Header Ads

ত্রিপুরার এই উদ্বেগজনক করোনা পরিস্হিতির জন্য দায়ী সরকার : মানিক


বিপ্লব বৈদ্য, আগরতলা : ফের  লকডাউন  বাড়ানো   হল ত্রিপুরায়।  ৪ আগষ্ট সকাল পাঁচটা  পর্যন্ত  লকডাউন বলবৎ থাকবে বলে নির্দেশ  জারি করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ কুমার। লকডাউন বাড়ানোয় তিতিবিরক্ত  ত্রিপুরার সাধারন মানুষ। বৃহস্পতিবার  শহর আগরতলায় দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল না করলেও প্রচুর বাইক, ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।  মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব  কুমার  দেবের ঘোষনামত  বাড়ি  বাড়ি  সমীক্ষার কাজ করতে গিয়ে বহু জায়গায় বাধা পেয়েছেন  সমীক্ষক দল। ধারালো অস্ত্র নিয়েও সমীক্ষক দলকে তাড়া করেছেন উপজাতি অংশের  মানুষ । কাউকে অসুস্হ দেখা গেলেও  সুস্থ  লিখে দপ্তরে  রিপোর্ট দিতে বাধ্য হয়েছেন সমীক্ষকরা। এই সমীক্ষায় করোনা সংক্রমণের আসল চিত্র বেরিয়ে  আসবে  না বলেও আশন্কা  করছেন রাজ্যের একাংশ  সচেতন মানুষ। গত কদিনে রাজ্যের করোনা পরিস্হিতি  উদ্বেগজনক  অবস্থায়  পৌঁছেছে। গত তিনদিনে মারা গেছেন নয় জন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বর্তমান বিরোধী  দলনেতা  মানিক  সরকার সামাজিক  মাধ্যমে পোস্ট  করা এক ভিডিওবার্তায়, রাজ্যের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী করেন। বাইর থেকে বিমানে রেলে আসা যাত্রীদের সকলকে পরীক্ষা না করিয়ে প্রতি পাঁচ জনে একজনকে  পরীক্ষা  করেছেন। অন্যরা বাড়িতে গিয়ে সকলের সঙ্গে  থেকেছেন, মিশেছেন। কোন নজরদারি ছিল না সরকারের।  এইভাবেই  বিপদ বেড়েছে ত্রিপুরার। মানিকের অভিযোগ,ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা  ডাক্তার, নার্স, সহায়ক কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা  সামগ্রী  প্রদানের প্রাথমিক দায়িত্বও সঠিকভাবে পালন করছে না  সরকার। কোভিড কেয়ার  সেন্টারগুলিতে শয্যা সংখ্যাও অপ্রতুল। নেই প্রয়োজনীয়  ডাক্তার, নার্স ও সহায়ক কর্মী, প্রয়োজনীয়  ঔষধপত্র ।কেউ অসুস্থ  হয়ে পড়লে হাসপাতালে  নেওয়ার জন্য নেই অ্যাম্বুল্যান্সও।  সময়মত মিলছে না খাবার। খাবারের গুনগত মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষকের কথা টেনে মানিক সরকার  বলেন, আমাদের দেশে ১০ শতাংশ লোক এই মারন ভাইরাসে আক্রান্ত  বলে মনে করছেন হু। এটা যদি সত্যি হয় তবে এই সময়ে আমাদের  দেশে ১৩ কোটি মানুষ আক্রান্ত  হওয়ার কথা।  পর্যাপ্ত  পরীক্ষার ব্যবস্হা নেই বলে হয়তো ধরা পড়ছে না। পরীক্ষার  কাজে আমাদের দেশ সবার পেছনের দিকে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন  তিনি । গোটা দেশেই শুরু থেকে অবহেলা করা হয়েছে করোনা সংক্রমণ বিষয়টিকে। জানুয়ারী মাসে কেরালায় প্রথম পজিটিভ  ধরা পড়ার সঙ্গে  সঙ্গে  লকডাউন  না করে দুই মাস সময় নষ্ট  করে মার্চের শেষে   অপরিকল্পিত ও প্রস্তুতিবিহীনভাবে লকডাউন  করে মানুষকে সমস্যায় ফেলা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.