হিমন্তবিশ্ব শর্মা কি রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন? টুইটারে সেকথায় বলা হয়েছে
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : যাকে ছাড়া বিজেপি
সরকার চলে না, অর্থ, শিক্ষা, পূর্ত্ত বিভাগের মত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের
দায়িত্ব যার হাতে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের
৭ রাজ্যের দায়িত্ব
যার হাতে, সেই নেদার চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মা যদি টুইট করে ঘোষণা করেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না, মন্ত্রী-বিধায়ক পদের প্রতি তার কোনো মোহ নেই। আবার বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিজেপি যাতে ১০০টি আসনে জয়ী হতে
পারে তা সুনিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা করবেন তাতে কি বোঝায়? প্রতিদ্বন্দ্বীতা
করবো না, আবার দলকে বিপুল ভোটে জেতাতে সব করবো, এই কথার মধ্যে স্ববিরোধিতা
আছে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা কোরোনা উদ্ভূত
পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে দলের মধ্যে নানা অভিযোগ উঠেছে। লকডাউনকে
রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। বরাকে আজ রাত থেকে টানা ১১ দিন লকডাউন। বিজেপি দলের একাংশের
মধ্যেই অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। আজকাল অগপ দলের কার্য্য নির্বাহী ও সাধারণ সভা
এই বৈঠকে বরাকের অগপ সদস্যদের বাধা দেবার জন্যে পূর্ণ লকডাউনের ডাক দেওয়া হয়েছে। দেড় শতাধিক
সদস্যের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি মহন্তের ঘোর সমর্থক। বরাকে লকডাউনকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার
করাতে বরাকে শাসক দলের বদনাম হয়ে গেছে। তা সামাল দিতে
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা বরাকে উপস্থিত হয়েছেন। আকসার প্রাক্তন
সভাপতি প্রদীপ দত্ত রায় অভিযোগ করেছেন, করোনা মোকাবিলায় হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি
হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নাকি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপর বিরক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ
করেছেন। বরাকে কয়লা, সুপারি, বালি, কাঠ, ইউরিয়া সারের সিন্ডিকেটের পর এবার করোনা সিন্ডিকেট শুরু হয়েছে বলে গুরুতর
অভিযোগ বরাকের সব দল-সংগঠন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। করোনা ছাড়া এই সব অভিযোগের
সঙ্গে অবশ্য হিমন্তের যোগ নেই। হিমন্তের এই ঘোষণা বিজেপি দলে ভূমিকম্পর সৃষ্টি
হয়েছে। বিধায়ক রূপক শর্মা, ডাক্তার নোমল
মোমিন প্রমুখ নেতারা হিমন্তকে তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি
কি প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালকে চাপে রাখতে রাজনীতি থেকে
সন্ন্যাস গ্রহণের সিদ্ধান্ত? হিমন্ত চমক দেবার
রাজা, রাজনীতি থেকে
অবসর গ্রহনের সিদ্ধান্ত আরেক চমক নয় তো?
কোন মন্তব্য নেই