুরা সিপিএম। এইটা স্বৈরাচারী পদক্ষেপ ও বাক্ স্বাধীনতা ও গনতান্ত্রিক অধিকারের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে সিপিএম।রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী শুধু ত্রিপুরায় নয়, গোটা দেশের পরিচিত মুখ। আদিবাসী অধিকার রাষ্ট্রীয় মঞ্চের জাতীয় আহ্বায়ক তিনি।ত্রিপুরার উপজাতিদের মুকুট হীন রাজা প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেবের পর এখন জিতেন্দ্র চৌধুরীই উপজাতি জনগোষ্ঠী থেকে উঠে আসা এই প্রজন্মের জনপ্রিয় নেতা। মামলার গতিপ্রকৃতি কোন পথে যায় সেইদিকেই নজর এখন গোটা ত্রিপুরার।
জিতেন্দ্র চৌধুরীর কথায়, রাজ্যে মূর্তি ভাঙ্গার সংস্কৃতি আমদানি হয়েছে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি - আইপিএফটি জোট সরকার তৈরি হওয়ার পর থেকে। পুলিশের সামনেই দিন দুপুরে বিলোনিয়ায় গুড়িয়ে দেওয়া হলো লেলিনের মূর্তি, কৈলাশহরে ভাঙা হল জননেতা বৈদ্যনাথ মজুমদারের মূর্তি। বিশ্রাম বাড়িতে ভাঙলো মহারাজা বীর বিক্রম মানিক্য বাহাদুরের মূতিও। বিরোধী দলের বিভিন্ন অফিসের রবীন্দ্র নজরুল সুকান্তের বহু ছবি পুলিশের সামনেই ভেঙে ফেলল, পুড়িয়ে ফেলল দুষ্কৃতীরা। তখন পুলিশ স্বীকার করল না। সরকারের তথ্য দপ্তর বিবৃতি দিয়ে জানালো, প্রচন্ড বৃষ্টিতেও মূর্তিটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। আর পুলিশ বলল,প্রবল বৃষ্টির মধ্যে তাদের সামনেই ভেঙ্গে পড়লো। ডাহা মিথ্যা কথা। মূর্তিটি ছিল ফাইবারের। আঘাত করা ছাড়া ফাইবারের মূর্তি অন্য কোনভাবে নষ্ট করা যায় না। বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ার তো প্রশ্নই নেই। মূর্তিটি যে বানিয়েছেন সেই ঠিকাদারই কথা কথাগুলি বলেছেন জিতেন্দ্র বাবুকে। ঠিকাদার নিজেই রাধাপুর থানায় গিয়েছিলেন অভিযোগ জানাতে। তার অভিযোগ পত্র রাখেনি পুলিশ। মূর্তিটির চারদিকের লোহার বেষ্টনীতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জিতেন্দ্র চৌধুরীর সাফ কথা, আমিতো বিজেপি, আরএসএসের লোকেরা এই মূর্তিটি ভেঙেছেন, এমন অভিযোগ করিনি। রাজ্যে নতুন করে আমদানি হওয়া মূর্তি ভাঙ্গার সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে এই ঘটনায়। এই কথাটা বলেছি। এটাও তাঁদের গায়ে লেগেছে। পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা বলানোটাও গর্হিত অপরাধ ।দলের দুইটি ফেসবুক পেইজও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ত্রিপুরা সিপিএম। এইটা স্বৈরাচারী পদক্ষেপ ও বাক্ স্বাধীনতা ও গনতান্ত্রিক অধিকারের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে সিপিএম।রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ জিতেন্দ্র চৌধুরী শুধু ত্রিপুরায় নয়, গোটা দেশের পরিচিত মুখ। আদিবাসী অধিকার রাষ্ট্রীয় মঞ্চের জাতীয় আহ্বায়ক তিনি।ত্রিপুরার উপজাতিদের মুকুট হীন রাজা প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দশরথ দেবের পর এখন জিতেন্দ্র চৌধুরীই উপজাতি জনগোষ্ঠী থেকে উঠে আসা এই প্রজন্মের জনপ্রিয় নেতা। মামলার গতিপ্রকৃতি কোন পথে যায় সেইদিকেই নজর এখন গোটা ত্রিপুরার।
কোন মন্তব্য নেই