প্রয়াত আসাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম নিবন্ধক পি.এস. ভট্টাচার্য্য
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, শিলচর : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নিবন্ধক
পূর্ণেন্দু শেখর ভট্টাচার্য্য পঞ্চভূতে বিলীন হলেন সোমবার। মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা বিদেহী
আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা অর্পন করেন। তারপর, শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শিলচরস্থিত শ্মশানে। সেখানে হিন্দু ধর্মীয় নীতি
অনুযায়ী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল ৭:১৫ মিনিটে শিলচরের গ্রেইস ওয়েল
নার্সিংহোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী,
দুই পুত্র সহ অসংখ্য
গুনমুগ্ধ রেখে গেছেন। পূর্ণেন্দু শেখর ভট্টাচার্য্য আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রতিষ্ঠাতা নিবন্ধক ছিলেন। তিনি বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের একজন
নিষ্ঠাবান সদস্য ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তার
মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল থেকে শোক জানানো
হয়েছে। শোকাভিভূত আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক জয়ন্ত ভূষণ ভট্টাচার্য্যও।
পূর্ণেন্দু শেখর ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৪২ সালে রামকৃষ্ণ নগরে। প্রাথমিক শিক্ষা
রামকৃষ্ণ নগরে। তিনি ১৯৬৬ সালে আসাম সিভিল সার্ভিসে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার
হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন এবং পরবর্তীকালে দক্ষতার সঙ্গে আসাম সরকারের বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন। তিনি অতিরিক্ত জেলাশাসক (কামরুপ) হিসাবে কাজ করেন এবং
পরবর্তীতে নির্বাচন অধিকারী হিসাবেও কর্মরত ছিলেন।
রত্নজ্যোতি দত্ত, দিল্লিস্থিত
আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও নয়া ঠাহর গোষ্ঠীর রাষ্ট্রীয় পরামর্শদাতা সম্পাদক, বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত
পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
কোন মন্তব্য নেই