Header Ads

করোনা সংক্রমণ রোধে গরিব শ্রমজীবী মানুষের কথা চিন্তা না করে অহেতুক লক ডাউন বলবৎ করা হচ্ছে : সুপ্রকাশ তালুকদার

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমের অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয়। বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় নির্ভরতা বহুগুণ বেড়ে গেছে। মাত্র ৩০ শতাংশ অর্থের উপর নিয়ন্ত্রণ আছে। রাজ্যে শিল্প বিকাশ নেই। এই সীমাবদ্ধ আর্থিক পরিস্থিতিতে মানুষের   কল্যাণ করা যায় না। গণশক্তির উদ্যোগে আয়োজিত বিজেপি সরকারের চার বছরের কার্যক্রম সম্পর্কে এক অনলাইন আলোচণাচক্রে অংশ গ্রহণ করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জয়দ্বীপ বড়ুয়া একথা বলেন। তিনি বলেন, রাজ্যে বিশ্বশিল্প সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। শিল্প কোথায়, এক পরিসংখ্যা তুলে বলেন, রাজ্যে ৭৭৫ টি শিল্প উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেল। কেন্দ্রের হাতে সব ক্ষমতা, সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। যার উদ্যোগে এই আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত সেই বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা সুপ্রকাশ তালুকদার বলেন, বহু আশা নিয়ে মানুষ কংগ্রেসের অপশাসন থেকে পরিত্রাণ পেতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল, কিন্তু কি দেখলো, গণতান্ত্রিক সব অধিকার খর্ব করে সমাজের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি করতে ব্যস্ত বিজেপি। কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ নিয়েও রাজনীতি করছে। মানুষের অভাব অভিযোগের সুরাহা না করে শ্রমজীবী মানুষকে পথে বসিয়ে লকডাউনের পর লকডাউন বলবৎ করা হচ্ছে। পুলিশের হাতে ক্ষমতা দিয়ে মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তারা চায় এই মারণ রোগ নির্মূল হোক, তবে সব কিছু পরিকল্পনা করে করা হোক। 
জাতি-মাটি-ভেটি রক্ষার কথা বলে অসমীয়া মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে সরকার। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ইসফাকুর রহমান এই আলোচনাচক্র   পরিচালনা করেন। কৃষকদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন ভূপেন শর্মা বলেন, রাজ্যে ৮৬ শতাংশ কৃষিজীবী, ৪০ শতাংশের হাতে মেয়াদি পাট্টার জমি নেই। কৃষকদের তিন বিঘা করে জমি দেওয়ার আশ্বাস কোথায় গেল বলে শর্মা প্রশ্ন তোলেন। শিক্ষাবিদ ইন্দ্রানী দত্ত বর্তমান শিক্ষকদের জীবন জীবিকার অনিশ্চয়তার কথা বলেন। চর অঞ্চলে নিরক্ষতার হার এত বেশি কেন। আইনজীবী সান্তুনু বড়ঠাকুর অভিযোগ করেন রাজ্যে অকথিত জরুরি অবস্থা চলছে। গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.