হটস্পট পাণ্ডুর ঘরে ঘরে করোনার পরীক্ষা
পাণ্ডুতে করোনার সংক্রমণ কমেছে, বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
দেবযানী পাটিকর,গুয়াহাটি, ৮ জুলাইঃ
দেশজুড়ে অতিমারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যেও প্রতিদিনই নতুন করে সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন বহু লোক। করোনা মোকাবিলায় গত ২৮ জুন রাত থেকে গুয়াহাটিতে জারি করা হয়েছে সম্পূৰ্ণ লকডাউন । তাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। সংক্রমণ এড়াতে মহানগরবাসীকে গৃহবন্দী থাকতে অনুরোধ করেছে প্রশাসন।
মহানগরের পাণ্ডু এলাকা করোনার হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে । কারণ প্রতিদিনই এই এলাকা থেকে বহু লোক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বর্তমানেও পাণ্ডুতে গণ সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
সরকার করোনার সংক্রমণকে ঠেকাতে একসঙ্গে বহু লোককে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । পাণ্ডুর ২ নম্বর ওয়ার্ডে মঙ্গলবার থেকে শুরু করা হয়েছে ঘরে ঘরে গিয়ে করোনার র্যাপিড টেস্টিং। এই প্রথম একসঙ্গে এতো লোককে পরীক্ষা করা হচ্ছে । আগামী দুদিন পরীক্ষা করা হবে । এক সঙ্গে তিন হাজার লোককে পরীক্ষা করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পান্ডুতে করোনার পরীক্ষা চলাকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গিয়ে হাজির হন। তিনি জানান যে এদিন পাণ্ডুর ২৩৩ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে যেখানে শুধু ৭ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। করোনা সংক্রমণ ৩০% থেকে ১৬% শতাংশের কম হয়েছে এটা খুবই আশাজনক খবর বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী। তিনি আরও বলেন যে আজকের দিনের পরীক্ষার রেজাল্ট শুনে তাঁর খুবই ভালো লেগেছে। আপাতদৃষ্টিতে আজকের দিনটা ভাল। ওয়ার্ড নম্বর ২ এর পর ওয়ার্ড নম্বর ১৫, ১৬ র ও ফাঁসী বাজারে করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
পাণ্ডুর বাসিন্দা মীনা ভড়ালী নামের এক মহিলার করোনাতে গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(জিএমসিএইচ) মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন যে ১০তারিখ পর্যন্ত সমস্ত পরীক্ষা করা হবে। এর পর লকডাউনের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওদিকে পান্ডুর করোনা পরীক্ষার সময় এলাকার বহু লোক সোয়াব পরীক্ষা করাতে সম্মত হননি । স্বাস্থ্যকর্মীরা লোকেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজায় কড়া নাড়লেও অনেকেই দরজা খোলেননি। স্বাস্থ্যকর্মীরা অবশ্য ঘরে ঘরে গিয়ে লোকদের পরীক্ষা করানোর আহবান জানিয়েছেন। তবে কিছু কিছু জায়গায় তাদের নিরাশ হতে হয় ।
কোন মন্তব্য নেই