Header Ads

এবার এন ৯৫ মাস্ক নিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
করোনা পরিস্থিতিতে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে মাস্ক। কিন্তু কোন মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ আর কোনটা উচিৎ নয়, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এবার এন ৯৫ মাস্ক নিয়ে সতর্ক করল খোদ কেন্দ্রীয় সরকার। এই্ বিষয়ে সোমবার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখেছে কেন্দ্র।
 
সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে যে ভালভ লাগানো N-95 মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এতে ভাইরাসের সংক্রমণ আটকায় না বরং এই মাস্কের ব্যবহার ক্ষতিকারক হতে পারে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হেল্থ সার্ভিসের ডিজি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষের এই ধরনের মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে যেসব ঘরে বানানো মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে, তা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্র জানাচ্ছে, বাড়িতে বানানো এইসব ফেস কভার প্রত্যেকদিন ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করতে হবে। আর এই ধরনের মাস্ক বানানোর জন্য সব ধরনের কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
জানানো হয়েছে যে, ওই কাপড়ের মাস্ক প্রত্যেকদিন গরম জলে পাঁচ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে ও ভালোভাবে শুকোতে হবে। তবে মুখ ও নাকের চারপাশে কোনও ফাঁক থাকলে চলবে না।
ইতিমধ্যেই গোটা দেশে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণের নয়া রেকর্ড। একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। এরই পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হয়ে গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ১১ লক্ষের গণ্ডি পার করেছে।
লাগামছাড়া সংক্রমণ গোটা দেশে। দেশের কোণায়-কোণায় বিদ্যুৎ গতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। সোমবার সকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৩। দেশে করোনায় মৃত বেড়ে ২৭ হাজার ৪৯৭। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৫৯টি। ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনামুক্ত হয়েছেন।
দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে রীতিমতো আতঙ্কে বিশেষজ্ঞরাও। তাঁদের অনেকেরই দাবি, ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
আশঙ্কা বাড়িয়ে এবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনেরও কেউ কেউ বলছেন, দেশে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও তাঁর রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা জানিয়েছিলেন। তবে কেন্দ্রের তরফে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরুর বিষয়টি নিয়ে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা মেলেনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.