Header Ads

ফুসফুসে জল জমে মৰ্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে কেরলের মালাপ্পুরমের অন্তঃসত্ত্বা হাতিটির

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্ক, ৫ জুনঃ কেরলের মালাপ্পুরম মান্নারকড়ে অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৰ্মান্তিক মৃত্যুতে সারা দেশে ক্ষোভ এবং নিন্দার ঝড় উঠেছে। বুনো ওই হাতির মৃত্যুর পেছনে যাদের হাত রয়েছে অপরাধীদের কড়া শাস্তি হোক, গোটা দেশে এই দাবি উঠেছে। ইতিমধ্যেই হস্তিনীর ময়নাতদন্তের রিপোৰ্টে কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তা হল মৃত্যুর আগে হস্তিনীর শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। বিস্ফোরণে মুখের ও ঘাড়ের অংশ ভেঙে গিয়েছিল। ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল জিভ। পোকা জমেছিল মুখে। পাকস্থলীতে কোনও খাবার ও জলের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার পেটে দু’ মাসের ভ্ৰুণ ছিল। পেটের সন্তানকে বাঁচানোর জন্যই সম্ভবত জলে নেমেছিল হাতিটি। মুখে বিস্ফোরণের জ্বালা যন্ত্ৰণা তো ছিলই। তার শরীরে বুলেট বা অন্য কিছু ঢোকানো হয়নি। মুখে ক্ষত ছাড়া শরীরে অন্য কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। টানা তিন দিন জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে খুব কষ্ট পেয়ে মারা গেছে হাতিটি। ফুসফুসে জল ঢুকে শ্বাস প্ৰশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাতিটির। প্ৰশ্ন হচ্ছে হাতিটির ওই অবস্থার জন্য দায়ী কে ? 

ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
রিপোৰ্টে বলা হয়েছে- হাতিটির মুখের ভেতরে বারুদ বিস্ফোরণের ক্ষত এবং সংক্ৰমণের কারণে দুসপ্তাহ ধরে সে কিছু খেতে পারেনি। ফলে তার শরীর ভেতর থেকে দুৰ্বল হয়ে গিয়েছিল। কেরল বন দফতরের বিস্তারিত রিপোৰ্টে এই তথ্যই দেওয়া হয়েছে। পুরোদমে ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
গত সপ্তাহের এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। সরব হয়েছেন সকল বিবেকবান মানুষ। কেরলের মুখ্যমন্ত্ৰী পিনারাই বিজয়ন দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। নৃশংস এই ঘটনায় সরব হয়েছেন কেন্দ্ৰের পরিবেশ মন্ত্ৰী প্ৰকাশ জাভরেকর, বিজেপি সাংসদ তথা  কেন্দ্ৰের প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী মনেকা গান্ধী। শুক্ৰবার এই ঘটনায় একজনকে গ্ৰেফতারও করেছে কেরল পুলিশ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.