Header Ads

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল, করোনা ঠেকাতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিরাপদ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের জন্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে আজ অৰ্থাৎ সোমবার সেই পরীক্ষার প্রথম ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম। আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে ভ্যাকসিনটির প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
 
প্রায় ১,০৭৭ মানুষের ওপর পরীক্ষার পর, ফলাফলে দেখা গেছে, পরীক্ষার ৫৬ দিন পর্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টিবডি উৎপাদন ও টি-সেল রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর এই ফল আরও বেশি হতে পারে।
 
প্রসঙ্গত, বিশ্বের দুই শতাধিক ভ্যাকসিন উদ্ভাবন প্রচেষ্টার মধ্যে যে ১৪টি মানুষের শরীরে ট্রায়াল করা হয়েছে তাদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডার্না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে, ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্সফোর্ডই সব থেকে এগিয়ে রয়েছে। একে একটি বড় রকমের প্রতিশ্রুতিশীল আবিষ্কার হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। তবে এটি পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারবে কি-না, তা বলার চূড়ান্ত সময় এখনও আসেনি। এ নিয়ে ব্যাপক আকারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও চলছে।
তবে গবেষকদের এই পর্যবেক্ষণকে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল বলে দেখা হচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্য সরকার এরই মধ্যে এই ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজের অর্ডার দিয়ে রেখেছে।
অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের কোড নাম ChAdOx1 nCoV-19। ভ্যাকসিনের ইতিহাসে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে রেকর্ড পরিমান কম সময়ে এই ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করা হয়েছে।
শিম্পাঞ্জির সাধারণ সর্দি কাশির জন্য দায়ী একটি ভাইরাসকে জিনগতভাবে পরিবর্তন করে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে কোনো সংক্রমণ ঘটাবে না এবং ভাইরাসটির জিনগত পরিবর্তন সাধন করে নভেল করোনাভাইরাসের কাছাকাছি বৈশিষ্ট্যের একটি নতুন ভাইরাসে রূপান্তর করা হয়েছে।
অর্থাৎ এই ভ্যাকসিন মূলত করোনাভাইরাসের মতোই একটি জীবাণু কিন্তু সংক্রমণে সক্ষম নয়। ফলে এটি করোনাভাইরাসের মতো ভাইরাসের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিরোধ গড়তে হবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সে বিষয়ে প্রশিক্ষিত করে তুলতে সহায়তা করবে।
গবেষকরা বলেছেন, বয়স্কদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে আরো ক্লিনিক্যাল গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। পরীক্ষার এই ধাপের ফলাফল গবেষণাগারে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিমাপকে কেন্দ্র করে। ভ্যাকসিনটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা দেয় কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরো পরীক্ষার প্রয়োজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.