Header Ads

২৬টি জেলার তিন হাজার গ্রাম প্লাবিত, মুখ্যমন্ত্রীর ধেমাজি জেলা পরিদর্শন


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অতিমারী করোনা সংক্রমণ রাজ্যে ক্রমশ মারণ থাবা বসাচ্ছে। অপরদিকে, বন্যার তাণ্ডব অব্যাহত। রাজ্যের ২৬টি জেলার প্রায় তিন হাজার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ একর কৃষিজমি ডুবে গেছে।  গোয়ালপাড়া, ধুবড়ি, নলবাড়ি, মঙ্গলদৈ, দরং, দক্ষিণ শালমারা, ধেমাজি, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, লখিমপুর, গহপুর, মাজুলি প্রভৃতি জেলা প্লাবিত হয়েছে। অধিকাংশ প্লাবিত অঞ্চলে ত্রাণ সাহায্য পৌঁছায়নি। দুর্গত মানুষের মধ্যে হাহাকার, এপর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জলসম্পদমন্ত্রী কেশব মহন্ত এপ্রিল মাসের মধ্যে নদী বাঁধগুলো মেরামত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তা আজও হয়নি। অধিকাংশ বাঁধ বিপদজনক অবস্থায় পড়ে আছে। জেলাগুলি থেকে বাঁধ ভাঙার খবর আসছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল আজ ধেমাজি জেলার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যান। ভাঙা বাঁধগুলো অবিলম্বে মেরামত করার জন্য অফিসারদের নির্দেশ দেন। জীববৈচিত্র্য ভরা পবা বনাঞ্চলকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বলে ঘোষণা করা হবে ঘোষণা করেন। এদিকে, কাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের প্রায় ৯০ শতাংশ ব্রহ্মপুত্র ও শাখা নদীর প্লাবনে ডুবে গেছে। গন্ডার, হাতি, হরিণ সব বন্য জন্তু উঁচু জায়গায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে প্রাণ ভয়ে জীবন কাটাচ্ছে। বাঘ ও জনপদে হানা দিয়েছে। বোকা খাত মহকুমা 37 নম্বর জাতীয় সড়কে ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। জলে ডুবে, গাড়ির চাকায় পৃষ্ট হয়ে এবং চোরা শিকারিদের হাতে ৫০টির বেশি বন্য জন্তু প্রাণ হারিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.