Header Ads

বাঙালিদের বিরুদ্ধে কুৎসা, ভবেশ কলিতার পদত্যাগের দাবি প্রদীপ দত্ত রায়ের

শিলচর : আসামের মন্ত্রী ভবেশ কলিতা বাঙালি সম্পর্কে যে কুৎসা মন্তব্য করছেন তার প্রতিবাদে মন্ত্রী ভবেশ কলিতার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন সারা কাছাড় করিমগঞ্জ হাইলাকান্দি ছাত্ৰ সংস্থা (আকসা)-র প্ৰতিষ্ঠাতা সভাপতি তথা গৌহাটি হাইকোৰ্টের আইনজীবী প্রদীপ দত্ত রায়।  এক প্ৰেস বিবৃতিতে প্ৰতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, সেটা শুধু নিন্দনীয়ই নয় এটা একটা ঘৃণার বিষয়। মন্ত্রী কলিতার সাহস কি করে হল যে বাঙালির বিরুদ্ধে  কথা বলার। মন্ত্রী ভবেশ কলিতা বাঙালির ইতিহাস কতটুকু জানেন। এই বাঙালি থেকে ৩ জন মানুষ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এটা তিনি জানেন কিনা আমি জানিনা। ভারতবর্ষের যে জাতীয় সংগীত তার শ্রষ্ঠা হচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বন্দেমাতরম সংগীতের শ্রষ্ঠা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহিদ ক্ষুদিরাম বসু। আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীনতা করার জন্য লড়াই করেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।  ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন প্রণব মুখার্জি। এরা সবাই বাঙালি।  এই বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রসংঘ মর্যাদা দিয়েছে।  সেটা হয়তো তিনি জানেন না, সুতরাং বাঙালি জাতি সম্পর্কে কিছু বলার আগে তাঁর চিন্তা করা উচিত ছিল বলে বিবৃতিটিতে তিনি উল্লেখ করেন। 

তিনি বলেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অসমিয়া ছাত্ররা ‘কা’  বিরোধী আন্দোলন করেছিল। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। এটাকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিয়ে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রঞ্জিত দাসের নির্দেশে বিজেপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে আমাকে। তা আমি মেনে নিয়েছি । কিন্তু ভবেশ কলিতা বাঙালির বিরুদ্ধে কথা বলার পরও প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত দাস তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা এখনো নেননি । বিষয়টিতে বিষ্ময় প্ৰকাশ করেছেন তিনি।

  তিনি এও বলেন, যতদিন জীবিত থাকবেন কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন না। তাঁর কথায় বিজেপি যে বাঙালি বিরোধী তার যথেষ্ট প্ৰমাণ রয়েছে। তিনি বলেন-সম্প্রতি আসাম সরকার বিভিন্ন বিভাগে অনেক নিযুক্তি দিয়েছে । কিন্তু বরাকের একটি ছেলে মেয়েও কোন নিযুক্তি পায়নি । বরাকের ছেলেমেয়েদের কি চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা নেই? রাজ্য সরকারের দিকে লক্ষ্য করে প্ৰশ্নবান করেছেন তিনি। 
  এছাড়া যেখানে কাছাড়ে বাংলা ভাষা রক্ষার জন্য ১১ জন শহিদ হয়েছেন । বরাক উপত্যকাকে বাঙালির তৃতীয় ভুবন বলা হয় । সেই জায়গায় কাছাড়ের  বিজেপি জেলা সভাপতি অ বাঙালি, জেলা পরিষদের সভাপতি অ বাঙালি । কিন্তু বিজেপির স্থানীয় নেতারা এ নিয়ে টু শব্দও করেন না । বিষ্ময় প্ৰকাশ করেছেন তিনি। এতগুলো নিযুক্তি হল বরাকের ছেলেমেয়েরা বঞ্চিত তারপরও বরাকের বিজেপির মন্ত্রী সাংসদ বিধায়ক কোন কথা বলেন নি । প্ৰশ্ন তুলেছেন তিনি। অবিলম্বে ভবেশ কলিতা কে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রঞ্জিত দাসের কাছে দাবি তুলেছেন তিনি। তা নাহলে গোটা ভারতবৰ্ষের বাঙালিরা চুপ করে বসে থাকবেন না। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.