Header Ads

কাজিরঙা থেকে ফিরে বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য জানান ১৮ টি জন্তু মারা গেছে, ২৭টি হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : কাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের বন্যাপ্লবিত অঞ্চল থেকে ফিরে এসে বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য আজ বলেন, সেখানকার বন্যা পরিস্থিতিতে গন্ডার সহ অন্যান্য বন্যজন্তু হাই ল্যান্ডগুলোত গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। নিরাপদে আছে। তিনি জানান, এই বন্যায় একটি গন্ডার সহ ১৮টি জন্তু বন্যায় ডুবে, গাড়ি চাপা পড়ে মারা গেছে। ২৭ টি বন্য জন্তু  বিশেষ করে হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। বন কর্মীরা যান্ত্রিক নৌকা নিয়ে বন পাহাড়া দিচ্ছে। তিনি বলেন, ৩৭ জাতীয় পথে যেসব গাড়ি জন্তুদের চাপা দেবে তাদের শুধু ১০ হাজার ৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করার পক্ষে তিনি। বলেন, নিরীহ জন্তুগুলি প্রাণ বাঁচাতে রাস্তা অতিক্রম করে তাদের হত্যা সজয়েই মেনে নেওয়া যায় না। 
তিনি আরও বলেন, গত দেড় বছরে কাজিরাঙাতে মাত্র একটি গন্ডার হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দুই চোরা শিকারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এই প্রতিবেদককে আরও জানান, যেসব জন্তু প্রাণ বাঁচাতে কার্বি আংলঙের বুড়া পাহাড়ে যায়। তাদের যাতে কেউ হত্যা করতে না পারে তার জন্যে গন্ডার  নিরাপত্তার বিশেষ সশস্ত্র টিমকে পাহাড়ের মাথায় মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধ হয়ে, নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, বাঘের আক্রমণে গণ্ডার মারা যায়। এই সব মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলা যায় না। গগৈয়ের অভিযোগ, ২০১৬ সালের পর ৫৬৪ টি গন্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। সরকার তথ্য লুকচ্ছে। মন্ত্রী জানান, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে জন্তু জানোয়ারদের যাতে  নিরাপদে রাখা যায় তার জন্য আরো হাইল্যান্ড নির্মাণ করা হবে। চোরা শিকারিদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.