Header Ads

অসমে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১০৯, প্রভাবিত ২১টি জেলা

গুয়াহাটি, ৩১ জুলাইঃ  অসমের প্রলয়ঙ্করী বন্যার তাণ্ডবলীলার সামগ্রিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ভয়াবহ বন্যার কবলে পরে আজ এখজনকে নিয়ে এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১০৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। গতকাল মরিগাঁও জেলার এক এবং আজ শুক্রবার কোকরাঝাড় জেলার গোসাঁইগাঁওয়ে এক ব্যক্তি বন্যার কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ)-এর সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি ঘটলেও রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ২১টি জেলায় এখনও ১০ লক্ষ ৮২ হাজার ৫০৩ জন বন্যাক্রান্ত হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ২১টি জেলার ৫৫টি রাজস্ব চক্রের ১,৩৬৬টি গ্রাম জলের নীচে অবস্থান করছে। এছাড়া এএসডিএমএ-এর হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৮২,৯৪৭.১৫ হেক্টর কৃষিজমি এখনও জলের নীচে।

এএসডিএমএ-এর তথ্য, রাজ্যের ৬টি জেলায় ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদ এবং পাঁচটি উপনদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে এ বছরের তৃতীয় বন্যায় রাজ্যে মৃত্যু ঘটেছে ১৪৭টি বন্য প্ৰাণীর।

আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সামগ্রিকভাবে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বন্যার কবলে রয়েছে রাজ্যের ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, দরং, বাকসা, ওদালগুড়ি, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, বঙাইগাঁও, কোকরাঝাড়, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ (গ্রামীণ), কামরূপ মেট্রো, মরিগাঁও, নগাঁও, গোলাঘাট, যোরহাট, মাজুলি এবং শিবসাগর জেলা।

ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত জেলায় ত্রাণশিবিরের সংখ্যা কমে হয়েছে ১৩৭টি। ওই শিবিরগুলিতে ২৬,১৬১ জন বন্যার্ত আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বহু জীবজন্তু প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে বড় পশু ৩,২৭,৪৪২; ছোট ১,৫১,৪৩১ এবং পোল্ট্রি ২,৭৬,৬৯৭টি প্রভাবিত হয়েছে।

সৌজন্যে হিন্দুস্থান সমাচার

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.