Header Ads

অতিমারি করোনা ঠেকাতে অসমের যোরহাটে ৯ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা জেলা প্ৰশাসনের

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্ক,৭ জুলাইঃ অসমের যোরহাটেও অতিমারি করোনার গণ সংক্ৰমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার জেলায় কোনও ধরনের  ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত না থাকা ৩ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে।  জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে যোরহাট জেলা শাসক এবং ম্যাজিস্ট্ৰেট পুরসভার অধীনে এলাকাগুলোতে ৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি লকডাউনের ঘোষণা করেছেন। 

 ছবি, সৌঃ নিউজ১৮অসম
মঙ্গলবার যোরহাটে একইদিন ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। আক্ৰান্তরা সকলেই যোরহাট নগরের রাজা মৈদামের কালিস্থান এবং নিউ কলোনির বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অন্যদিকে পুলিশ থানার দুজন পুলিশ কৰ্মী এবং যোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন ইনটাৰ্ন ডাক্তারের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। 

লকডাউন নিয়ে যোরহাটের জেলা শাসক রশ্মি অপরাঞ্জি করাটি জানিয়েছেন- ৯ জুলাই সন্ধ্যে ৭ টা থেকে ১৫ জুলাই পৰ্যন্ত এক সপ্তাহ পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দুৰ্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৫এর ধারা ৩৪এর অধীনে জেলার পুরসভার অধীনে এলাকাগুলিতে সম্পূৰ্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনের সময় সমস্ত দোকান-পাট, সরকারী বেসরকারী অফিস,শপিং মল, রেস্টোরেন্ট, বাজার হাট , যানবাহন চলাচল সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্ৰ স্বাস্থ্য পরিষেবা, বাছাই করা কয়েকটি পেট্ৰোল পাম্প, গ্যাস সিলিন্ডার এজেন্সি, সংবাদ মাধ্যমের মতো প্ৰয়োজনীয় পরিষেবা খোলা থাকবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে জেলা প্ৰশাসন। যোরহাটের ব্যবসা প্ৰতিষ্ঠানগুলিতে প্ৰশাসনের তরফ থেকে র‍্যান্ডম টেস্ট করা হবে।

ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত না থাকা ৩ জনের নাম যচ্ছে যথাক্ৰমে - ভব দাস, জীনামণি কলিতা এবং পারুল ঘোষ। যোরহাট নগরের পাচনি বরা চুকের বাসিন্দা ভব দাস, পেশায় পাইকারী সব্জি বিক্ৰেতা। বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর জ্বর ভাব অনুভব করায় তিনি নিজে থেকেই জিএমসিএইচ-এ সোয়াব নমুনা দেন। তারপর এক সপ্তাহ ধরে নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। পকিমুরী হাবিগাঁওয়ের বাসিন্দা জীনামণি কলিতা এবং তৃতীয় জন গড়মূরের ইটাখুলির বছর ৬০ বাসিন্দা পারুল ঘোষ। কিভাবে কোভিড আক্ৰান্ত হলেন বলতে পারেন না। 

অন্যদিকে, মহারাষ্ট্ৰ ফেরত পংকজ দুঅরা নামের এক যুবকের শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। টিয়কের ভগামুখের জেলেঙ্গিটুপের বাসিন্দা পংকজ। গত ২৬ জুন সে যোরহাট স্ত্ৰিনিং কেন্দ্ৰে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল।

 উল্লেখ্য যে, যোরহাটে ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত না থাকা করোনা আক্ৰান্তের রোগীর সংখ্যা এখন পৰ্যন্ত ২০ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা আক্ৰান্ত অঞ্চলগুলিতে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে জেলা প্ৰশাসন চিনা এই ভাইরাসটিকে ঠেকানোর চেষ্টা করছে। করোনা আক্ৰান্তদের প্ৰত্যক্ষ সংস্পৰ্শে যারাই এসেছেন তাদের সকলের সোয়াব নমুনা সংগ্ৰহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে যোরহাট জেলা প্ৰশাসন।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.