করোনা নিয়ে বিজেপি নির্বাচনী রাজনীতি করছে, মানুষের সব অধিকার খর্ব করা হচ্ছে : ডাক্তার অর্ধেন্দু কুমার দে
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : বিজেপি আমলে সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক প্রদত্ত মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে, কথা বলার, ভাষণ দেবার অধিকার নেই। কিছু বললে পুলিশের ভয় দেখানো হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ উদ্ভূত পরিস্থিতি আর লকডাউনকে সামনে রেখে বিজেপি নির্বাচনমুখী রাজনীতি শুরু করেছে। রাজ্যের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা ডাক্তার অর্ধেন্দু কুমার দে আজ হোজাই থেকে টেলিফোনে এই গুরুতর অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গুয়াহাটি শহরে মারন রোগ বাড়ছে, তাই লকডাউন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তি জেলাতে শনি ও রবিবার লক ডাউন জারি করা হলো কেন? এই প্রশ্ন করে ডাক্তার দে অভিযোগ করেন, কয়েক মাস বাদে নির্বাচন, কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো যাতে সভা সমিতি করতে না পারে। নির্বাচনী প্রস্তুতি চালাতে না পারে তার জন্য জেলাতেও দু'দিন তালা-চাবি লাগানো হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী দে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মনীতি বিজেপি মানছে না বলে অভিযোগ করে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা দিল্লি-মণিপুর থেকে ঘুরে এলেন তাকে কয়রেন্টিন সেন্টারে যেতে হলো না, অথচ দুই কংগ্রেস সাংসদ দিল্লি থেকে ফেরার পরই কয়রেন্টিনে পাঠানো হল। মুখ্যমন্ত্রীকে চা জনগোষ্ঠীর এক অনুষ্ঠানে দেখা গেল, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় নি। ডাক্তার দে ডাক্তার সত্যকাম ফুকনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, করোনা নিয়ে মানুষের মনে নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে। ডাক্তার ফুকুন সি বি আইয়ের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে নানা গণ্ডগোল আছে। আতংকের বাতাবরণ তৈরি করে বিজেপি রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার লন্ডনবাসী দাদাও ডাক্তার ফুকনের অভিমতকে সমর্থন করেছেন বলে জানান ডাক্তার দে। এরপরেও হিমন্ত বলেছেন, তিনি ডাক্তার ফুকুনকে চেনেন না। তার অভিযোগ, তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশ ছুঁয়েছে। শ্রমজীবী গরিব মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সম্পর্কে কটুকথা বললেও এক অপার ভালোবাসা ও সজীব আছে ডাক্তার দের মনে, বলতে ভুললেন না সে আমার এক বড় শিষ্য। এক সঙ্গে মন্ত্রিত্ব করেছি। আগামী নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস, এআই ইউ ডি এফ এবং বামপন্থী দল ছাড়াও অন্য সংগঠনগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচনে লড়বে। বর্তমান পরিস্থিতি কংগ্রেস দলের অনুকূলে বলে ডাক্তার দে মন্তব্য করেন।
কোন মন্তব্য নেই