হাইস্কুল শিক্ষান্ত ও হাই মাদ্ৰাসা পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি : আজ ঘোষিত হল হাইস্কুল শিক্ষান্ত এবং হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার ফলাফল। সকাল ৯টায় সেবা ঘোষণা করল মেট্রিকের ফলাফল। সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা ঘোষণা করল ফলাফল। এবার থাকছে না পরীক্ষার ফলাফলের বুকলেট। কেবল উয়েবসাইট যোগে প্রকাশ করা হয়েছে পরীক্ষার ফলাফল। এবার ৮,৬৯০টি সেন্টারে ৩,৪২,২২৪ জন পরীক্ষার্থী অবতীর্ণ হয়েছে হাইস্কুল শিক্ষান্ত পরীক্ষায়। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২২১৭৫৬ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণের হার ৬৪.৮০ শতাংশ। আজকের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী এবার মেট্রিক পরীক্ষার শীর্ষস্থানে রয়েছে দরঙের ধৃতিরাজ বাস্তব কলিতা। ধৃতিরাজ মোট ৫৯৫ নম্বর পেয়েছ।

রাজ্যে মোট দশ জন শীর্ষস্থান দখল করেছে। দরং জেলার পদুম পুখুরী হাইস্কুলের ছাত্র ধৃতিরাজ বাস্তব কলিতা ৫৯৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করে।

ডিব্রুগড়ের সল্ট ব্রুক স্কুলের ছাত্র অলংকৃতা গৌতম বরুয়া ৫৯৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।
লখিমপুর জেলার নারায়ণপুরের জ্ঞানজ্যোতি একাডেমীর দেবিস্মা প্রিয়া বরা ৫৯১ নম্বর, নলবাড়ি বরভাগের শংকরদেব শিশু বিদ্যা নিকেতনের জ্যোতিস্মাম দেব শর্মা ৫৯১ নম্বর এবং গুয়াহাটির সেইন্ট মেরিজ এইচএস স্কুলের চাকি জি বাল্টন ৫৯১ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

নলবাড়ি জেলার লিটিল ফ্লাবার স্কুলের নমস্য ডেকা ৫৯০ নম্বর এবং দক্ষিণ গুয়াহাটি জাতয়ী বিদ্যালয়ের হিয়াশ্রী শর্মা ৫৯০ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান দখল করেছে।

পঞ্চম স্থানে রয়েছে ডিব্ৰুগড় জেলার নীলমণি আদৰ্শ জাতীয় বিদ্যালয়ের মানস উত্তম নেওগ (৫৮৯)। অঙ্কুরজ্যোতি বেজবরুয়া (৫৮৯), উদয়ন শান্তি নিকেতন, বেজেরা। হীরকজ্যোতি বৈশ্য (৫৮৯), করিয়া হায়ার সেকেণ্ডারী স্কুল, নলবাড়ি।

ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বৰপেটা জেলার মারিয়া হাইস্কুলের হৰ্ষ বৰ্ধন মহেশ্বরী (৫৮৮)। হরিদ্ৰা বরা (৫৮৮)  সেক্ৰেট হাৰ্ট হাইস্কুল, গোলাঘাট। রণোজজ্যোতি বরুয়া (৫৮৮), জ্ঞানজ্যোতি একাডেমী, নারায়ণপুর, লখিমপুর জেলা। হিমাশ্ৰী বরায়া (৫৮৮), ফুলেশ্বরী গার্লস এইচ এস স্কুল, শিবসাগর।

সপ্তম স্থান দখল করেছে অভিলাষা দত্ত (৫৮৭), ছেইণ্ট মেরিজ হাইস্কুল, উত্তর লখিমপুর।ঝলক জালান (৫৮৭), ছেইণ্ট এণ্টনীজ ইংলিছ স্কুল, নগাঁও।

অষ্টম স্থান দখল করেছে আনিশা রায় (৫৮৬), হলী ক্ৰস এইচ এস স্কুল, কাছাড়। নিখিলেশ দত্ত (৫৮৬), শংকরদেব বিদ্যা নিকেতন, রামদিয়া, কামরূপ। সিমরণ বরা (৫৮৬), ব্ৰুকফিল্ড স্কুল, লখিমপুর। অন্তরীক্ষ হাজরিকা (৫৮৬), নামতি চারআলি জাতীয় বিদ্যা নিকেতন, শিবসাগর। অন্বেষা চাংকাকতি (৫৮৬), ডনবস্কো হাইস্কুল, ডুমডুমা।

নৱম স্থানে রয়েছে  ভৃগু মোহন কুমার (৫৮৫), শ্ৰীমন্ত শংকরদেৱ বিদ্যালয়, দরং। রাজদীপ বরুয়া (৫৮৫) শংকরদেব শিশু নিকেতন, কাকডোঙা, গোলাঘাট। নিহারিকা ভরালী (৫৮৫), গোলাঘাট জাতীয় বিদ্যালয়, গোলাঘাট। শিল্পী শিখা ডেকা (৫৮৫), পলাশতল কাচমারী হাইস্কুল, নগাঁও। মাসুম মেহতাব (৫৮৫), শংকরদেব শিশু নিকেতন, বাহারঘাট, নলবাড়ি। ইমন বৈশ্য (৫৮৫), শংকরদেব শিশু নিকেতন, বাহারঘাট, নলবাড়ি। অভিনব গগৈ (৫৮৫), সেইণ্ট যোসেফ হাইস্কুল, মরাণহাট, শিবসাগর। অবিনাশ কেওট (৫৮৫), সেইণ্ট ষ্টিফেন্স হাইস্কুল, তিনিসুকিয়া। অনন্যা মেধি (৫৮৫), অসম জাতীয় বিদ্যালয়, নুনমাটি। নীরজ খেতান (৫৮৫), হেপী চাইল্ড হাইস্কুল, গুয়াহাটি। এবং দশম স্থান দখল করেছে পূজা বেনাৰ্জী (৫৮৪), শংকরদেব শিশু নিকেতন, বহরি, বরপেটা। প্ৰেরণা ডেকা (৫৮৪), বঙাইগাঁও এইচ এস স্কুল, বঙাইগাঁও। পারসা তাজনিম বরভূঞা (৫৮৪), শিলচর কলেজিয়েট স্কুল, কাছাড়। আনন্দিতা কোঁয়র (৫৮৪), সেইণ্ট জেভিয়াৰ্ছ স্কুল, মানকটা, ডিব্ৰুগড়। ভাৰ্গবজ্যোতি দাস (৫৮৪), শংকরদেব বিদ্যা নিকেতন, রামদিয়া, কামরূপ। অলিন্দিতা কলিতা (৫৮৪), ক্লিরদাপ শংকরদেব শিশু নিকেতন, ডিফু। ডিবিজ বিকাশ (৫৮৪), সেইণ্ট মেরিজ হাইস্কুল, উত্তর লখিমপুর। অংকিতা দে (৫৮৪), গুড সমরিতান ইংলিশ হাইস্কুল, নগাঁও। ঋত্বিক কুমার সুত (৫৮৪), প্ৰাঞ্জল মেম’রিয়েল একাডেমী, নগাঁও। শশাংক হালৈ (৫৮৪) আনন্দ বিদ্যা নিকেতন, নলবাড়ি। ও মিছবাহউল করিম (৫৮৪), লিটিল স্টার স্কুল, চারআলি, শোণিতপুর।

হাইস্কুল শিক্ষান্ত পরীক্ষার লগে লগে ঘোষিত হল অসম হাই মাদ্রাসার পরীক্ষার ফলাফল। এবার হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে ৯৩৪৭ জন শিক্ষার্থী। এর ভেতরে উত্তীর্ণ হয় ৫৯৫১ জন। উত্তীর্ণের হার ৬৩.৬৭ শতাংশ। হাই মাদ্রাসার শীর্ষে জিলিকিল বরপেটার ধাকুয়া হাই মাদ্রাসার ইয়ামিন আলী। ইয়ামিন আলী লাভ করেছে মোট ৫৫৮ নম্বর। দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে কামরূপ গ্রাম্য জেলার এস এ বি হাই মাদ্রাসার আপছানা য়াসমিন। সে লাভ করেছে মোট ৫৫২ নম্বর এবং হাই মাদ্রাসায় তৃতীয় স্থান দখল করেছে কোকরাঝাড় জেলার নবজ্যোতি হাই মাদ্রাসার রসিদুল আলী।

হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী মোট পরীক্ষার্থীর ভেতরে ৭১২ জন প্রথম বিভাগ, ২৬৩৯ জন দ্বিতীয় বিভাগ এবং ২৬০০ জন তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। হাই মাদ্রাসায় ছাত্রের উত্তীর্ণের হার ৬৫.২৫ শতাংশের বিপরীতে ছাত্রীর উত্তীর্ণের হার ৬২.৬২ শতাংশ।