করোনা, লকডাউনের অজুহাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেলকে কর্পোরেট হাউসের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে, অভিযোগ রেলের সর্বভারতীয় শ্রমিক নেতা রাখাল দাশ গুপ্তের
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের অজুহাতে রেলওয়ে
কর্তৃপক্ষ রেলকে বহুজাতিক কোম্পানি বা কর্পোরেট হাউসের হাতে তুলে দিয়ে শ্রমিক
বিরোধী স্থিতি গ্রহণ করেছে। এর প্রতিবাদে অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে
১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ জুড়ে জন জাগরণ সপ্তাহের ডাক দিয়েছে। রেলওয়ে বিভাগ সার্বিকভাবে
ব্যর্থ হতে চলেছে। পদের অবলুপ্ত ঘটিয়ে, স্টাফ ছাঁটাই করে, শ্রমিকদের
প্রাপ্য দাবি থেকে বঞ্চিত করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিতে চাইছে। চার মাস থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ। রেলের ভাঁড়ার শূন্য এই পরিস্থিতিতে রেলকে
বাঁচাতে লাভজনক করে তুলতে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে গণজাগরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে
বলে জানালেন অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের সভাপতি রাখাল দাশগুপ্ত। তিনি অভিযোগ করেন, কোরোনা সংক্রমণ ও লকডাউনকে
অজুহাত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শ্রমিক বিরোধী স্থিতি গ্রহণ করেছে। তিনি অভিযোগ করেন,
রেলওয়ে হাসপাতালে রেল কর্মীদের চিকিৎসা করতেও রাজি হচ্ছে না। স্বাস্থ্য বিমার টাকায় চিকিৎসা করতে হবে। নতুন
পেনশন নীতি শ্রমিক বিরোধী, আগে কর্মীদের
বেতন থেকে ১০ শতাংশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দিত ১৪ শতাংশ এখন ৪ শতাংশ টাকা কম
দেবে, অসমে তিনসুকিয়া মেল, রাজধানী ছাড়া কোনো ট্রেন নেই। সব গাড়ি বন্ধ, শনি-রবিবার গাড়ি
চলবে না। ৬ মিটার দূরে দূরে
বস, এইসব শর্ত আরোপ করলে রেল
তো ধ্বংস হবেই। কর্তৃপক্ষ করোনার অজুহাতে রেলকে কর্পোরেট সেক্টরের
হাতে তুলে দিতে চাইছে। তা হতে দেওয়া হবে
না বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানালেন। অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের সভাপতি তথা এনএফ
রেলওয়ে মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাখাল দাশগুপ্ত এই প্রবীণ বয়সেও দুটি পদ
সামলাচ্ছেন। সারা দেশ ছুটে বেড়ান রেল শ্রমিক সংগঠনকে
শক্তিশালী করার জন্যে। অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের কার্যবাহী সদস্য পীযুষ
চক্রবর্তী, মজদুর ইউনিয়নের সহকারী
সাধারণ সম্পাদক সুহাস দাস প্রমুখ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে শ্রমিক বিরোধী স্থিতির কথা
জানান। লামডিঙের রেলওয়ে ডিভিশনের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে সুহাস দাস বলেন, লামডিং রেলওয়ে ডিভিশনে কর্মী সংখ্যা কমেই চলেছে,
প্রায় ৬ হাজার কর্মী
অবসর গ্রহণ করছে অথচ কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। অসমের বাইরের কর্মী এখানে যোগ দিচ্ছে। ডি আর এম অফিসে এখন মাত্র ২০০০ মত কর্মী হবে।
আই আই টি পাশ করা কর্মীদের নিয়োগ চলছে,
বিহার, উত্তর প্রদেশের
যুবকরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ১৫১টি ট্রেন প্রাইভেট
কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার কথা চলছে। ১০৯টি নির্দিষ্ট রুটে তা চালানো হবে। রেলের স্থায়ী
শ্রমিকদের কাজ চলে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই