প্রতিভা থাকলে দারিদ্রতা জয় করা যায়, প্রমাণ করলেন দুটি হাত না থাকা আব্দুল মজিদ
অমল গুপ্ত,
গুয়াহাটি : আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী পরিবারের সন্তানদের কৃতকার্যতা নিয়ে উৎফুল্লতা হওয়ার কোনো কারণ দেখিনা। যথেষ্ট টাকা পয়সা আছে, নামকরা বিদ্যালয় কলেজে পড়বে, ভালো ফল তো করবেই। কিন্তু গ্রামের প্রত্যন্তর অঞ্চলে বসবাস করা চালচুলোহীন দরিদ্র পরিবারের কোনো সন্তান রীতিমতো জীবন যুদ্ধ করে, পড়াশোনায় সফলতা লাভ করে তাকে স্যালুট করতেই হবে। এরকমই কামরূপ জেলার চাংসারি গ্রামের আব্দুল মজিদ আলী যার দুটি হাত নেই। ধাপাতারি সিলভাড়াল বিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল মজিদ ৫টি বিষয়ে লেটার পেয়ে ৮৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীণ হয়েছেন। সেও ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশ সেবার আশা প্রকাশ করেছে। প্রতিভা থাকলে দরিদ্রতা কোনো বাধা হয় না। হাই মাদ্রাসার প্রথম স্থান অধিকার করা বরপেটার ইয়ামিন আলী ৫৫৮ নম্বর পেয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। বাবা রিকশা চালান, বাড়িতে কোনো বিদ্যুৎ নেই, মা ফুটপাথে শাক সব্জি বিক্রি করেন। অসমের করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের মন ভালো নয়। এবার ফলাফলের দিন কোনো আনন্দ উল্লাস ছিল না। সব ডিজিটাল, এর মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করা বরপেটার মারিয়া হাই স্কুলের হর্ষবর্ধন মহেশ্বরিকে এবার কয়রেন্টিনে কাটাতে হয়েছে। নারাযণপুরের মেধাবী ছাত্রী প্রতীক্ষা আর ফলাফল জানার আগেই মারণ রোগ কেন্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রথম স্থান পাওয়া বহরমপুরের ধৃতিরাজ বাস্তব কলিতা অসমীয়া মাধ্যমের ছাত্র, ৬০০-এর মধ্যে ৫৯৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান লাভ করেছেন। ডিব্রুগড়ের সল্টব্রুক স্কুলের সুনাম আছে। এবার দ্বিতীয় স্থান পেলেন অলংকৃতা গৌতম বড়ুয়া। এবার গ্রামাঞ্চল ও সরকারি স্কুল সফলতা লাভ করেছে। শিবসাগর নলবাড়ী, দরং জেলা বিশেষ সফলতা পেয়েছে। এ আই ইউ ডি এফ-এর সভাপতি বদরুদ্দিন আজমল ও আজমল ফাউন্ডেশনের পক্ষে সিরাজুদ্দিন আজমল সফলতা লাভ করা ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষক অভিভাবকদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন। শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা কৃতি ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আগামীকাল ছাত্রদের ভবিষৎ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান হবে। তিনি আজ জানাতে পারলেন না কবে বিদ্যালয় খুলবে। তিনি বলেন, যতদিন কয়রেন্টিনে সেন্টার থাকবে, কোভিভ সংক্রমণ থাকবে ততদিন বিদ্যালয় খোলা হবে ঝুঁকিপূর্ণ।
কোন মন্তব্য নেই