Header Ads

প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগে এনআইটির জমি অবৈধ জমি দখলকারীদের অধীনে


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, শিলচর : রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগে রাষ্ট্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিলচর এনআইটির কয়েক বিঘা জমি অবৈধ জমি দখলকারীদের অধীনে চলে গেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে প্রকাশ। অনেক দিন ধরে এনআইটির কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনকে এনআইটির জমি চিহ্নিত করে দিতে অনুরোধ করা স্বত্বেও আজ পর্যন্ত এনআইটির জমি চিহ্নিত করে দেওয়া হয়নি। যার দরুণ এনআইটির কর্তৃপক্ষ চারসীমার বাউন্ডারি ওয়াল বানাতে পারেনি।শেষে কোনো উপায় না পেয়ে সিকিউরিটি ওয়াল দিতে হয়েছে এনআইটি কর্তৃপক্ষকে, স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ। এনআইটির আশপাশের জমির মার্কেট রেইট উচূ থাকার সুযোগে স্থানীয় জমি দালাল চক্র বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ দুষ্ট চক্র জমি জবরদখল করে বিক্রি করে চলছে এবং মোটা মুনাফা জন্য সবকিছু ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছে। জমি জবরদখল করে বিক্রি করে অনেকেই কোটি পতি হয়েছেন বলে সূত্রমতে প্রকাশ। কিছু দিন পূর্বে স্থানীয় একটি শ্মশানের জমিও জবর দখল করার চেষ্টা চালায় স্থানীয় জমি মাফিয়ারা। এখানে উল্লেখ্য যে প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ স্হানীয় শ্মশানটির নির্মাণের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে দুই লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছিলেন এবং সে অনুদানে কাজও হয়েছে। বাকি অসম্পূর্ণ কাজ চলাকালীন জমি মাফিয়াদের আঙ্গুলি হেলনে পুলিশে মামলা হয় এবং আইনি বেড়াজালে কাজটি আটকে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ইদানিং এনআইটির জমি জবরদখলের আরো একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে । এক্ষেত্রেও, স্থানীয় প্রশাসনের ধীরে চলো নীতির জন্য রাতারাতি ঘর বানিয়ে ঘরে প্রবেশ করে পুরো প্রক্রিয়াকে আইনি জটিলতায় জড়ানোর চেষ্টা চলছে। অথচ সময়োচিত পদক্ষেপ নিলে জাতীয় স্তরের এই প্রতিষ্ঠানটির জমির জবর দখল আটকানো যেত। আসাম সরকারের অসম লেণ্ড গ্রেবি়ং প্রহেবিশন এক্ট, ২০১০ থাকা সত্ত্বেও কোনো এক অজ্ঞাত শক্তির বলে এ আইনের ধারে কাছেও যাচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। অথচ এই আইনের আওতায়  এনআইটির জমি সহজেই দখলমুক্ত করা যেত। জাতীয় স্তরের এই প্রতিষ্ঠানটির জমি এভাবে জবর দখলকারীদের কব্জায় যেতে থাকলে ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি হবে বলে স্থানীয় সচেতন জনতার ধারণা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.