Header Ads

র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট ও লকডাউনের ফলে সংক্রমণের হার ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, আরও কমবে দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর, প্লাজমা থেরাপির প্রস্তুতি চলছে


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : সারা রাজ্যের করোনার অভিকেন্দ্র হিসাবে গুয়াহাটিকে ১২টি জেলা বয়কট করেছে। গোলাঘাট, যোরহাট জেলাতেও  পুরো লকডাউন শুরু হয়েছে। অতিমারি করোনায় আক্ৰান্তের সংখ্যা রাজ্যে ১৫ হাজার, গুয়াহাটিতে ৫ হাজার আক্রান্তের দিকে যাচ্ছে। কার্বি আংলঙের কৃষি বিভাগের অফিসার রাম সিং হানসের আজ গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড ১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এখন পৰ্যন্ত রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ২৮ জনে।

 এই জটিল অবস্থার মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, মহানগরে লকডাউন এবং এন্টিজেন টেস্টের ফলে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগামী ১০ দিনে আরও কমবে। তিনি বলেন, গুয়াহাটির ৩১ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্যে ১২ টি হাসপাতালে সোয়াব টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাজ ও পরিবারের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে টেস্ট করা উচিত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ জিএমসিএইচ-এ প্লাজমা থেরাপি শুরু করার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। যারা করোনা সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তাদের দেহ থেকে রক্ত রস সংগ্রহ করে করোনা পজিটিভ রোগীদের টিকা দেওয়া হবে। এই প্ৰক্ৰিয়া  পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতে শুরু হয়েছে। রাজ্যে এপর্যন্ত ৮ হাজার ৭২৬ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।  তাদের দেহ থেকে রক্ত রস সংগ্রহ করা হবে। গুয়াহাটির পাণ্ডু-মালিগাঁও অঞ্চল করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। পাণ্ডুতে ২ দিনে ৭০০ জনের র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট হয়েছে ৪১ জন কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.