Header Ads

বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনায় কামাখ্যা ধামে প্রদীপ প্রজ্বলন


দেবযানী পাটিকর,গুয়াহাটি

নীলাচল পাহাড় স্থিত বিশ্ব বিখ্যাত শক্তিপীঠ কামাখ্যা ধামে শুক্রবার ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে খুলল মার মন্দিরের কপাট।এদিন সন্ধ্যায় দেবালয় পরিচালনা সমিতির উদ্যোগে বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনায় সম্পুর্ন মন্দির প্রাঙ্গনে প্রদীপ জ্বালানো হয়।মন্দিরকে দেখতে ভীষন সুন্দর লাগছিল।যেন অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত হয়েছে আলো।হাজার হাজার প্রদীপের আলোকে আলোকিত হলো মার মন্দির।
উল্লেখ্য যে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ১৬ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে অম্বুবাচী নিবৃত্তি হবার পর শুক্রবার সকালেই ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের কপাট। এবছর প্রথম  অম্বুবাচীর মেলা ভক্তদের ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল।


উল্লেখ্য যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য গত ২০ তারিখ থেকেই  কামাখ্যা মার মন্দিরের ভক্তদের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়।যা বর্তমানে ও বন্ধ আছে।৩০জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মার মন্দির।
অম্বুবাচী উৎসব উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।প্রতি বছর লাখো ভক্তেরা মার আশীর্বাদ নিতে  শক্তিপীঠে আসেন।এবার শুধু ব্যতিক্রম।করোনার গন সংক্রমণের আশঙ্কায় গত মার্চ মাসের ২০ তারিখ থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বর্তমানে মন্দিরের চারপাশে শুধুই নিস্তব্ধতা। উল্লেখ্য যে কামাখ্যা ৫১ সতী পীঠের অন্যতম ও সবচেয়ে বিখ্যাত রহস্যময় পীঠ। এখানে অম্বুবাচীর সময় দেশ-বিদেশ থেকে লাখো ভক্তেরা মার আশীর্বাদ নিতে  উপস্থিত হন।






এবার করোনা সংক্রমণের জন্য নামনি কামাখ্যা থেকে কামাখ্যা মন্দির পর্যন্ত রাস্তা খালি দোকান সব বন্ধ ।বিগত প্রায় তিন মাস ধরে মায়ের মন্দির বন্ধ। নেই কোন দর্শনার্থী।  উল্লেখ্য যে কামাখ্যা মন্দিরের দোকান দিয়ে এবং পান্ডারা পূজা-পার্বণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন ।এখানে সবাই বসবাসকারী প্রায় পান্ডা ও পূজার সাথে  যুক্ত হয়ে আছেন। মন্দির বন্ধ থাকার ফলে এরা সবাই আর্থিক সংকটে পড়েছেন।কামাখ্যার অম্বুবাচী উৎসব সবচেয়ে বড় উৎসব। এর আকর্ষণ হল অম্বুবাচী মেলা। এর সাথে জুড়ে আছে আসামের পর্যটন ও অনেক লোকের জীবিকা। এবার করোনা মহামারীর জন্য সবকিছুই বন্ধ। ধর্মীয় রীতিনীতিতে ও  খুব কমসংখ্যক পূজারীর উপস্থিতিতে পালন করা হয় এবারের অম্বুবাচি উৎসব।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.