Header Ads

সরকারের গাইডলাইন না থাকায় বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোমগুলো কোভিড পরীক্ষার নামে বেশি টাকা আদায় করছে : আইনজীবী দাইয়ান হুসেন

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমের বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিং হোমগুলো মানুষের বিপদের দিনে আর্থিক সংকটের সময় খুশি মত কোভিড পরীক্ষার নামে অর্থ নিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হয় না। বরাক ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল ও  নার্সিং হোমগুলোর বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। প্রতি কোভিড পরীক্ষায় ৫ থেকে ৬ হাজার বা তারও বেশি টাকা নিচ্ছে, কিন্তু বিল কম করে দেখাচ্ছে।  এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালে ও  নার্সিংহোমগুলো কোভিড রুগী ছাড়া অন্য রুগীদের চিকিৎসা করতে রাজি হচ্ছে না, অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে। আজ অসম প্রদেশ  কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক তথা আইনজীবী দাইয়ান হুসেন এই গুরুতর অভিযোগ করে বলেন, অসম সরকার আজ পর্যন্ত কোভিড পরীক্ষার জন্য কোনো গাইডলাইন ইস্যু করেনি। যদি কিছু করেও থাকে তা বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলো মানছে না। তিনি গত ২৬ জুলাই  ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের এক পত্রের কথা উল্লেখ করেন। এই পত্র দেশের সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের দেওয়া হয়েছে। পত্রে বলা হয়েছে,   প্রতি কোভিড পরীক্ষার জন্যে সাড়ে চার হাজার   টাকার কম নিতে হবে। আই সি এম আর এর  ডিরেক্টর জেনারেল ডাক্তার বলরাম ভার্গব এই পত্র লেখেন। অথচ  অসমে এই গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। খেয়াল খুশিমত টাকা আদায় করা হচ্ছে। সরকারের নিদিষ্ট কোনো গাইডলাইন নেই। গুয়াহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী হুসেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কোভিড পরীক্ষা সম্পর্কিত গাইডলাইনের কথা উল্লেখ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রতি কোভিড পরীক্ষার মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৫০ টাকা, দিল্লি সরকারের মূল্য ২৪০০ টাকা। রাজস্থানের ২২০০ টাকা, মধ্যপ্রদেশ ১৯৮০ টাকা, মহারাষ্ট্র সরকার নিজের বাড়িতে বসে পরীক্ষার জন্য ২৮০০ টাকা ও হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা ২২০০ টাকা। কেরালা সরকারের দু'তিনটি পরীক্ষা করতে ৩০০০ টাকারও কম লাগছে। অপরদিকে, অসমে কি দেখেছি, রাজ্যের প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোম অনেক বেশি টাকা আদায় করছে। অথচ সরকারি হাসপাতালে পুরো চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকার গ্রহণ করেছে। আই সি এম আর এর নির্দেশ  অসমে মানা হচ্ছে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.