Header Ads

ডেলিমিটিশন, নাগরিকত্ব বিল, মুসলিম ভোটারদের দিকে পাখির চোখ করে বিজেপি এগোচ্ছে



অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : ১৪তম অসম বিধানসভার শেষ বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে ৩১ আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ততারপর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিজেপি সরকারের শেষ অধিবেশন বসবেহাতে ১৫তম বিধানসভা বসবে ২০২১ সালের মে মাসে নির্বাচন হবে মার্চ এপ্রিল মাসে এর মধ্যে সরকার ১২৬টি নির্বাচন কেন্দ্রের পুনর্গঠন বা ডেলিমিটিশন করার চিন্তাভাবনা করছে। অপরদিকে, অসম চুক্তির নম্বর ধারা রূপায়ণ কমিটি ১৯৫১ সালকে ভিত্তি বছর করার সুপারিশ, আপাতত ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি নতুন করে সংসদে উত্থাপন করে কার্যকরী করার প্রয়াস চালাবে বলে দিল্লির একসূত্র আজ জানান। পশ্চিমবঙ্গের বৃহৎ সংখ্যক মতুয়া সম্প্রদায়ের হিন্দু ভোটের দিকে চেয়ে বিজেপি সরকার তৎপরতা শুরু করেছে অপরদিকে, অসমে বাঙলি হিন্দু ভোট যাতে হাত ছাড়া না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিজেপি নাগরিকত্ব বিলটি কার্যকর করার ব্যাপারে কিছু একটা অবলম্বন করবে বলে সূত্রটি জানান। দুটি রাজ্যে প্রায় একই সময় বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিজেপি সরকার বিধানসভা লোকসভার সীমা পুনর্গঠনের কাজ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু অসমের জনবিন্যাস  দেখে বিজেপি চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা তো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেই ফেলেছেন নিম্ন অসমে বাগবর, জনিয়া, দক্ষিণ শালমারার মতো বিধানসভা কেন্দ্রে কোনোদিন বিজেপি জিততে পারবে না। তিনি এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যে মুসলিম অধ্যুষিত সংখ্যালঘু কেন্দ্রগুলি সীমা পরিবর্তন করে হিন্দু মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে সীমা নির্ধারণ করার কথা বলেছেন। তিনি অন্তত ৮০টি কেন্দ্রের পুনর্গঠন চান। রাজ্যে হিন্দু জনসংখ্যা কোটি ৯১ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৫৯ জন ৬১.৪৬ শতাংশ। মুসলিম জনগোষ্ঠীর কোটি লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৪৫ জন। ৩৪.২২ শতাংশ বাংলাভাষীর সংখ্যা ৯০ লক্ষ ২৪ হাজার ৩২৪ জন। গত মার্চ মাসে বিধানসভাতে কংগ্রেস কমলাখ্য দে পুরকায়স্থর এক প্রশ্নের জবাবে সরকার একথা জানান। ৯০ লক্ষ বাংলাভাষীর মধ্যে বাঙালি মুসলিম প্রায় ৫০ শতাংশবাঙালি হিন্দু প্রায় ৪০ শতাংশ। এই বৃহৎ সংখ্যক ভোটারের সমর্থন ছাড়া কোনো দল দিসপুর দখল করতে পারবে না। গত চার বছরে বিজেপি সরকারের জনপ্রিয়তা অনেক নেমে গেছেতবে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো নানা গোষ্ঠীতে বিভাজন ক্রমশ বাড়ছে। তবুও বিজেপি ঝুঁকি নিতে চাইছে না গত নির্বাচনে বিজেপি হিন্দু মুসলিম ভোট প্রায় সমানভাবে পেয়েছিল এবার পরিস্থিতি সেরকম নয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অসমে বিজেপি সরকার মুসলিম ভোটকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষিত যুবকদের দলে টানতে চাইছে এআইডিইউএফ এবং কংগ্রেস দল যে সব মুসলিম যুবককে এবার নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছে, সেইসব যুবকদের বিজেপি দলে আনার চেষ্টা নিম্ন অসমে শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, বরপেটা প্রভৃতি অঞ্চলে বহু মুসলিম যুবক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে। বিজেপি গত নির্বাচনে ১২৬ আসনের বিপরীতে ৬১টি আসন পেয়েছিলএবার ১০০টি টার্গেটকে সামনে নিয়ে সভাপতি রঞ্জিত দাস, সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি মুখতার হোসাইন খান এগোচ্ছেন তবে পরিস্থিতি অনুকূল নয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.