Header Ads

রাজ‍্যে বন‍্যার সমস্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে, মৃত্যু প্রায় ১০০ জনের, ডুবে গেছে ৩৩টি গ্রাম, ক্ষতিগ্রস্ত ২৮ লক্ষাধিক

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি :  অসমের বন্যার পরিস্থিতি ক্রমশ শোচনীয় হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বন্যায় প্ৰাণ হারিয়েছেন প্রায় ১০০ কাছাকাছি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৮ লক্ষের বেশি মানুষ। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বন্যায় অসমের ৩৩টি জেলা জলের নিচে। এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৮ লক্ষ ৩২ হাজার ৪১০ জনেরও বেশি।
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধেমাজি, কোকরাঝাড়, ধুবড়ি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, দরং, বাকসা, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, দক্ষিণ শালমারা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, কামরূপ (মেট্রো), মরিগাঁও, নগাঁও,গোলাঘাট, যোরহাট, মাজুলি, শিবসাগর, ডিব্রুগঢ়, তিনসুকিয়া ও কাছাড় সমেত বিভিন্ন জেলা।
নতুন করে বন্যার জল ঢুকছে দধিয়া গ্রামে। ডুবে গিয়েছে অসংখ্য বাড়ি-ঘর। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা কোনও মতে নৌকা করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দাদের। চলতি বছরে এই নিয়ে তিন বার বন্যা হয়েছে দধিয়া গ্রামে। এখন পর্যন্ত সেখানে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৭ থেকে ৮ জনের। প্রায় ৩০০ গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে ।
বন্যায় নষ্ট হয়েছে ১.৪৬ লক্ষ হেক্টর চাষের জমি। নতুন করে অসমে বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। ইতোমধ্যেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র সহ অসমের একাধিক নদী। এর ফলে রাজ্যের জেলাগুলোতে আরও জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাছাড় ও করিমগঞ্জ জেলার বিস্তৃর্ণ এলাকাও বন্যার কবলে পড়তে শুরু করে দিয়েছে। সরকার থেকে জানানো হয়েছে, বন্যায় বিধ্বস্ত জেলার মানুষগুলোর সাহায্যের জন্য ২৭৬টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। ১৯২টি ত্রাণ বিতরণ সেন্টার করা হয়েছে ।
বন্যার প্রভাব পড়েছে কাজিরঙা জাতীয় উদ্যানেও। ইতোমধ্যেই সেখানে জলে ডুবে ১২৩টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১২টি একশৃঙ্গ গণ্ডার রয়েছে। বাকি পশুদের মধ্যে ৯৩টি হরিণ ও চারটি মহিষেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কাজিরঙা জাতীয় উদ্যান এবং টাইগার রিজার্ভের প্রায় ৯০ শতাংশ জলে ডুবে গিয়েছে। একই অবস্থা পবিতরাতেও। বন্যার জল থেকে প্রাণ বাঁচাতে, কোথাও বা জলের তোড়ে ভেসে লোকালয়ে হাজির হয়েছে বাঘ-গণ্ডার। তবে নিজেদের জীবন সংকটে ফেলে অসংখ্য বন্যপ্রাণীকে রক্ষা করে সংরক্ষণাগারেও পাঠিয়েছেন বনদফতরের কর্মীরা।
গোটা অসমে যে সময় অতিমারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে উঠছে, ঠিক সেই সময়  বন্যা পরিস্থিতিও আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। রাজ্য সরকারের কাছে দুই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনও মানুষ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। রাজ্যবাসীকে সবরকম সুবিধা ও সর্বতভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মানুষের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকারও।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.