Header Ads

৩ বছর পার করল বাংলা নিউজ ওয়েব পোৰ্টাল ‘নয়া ঠাহর’

সহযোগী সম্পাদক, রিংকি মজুমদার

 একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে বহু ঘাত প্ৰতিঘাতের মধ্যে দিয়ে তিন বছর পার করল বাংলা নিউজ ওয়েব পোৰ্টাল ‘নয়া ঠাহর’। ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকায় একমাত্ৰ বাংলা ওয়েব পোৰ্টাল। ইতিমধ্যেই পোৰ্টালটি সমগ্ৰ উত্তরপূৰ্বাঞ্চল সমেত বিশ্বজুড়ে বাঙালি পাঠকদের কাছে জনপ্ৰিয়তা অৰ্জন করেছে। বৰ্তমানে নয়া ঠাহর-এর পাঠক সংখ্যা সাড়ে ১৩ লক্ষ অতিক্ৰম করেছে। একটা ওয়েব পোৰ্টাল শুরু করার ভাবনা ছিল অনেক আগে থেকেই । তারপর বহু আলাপ আলোচনার পর ২০১৮ সালের ৬ জুন এতদ অঞ্চলের বরিষ্ঠ সাংবাদিক অমল গুপ্তের প্ৰচেষ্টায় প্ৰথম ডিজিট্যাল দুনিয়ায় আত্মপ্ৰকাশ করে ‘নয়া ঠাহর’। তার আগে প্ৰত্যেক বছর ‘ঠাহর’ পুজো সংখ্যা প্ৰিন্ট আকারে বের হতো। তারপর আরও একধাপ এগিয়ে গত তিন বছর ধরে আৰ্থিক সংকটের মধ্যেই বহু ঘাত প্ৰতিঘাত পেরিয়ে ৩ বছর পার করল ‘নয়া ঠাহর’।  
মূলত পরিবেশ,প্ৰকৃতি,বন জঙ্গল, ইতিবাচক রাজনীতি, দেশ বিদেশের খবর, ভ্ৰমণ, কোনও গুরুত্বপূৰ্ণ ঘটনার বিশ্লেষণ, সাময়িকী, বইয়ের সমালোচনা, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পোৰ্টালটিতে জায়গা করে নিয়েছে। এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, অতি সম্প্ৰতি অতিমারি কোভিড-১৯ এর প্ৰকোপে লকডাউনের সময় বিভিন্ন খবর পোৰ্টালটিকে পাঠকদের আরও কাছাকাছি নিয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে থাকা শ্ৰমিকদের দুঃখ দুৰ্দশা নিয়ে বিস্তারিতভাবে লিখেছেন খোদ সম্পাদক অমল গুপ্ত। এইসব মিলিয়েই ‘নয়া ঠাহর’-এর জনপ্ৰিয়তা বাড়িয়েছে আরও বেশি।
নয়া ঠাহর-এর চলার পথে যাদের ইতিবাচক সহযোগিতা আমরা পেয়েছি তাঁদেরকে কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ না করলে লেখাটি অসম্পূৰ্ণ থেকে যাবে। কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড০ প্ৰশান্ত চক্ৰবৰ্তী, তিনসুকিয়া কলেজের অধ্যাপক সুশান্ত কর ও মাঝে মধ্যেই তাঁদের বহুমূল্যবান লেখা দিয়ে পোৰ্টালটিকে সম্বৃদ্ধ করেছেন। অসমের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অসমের মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল, প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ, প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত, প্ৰাক্তন সাংসদ জয়শ্ৰী মহন্ত, এআইইউডিএফ-এর প্ৰধান বদরুদ্দিন আজমল, বনমন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য, প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী অৰ্ধেন্দু দে, বরাকের বিজেপি সাংসদ রাজদীপ রায় সমেত সকলেই সরকারীভাবে পোৰ্টালটিকে এগিয়ে চলার পথে যথেষ্ট ইতিবাচক সহযোগিতা করেছেন।
ঠাহর-এ তথ্য ও প্ৰযুক্তিগত ভাবে সাহায্য করেছেন আমাদের সাংবাদিক বন্ধু সুলতান মীৰ্ধা। প্ৰযুক্তি সংক্ৰান্ত কোনও অসুবিধা হলেই সুলতানকে ফোন করলে সব সময়ই তিনি হাসিমুখে সমস্যার সমাধানে সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। দিল্লি থেকে চিত্ৰ শিল্পী অরুপ গুপ্ত ঠাহর-এর পুজো সংখ্যার প্ৰচ্ছদ তৈরি করে দিয়েছেন। পুজো সংখ্যা প্ৰিন্টের পাশাপাশি ডিজিট্যাল মিডিয়া ওয়েব পোৰ্টালের পেজ-এও পড়া যাচ্ছে। তারপর জিতু, বুলবুল, নকুল রায় ঠাহর-এর কলেবর বিকাশে প্ৰচুর সাহায্য করেছে। এখনও করছে। ঠাহরে চরম আৰ্থিক সংকট তো রয়েছেই, তার মধ্যেও নয়া দিল্লি থেকে ন্যাশনাল কনসাল্টিং এডিটার (অবৈতনিক) রত্নজ্যোতি দত্ত, দিল্লি ব্যুরো চিফ সুধৃতি দত্ত,  ‘সংবাদ প্ৰহরী’র সম্পাদক জামানুর বুলবুল, মেঘালের ব্যুরো চিফ ননী গোপাল ঘোষ, উত্তরবঙ্গ থেকে বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় নিরন্তর দেশ বিদেশের খবর দিয়ে পোৰ্টালটিকে সম্বৃদ্ধ করেছেন। অতিমারী করোনা ঠেকাতে লকডাউনের সময় বৰ্ধমান জেলা থেকে দেবাশীষ মুখাৰ্জি নয়া ঠাহর-এর পাঠকদের উপহার দিয়েছেন নিজের লেখা ‘চৈতালী বেলাশেষে..এক বাংলাদেশী মেয়ের গপ্প..’ উনবিংশ পৰ্ব দিয়ে ।   দিনাজপুর থেকে লিখেছেন পল মৈত্ৰ, কলকাতা থেকে লিখেছেন দেব কিশোর চক্ৰবৰ্তী। অসমের বরাক উপত্যকার ব্যুরো চিফ শুভ সুন্দর দেব চৌধুরী সমস্ত খবর দিয়ে পোৰ্টালকে সম্বৃদ্ধ করেছেন । বরপেটা থেকে লিখেছেন সমীর চক্ৰবৰ্তী, হাফলং থেকে নিরন্তর খবর দিয়েছেন সাংবাদিক বন্ধু বিপ্লব দেব। এছাড়াও লামডিং থেকে লেখক আশীষ দে, সাংবাদিক স্বপন দাস,‘নয়া ঠাহর’-এর সহযোগী সম্পাদক জয়শ্ৰী আচাৰ্য, সাংবাদিক তথা লেখিকা সুপৰ্ণা লাহিড়ি বড়ুয়া, মালিগাঁও থেকে সাংবাদিক বন্ধু দেবযানী পাটিকর, পিয়ালি ঘোষ দে বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের খবর, সাক্ষাৎকার দিয়ে পোৰ্টালটিকে আরও সম্বৃদ্ধ করেছেন। এছাড়াও নানা ভাবে উৎসাহ দিয়েছেন দিসপুর প্ৰেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কুঞ্জ মোহন রায়। বৰ্তমানে অতিমারি করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতিকে সাক্ষী রাখতে খুব শীঘ্ৰই ‘নয়া ঠাহর’ গোষ্ঠী একটি বই প্ৰকাশ করতে চলেছে।

সবশেষে একটা কথাই বলবো, বৰ্তমানে আমরা খুবই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। অতিমারি করোনার প্ৰকোপে বিশ্বজুড়ে লক্ষাধিক মানুষের প্ৰাণ গিয়েছে। তারপর দেশবাসী দেখল সুপার সাইক্লোন আমফান। আমফানের ফলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় খেটে খাওয়া কত শত গরীব মানুষের ক্ষতি হয়েছে। আমাদের রাজ্য অসমে বন্যায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলা জলে প্লাবিত হয়েছে। ঘর বাড়ি খুইয়ে হত দরিদ্ৰ মানুষগুলো চরম অস্থিরতা এবং দুৰ্ভোগের মধ্যে দিয়ে দিন রাত কাটাচ্ছে। তারপরও বলবো- পৃথিবী আবার শান্ত হবে। আমাদের এই সমস্ত বাধা বিপত্তিকে উত্তরণ করে এগিয়ে যেতে হবে। করোনা পরবৰ্তীতে আমরা দেখবো এক নতুন সকাল। নিরন্তর পথ চলার নামই জীবন।
এভাবেই আগামী দিনগুলিতেও সকলের শুভেচ্ছা, ইতিবাচক সাড়া নিয়ে আরও বহুমূল্য তথ্য সম্বৃদ্ধ, সমাজ কল্যাণ, সমাজ সংস্কারমূলক খবর পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আশায়.. ...
সবাই ভালো থাকবেন, সুরক্ষিত, সুস্থ এবং আনন্দে থাকবেন।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.