Header Ads

দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার সিপাহী বিদ্রোহ


লিখেছেন আশুতোষ দাস

ভারতের ইতিহাসে ১৮৫৭ সালের  সিপাহী বিদ্রোহে যে রক্তঝরা অধ্যায় রয়েছে সেই অধ্যায়ে বৰ্তমান অসমের বরাক উপত্যকার নামও যে জড়িয়ে রয়েছে, সেই সংবাদটুকু কেন আজও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছলো না, প্রশ্ন  আজও  আমাকে  তাড়া করছে। তথ্যচিত্র মুক্তির সন্ধানেকরার পর আমার   অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে, আমাদের আবার ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখতে হবে। সবাই অনুধাবন করে ইতিহাসের খুঁজে এই চরম সত্য নিয়ে পুনর্বার ভাবতে হবে বিজ্ঞজনেরা এই সত্য মানুষের কাছে  আনুন। (বরাক উপত্যকার সিপাহী বিদ্রোহের বিষয়) সবাইকে নিয়ে  আমরা, কোন ভেদভাব নয়, কোন বিভাজন নয়, সবার পরশে আমাদের ভারতবর্ষকে রক্ষা করতে হবে। এই বোধ ভাবনা জাগাতে কিছুটা হলেও এই তথ্য চিত্রমুক্তির সন্ধানে কাজ করবে।
 
 

বরাক উপত্যকার সিপাহী বিদ্রোহে যারা শহিদ হয়েছেন তারা হিন্দু, মুসলমান এবং  মনিপুরী ছিলেন, এই ঘটনা আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে বিচার করলে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে নতুন দেশ গড়ার  সূচক মৈত্রীর বার্তা দেয়।


তাছাড়া তাদের নিয়ে ওই সময়কার কবিওয়ালরা ৫০০রও অধিক গান রচনা করেছিলেন এই নিয়ে  আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ড০ সুবীর কর গবেষণা করেছেন।



শহিদের  ত্যাগের আত্মবলিদানের কথা অবশ্যই আমাদের প্রত্যেকের  জানা দরকার, স্মরণ ও মননে তাদের আদৰ্শের কথা থাকতে হবে। এক ফোঁটা বৃষ্টি যেমন সমুদ্রের সৃষ্টি করে ঠিক
তেমনই মুক্তির সন্ধানে’ তথ্যচিত্ৰটিও হয়তো জনসচেতনতা বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে পারে।
তেমনই অনেকের কাছে হয়তো ছোট হলে আমি মনে করি এটা আমার জীবনের উল্লেখযোগ্য কাজ, আমি তো এই শহিদ হওয়া ভূমি মালিগড়, রণটিলা এইসব জায়গায় যেতে পেরেছি। তাদের ভূমি স্পর্শ করে প্রণাম করার সুযোগ পেয়েছি।
 ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে আমরাও যুক্ত। তার প্রমাণমুক্তির সন্ধানে’র তথ্য গুলো। নিজের বাড়ির স্বাধীনতা আন্দোলনের খবর জানি কি? কিন্তু পৃথিবীর স্বাধীনতার খবর অনেকটাই  জানি!

কিন্তু বিপরীতে বৃহৎ বাংলার অনেকের কাছ থেকে তখন অনেক অনেক উৎসাহ  পেয়েছি, তাদের কাছে নিজে উদ্যোগ নিয়ে মুক্তির সন্ধানে তথ্যচিত্র পাঠিয়েছিলাম। তাদের ইতিবাচক মন্তব্যে প্রাণিত হয়েছি। কেউ যদি ইচ্ছেকৃতভাবে কোন সত্য কেউ গোপন করতে চায় কিংবা অবহেলা করে সেকি অপরাধ নয়!
বারবার শিলচর দূরদর্শন থেকেমুক্তির সন্ধানেসম্প্রচারিত হয়েছে। সম্প্রতি ইউটিউবে রয়েছে।
এই তথ্যচিত্ৰটি জাতীয় স্তরের টেলিফিল্ম। উল্লেখ্য এখন  ইচ্ছে করলেও কেউ করতে পারবেন না কারণ সময় বদলে গেছে করিমগঞ্জ মালিগড়ের পরিবেশ আগের মতো নেই, শহিদ স্মৃতি বিজরিত কবরখানার মূল স্মারক আছে কি? এই কাজের জন্য তখন এই অঞ্চল তন্ন তন্ন করে ঘুরেছি। ইতিহাসবিদ অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি শিলচর দূরদর্শন এইরকম একটা ভালো কাজ করার সুযোগ দিয়েছিল। আমি গ্রন্থনা গবেষণার দায়িত্বে ছিলাম। পরিচালক ছিলেন স্বপন দাস। প্রযোজনা রণবীর পাল, সম্পাদনা গৌতম ঘোষ।  ডি বি সি-র উপস্থাপনা।
টেলিফিল্ম এর নামমুক্তির সন্ধানেশিলচর দূরদর্শনের নিবেদন। সেই টেলিফিল্মের পরিচালক টিমের সবার সঙ্গে গবেষক তথ্য লেখক হিসেবে দক্ষিণ আসামের সিপাহী বিদ্রোহ বরাক উপত্যকার যেসব স্থানে খণ্ডযুদ্ধ হয়েছিল সেখানে গিয়েছি।

সেই প্রসঙ্গে দর্শকের কাছে কিছু কথা বলতে চাই। উল্লেখ্য, ভারতের ইতিহাসে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতার বিদ্রোহ হিসেবে ধরা হয়। সেই সূত্রে বরাক উপত্যকার মতো আসামের প্রান্তিক অঞ্চল কিভাবে জড়িয়ে রয়েছে তার অজানা তথ্য এই তথ্যচিত্ৰটিতে রয়েছে। শুধু তাই নয় বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড০ সুজিত চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের সিপাহী বিদ্রোহী নেতা যার ফাঁসী হয়েছিল সেই মঙ্গল পাণ্ডের সঙ্গে বরাকে চলে আসা বিদ্রোহীদের কিভাবে যোগাযোগ হয়েছিল তার কথা তিনি তথ্যচিত্রটিতে সাক্ষাৎকারে বলেছেন। দক্ষিণ আসামের এই বিপদের সময় এই বিষয় প্রত্যেক নাগরিকদের জানা মনে হয় অবশ্যই প্রয়োজন। বরেণ্য ইতিহাসবিদ ড০ সুজিত চৌধুরী এখন প্রয়াত। ভারতের ইতিহাসের কোনও বইয়ে দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার সিপাহীবিদ্রোহের কোনও প্রসঙ্গ নেই, তাই এই আবিষ্কার পুরনো ইতিহাসবিদদের ধ্যান ধারণার আমূল পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। কাছাড়ের ডেভেলপমেন্ট ডি.সি. রস সাহিত্যিক হীরেন্দ্রকুমার গুপ্ত তিনি ডিস্ট্রিক্ট রেকর্ড রুমে  (বরাক উপত্যকার সিপাহী বিদ্রোহের) তথ্য পান) তিনি সেই প্রসঙ্গে অত্যন্ত মূলবান সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যা এই তথ্যচিত্ৰটিতে একটি বিস্ময়কর বার্তা হয়ে আছে। তিনিও প্রয়াত, তবে ইতিহাসবিদদের যুক্তি যুক্ত ব্যাখা করে ওই চিঠিগুলো মিউনিটি প্রিয়ড্ ইন কাছাড় গ্রন্থটি প্রকাশ করেন। আমার সৌভাগ্য আসাম সরকার এই চিঠি গুলো বাংলা ভাষান্তর করে তথ্য ব্যবহার করে যথাযথ ভাবে টেলিফিল্ম করার অনুমতি দিয়েছে। শিলচর দূরদর্শনে আমি গ্রন্থনা গবেষণা করেমুক্তির সন্ধানে’ তথ্যচিত্র করতে অনুরোধ করি, তারা রাজি হয়ে যান। দক্ষিণ আসামের সিপাহী বিদ্রোহের সূত্রে সমস্ত বরাক উপত্যকার যে যে জায়গায় খণ্ডযুদ্ধ হয়েছিল সেই জায়গায় ঘুরে বেড়াই তথ্যের সঙ্গে মানুষের আবেগ সেই ঘটনাগুলো যাচাই করি নেই। তখন আরও জানতে পারি সংগ্রহ করি, লোক মুখে মুখে পূর্বের শ্রুত অনেকগান সিপাহী বিদ্রোহের তৎসময়ের গান শোনার সৌভাগ্য হয়। এই বিষয় নিয়ে তখন গবেষণা করেছেন ড০ সুবীর কর মহাশয়। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে পূর্বসূরীর লোকায়ত পরিবেশে সেখান থেকেই দুটি গান পরিবেশন করে রেকর্ড বন্দী করেছি। সেই গানগুলোর সংগীত নির্দেশনা দিয়েছেন বিশিষ্ট টেলিভিশন ফিল্মের সংগীতের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পরিচালক পিংকী পাল।

তথ্যচিত্রের ভাষা পাঠও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন স্বপন দাস। তথ্যচিত্রে কন্ঠ দিয়েছেন শঙ্খু ভট্টাচার্য,নন্দিতা দাস, অনন্যা দাস, দোতারার দিলোয়ার, অন্যান্য বিশেষ সহযোগিতায় নারায়ণ পাল।
 তথ্যচিত্ৰটিতে ড০ সুবীর করেরও সাক্ষাৎকার রয়েছে। সে সময় তার কি প্ৰভাব পড়েছিল গ্রাম জনপদের সাধারণ মানুষের ওপর, তা তিনি সাক্ষাৎকারে খুব সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করে তুলে ধরেছেন। এরা তিন জনই এখন প্রয়াত ড০ সুজিত চৌধুরী (ইতিহাসবিদ), হীরেন্দ্রকুমার গুপ্ত (যিনি ডিস্ট্ৰিক্ট রেকর্ড রুমে তথ্যগুলো পেয়েছেন ( ডিসি অসম ), ড০ সুবীর কর (আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অধ্যাপক ও লোক গবেষক) কেউ  ইচ্ছে করলেও কেউ পারবে কি? কিংবা অবশ্যই এই ফুটেজ সাহায্য নিতে হবে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বিশিষ্ট লেখক দিলীপ নাথও এই ব্যাপারে বেশ কিছু কাজ করেছেন।


মূলবিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে দক্ষিণ আসামের সিপাহী বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে অল্প কথা
-------

১৮৫৭ ইংরেজির ২৯শে মার্চ ব্যারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে যে সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা হয়,তার মূলকারণ ছিল সেনা বিভাগে চার রকম বন্দুক ব্যবহার করা হতো। তার মধ্যে এনফিল রাইফেল দাঁত দিয়ে কেটে গুলি ছুঁড়তে হতো। আসলে অনেক দিন থেকে ভারতবাসী ইংরেজের অত্যাচারে ক্ষুব্ধ ছিল। তাই সৈনিকের ব্যারাকে ব্যারাকে একদল বিদ্রোহীরা ঝাড়ুদার নানা নিম্ন স্তরের কাজ নিয়ে ভেতরে আসে। তারা সৈনিক দের ধর্মের ভিত্তিতে বিদ্রোহী করে তোলে। তাদের মূল নায়ক ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে। স্বাধীন ভারত গড়ার স্বপ্ন এঁরা দেখেছিলেন। ১৮৫৭ সালের ১০ মে মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসী হয়। বিদ্রোহে যারা অংশ নিয়েছিলেন সবার ফাঁসী হয়। অবিভক্ত এই অঞ্চলকে সুরমা ভ্যালি বলা হতো।

বরাক উপত্যকায় সিপাহী বিদ্রোহের জঙ্গি সৈনিক

১৮৫৭ সালের ১৮ নভেম্বর আনুমানিক রাত দশটায় একদল সৈনিক শ্রীহট্টের অস্ত্রাগার কোষাগার লুট করে ,৭৮, ২৬৭ টাকা নিয়ে ১৯শে নভেম্বর গভীর রাত্রে তিনটি হাতিও বহু দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে নতুন পথের সন্ধানে বের হয়ে পড়ে। সরকারি রিপোর্ট থেকে জানা যায় তারা ছিল প্রায় ৩০০জন।
 করিমগঞ্জ  তৎকালীন রাজস্ব বিভাগের আধিকারিক এলেন সাহেবের নির্দেশে মেজর বিংয়ের নেতৃত্বে সিলেটি ইনফেনট্রির ১৬০ জন সৈনিক লাতু এলাকায় বিদ্রোহী সৈনিকদের মুখোমুখি হয়। সেই সংঘর্ষের পর বিদ্রোহীরা বর্তমান করিমগঞ্জ জেলার তৎকালীন প্রশাসনিক কেন্দ্রস্থল লাতুর, মালিগড় টিলায় আশ্রয় নেয়। এই স্থানটি লঙ্গাই নদীর তীরে অবস্থিত। সেই টিলার ওপর বিদ্রোহীরা এবং বিংয়ের বাহিনী। উভয় পক্ষের মাঝে তুমুল যুদ্ধ হয়,সেই  সংঘর্ষে মেজর বিং সমেত পাঁচ জওয়ান নিহত হয়েছে। ৩০ জন বিদ্রোহী সৈনিক শহিদ হন। সেই যুদ্ধ বিখ্যাত মালিগড় যুদ্ধ নামে খ্যাত। এই সংঘর্ষের পর বিদ্রোহীরা কয়েক টি দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তারা পূর্বদিকে বার পাড়া, বেতরং,মাইজ গ্রাম, বিশ কূট, প্রভৃতি অরণ্য বেষ্টিত জনপদ অতিক্রম করে করিমগঞ্জ শহরের দক্ষিণ পূর্বদিকে দেওয়াবন্দ স্থানে রাত কাটান, সেই রাতটি ১৮৫৭ সালের ১৯শে ডিসেম্বর। তারপর বিদ্রোহীরা পূর্বদিকের পাহাড় অতিক্রম শিরিসপুর ও হাইলাকান্দির দিকে প্রবেশ করেন। এইভাবেই পরবর্তীতে বিদ্ৰোহীরা বরাক উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েন।
৩০জানুয়ারী স্টিভেনের হাতে ধরা পড়েন বিদ্রোহীরা। তাঁদের মৃত্যু দণ্ড দেওয়া হয়। স্টুয়ার্ডের রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে বরাক উপত্যকাকে তৎসময় কাছাড় বলা হতো কাছাড় জেলায় নিহত বিদ্রোহীদের সংখ্যা ছিল ১৮৫জন। ত্রিপুরা সিলেট জেলায়  আরও ৪৪ জন নিহত হয়। বিদ্রোহীরা দেশও মাতৃ সাধনায় নিজেদের নিঃশেষ করে দিয়েছে, তবুও তারা কিছুতেই আপোষ করেননি। অনাহারে, অর্ধাহারে, শিশু পুত্র, কন্যা নিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল, কেউ বা যুদ্ধে মারা গিয়েছিল কেউ বা  দীর্ঘ দিন পদচারনায় অসুস্থ শরীর নিয়ে ও যুদ্ধ করে গেছে তবুও তাঁরা সংগ্রাম থেকে পিছপা হননি। ইংরেজের কাছে নত স্বীকার করেননি। পালাতে পালাতে উত্তরপূৰ্বাঞ্চলের মনিপুরে গিয়ে আবার নিজেরা একত্ৰিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন।

১৮৫৭ সালের নেটিভ ইনফেনটির বিদ্রোহীদের সংগ্রাম অনেক আশার স্বাধীনতা স্বপ্নের জাল বুনতে শ্রী হট্ট থেকে বরাক উপত্যকায় সিপাহী বিদ্রোহের ইতিহাস রচনা করেছিল। কিন্তু ১২জানুয়ারি বিন্নাকান্দি সংঘর্ষেই তাদের সমস্ত আশা ভরসা ব্যর্থতায় পরিণত হয়, উল্লেখ্য বিদ্ৰোহী সিপাহীদের এই  ত্যাগ আত্ম বলিদানের ভেতর দিয়ে পরবর্তী স্বাধীনতার আন্দোলনের পরিবেশ তৈরিতে ইন্ধন জুগিয়েছিল। তাই এই ব্যর্থতাই পরবর্তী স্বাধীনতা আন্দোলনের সলতে পাকাতে পেরেছিল।


[লেখক পরিচিতিঃ আশুতোষ দাস  একজন কবি চিত্রনাট্য লেখক। এখন পর্যন্ত ১১টি টেলিফিল্মের চিত্র নাট্য লিখেছেন। মঞ্চ বেতারের জন্য অনেক নাটক লিখেছেন।
 আসামের  প্রথম মনোরঞ্জন মূলক সিনেমা পারদর্শিনী গল্পের গীত রচনা গল্প লেখক। জাতীয় আর্ন্তজাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দি জেলার এখন স্থায়ী ভাবে আছেন। অনেক গুলো গদ্য, নাটক কবিতার বই রয়েছে। জন্ম ১৯৫৫ সালে। লেখকের উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থ জলে স্থলে ভালোবাসা, হৃদয়ে ফোটে পড়শি বকুল, মেঘে ওড়ে ভালোবাসার উত্তরীয়।]

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.