Header Ads

অসমের গুয়াহাটিতে আগামী ১৪ দিনের জন্য সম্পূৰ্ণ লকডাউনের ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্ক, গুয়াহাটি, ২৬ জুনঃ গুয়াহাটিতে ক্ৰমশ বাড়ছে অতিমারি কোভিড আক্ৰান্তের লোকের সংখ্যা। তাই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ফের একবার সম্পূৰ্ণ লকডাউনের পথেই এগোল অসম সরকার। সোমবার থেকে আগামী ১৪ দিনের জন্য সম্পূৰ্ণ লকডাউনের ঘোষণা করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা। মহানগরে প্ৰত্যেক দিনই শতাধিক লোক কোনও ধরনের ট্ৰ্যাভেল হিস্ট্ৰি ছাড়াই কোভিড আক্ৰান্ত ধরা পড়ছে।

 ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
মানুষের জীবন বাঁচাতে সরকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানান তিনি। গত ১৫ জুন থেকে মহানগরে ৭০০ কোভিড আক্ৰান্ত লোকের সংক্ৰমণ ধরা পড়েছে। গত কয়েকদিনে ১০ হাজার ৬১৭ জনের সোয়াব নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছে। শুক্ৰবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরের দিন সকাল ৭ টা পৰ্যন্ত সারা রাজ্যে কাৰ্ফু থাকবে। প্ৰত্যেকদিন এই কাৰ্ফু অনিৰ্দিষ্টকালের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সব সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প প্ৰতিষ্ঠান, মুদির দোকান পাট, শাক সব্জির বাজার হাট বন্ধ থাকবে। শুধু মাত্ৰ খোলা থাকবে ফাৰ্মাসী এবং হাসপাতাল। বন্যার কাজের জন্য গাড়ি খোলা থাকবে। সরকারের অফিসার হোক কাউকেই গাড়ির পাস দেওয়া হবে না জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী। সমস্ত মঠ-মন্দির বন্ধ থাকবে। তবে সেনা পুলিশ, আধা সামরিক, দুৰ্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, সংবাদ মাধ্যম এবং জরুরি পরিষেবা খোলা থাকবে। স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী জানিয়েছেন প্ৰথম ৭ দিন কঠোর ভাবে লকডাউন মানা হবে। তারপর পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবৰ্তীতে কিছু কিছু ক্ষেত্ৰে যেমন শাক সব্জি কিনতে লকডাউন শিথিল করা হবে। কোনও ধরনের ব্যক্তিগত গাড়ি, বাইক চলাচল বন্ধ থাকবে। মৃতদেহ সংকারে ২০ জনের থেকে বেশি ভীড় জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। সীমিত সংখ্যক মানুষ নিয়ে ব্যাঙ্ক পরিষেবা চলবে। এটিএম পরিষেবা চালু থাকবে। যে সব হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে মানুষ আছে একমাত্ৰ সেই সব হোটেলই খোলা থাকবে। 
  
ছবি, সৌঃ আন্তৰ্জাল
রেলওয়ে বোৰ্ড গতকালই সারা দেশে ট্ৰেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে বিশেষ কিছু ট্ৰেন ছাড়া। তাই এখন থেকে  অসমের বাইরে থেকে আসা কোভিড কেস ধীরে ধীরে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বৰ্তমানে গুয়াহাটিতে যে অবস্থা মহানগরে কোভিড আক্ৰান্তের সংখ্যা ক্ৰমশ বেড়ে চলেছে। মহানগরে এখনও ১০ শতাংশ মানুষ বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করছে না, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে না। সন্ধ্যার পর মহানগরের অলি গলিতে সমানে আড্ডা চলছে। যেন কিছুই হয়নি। ফলে কোভিড সংক্ৰমণের সংখ্যা ক্ৰমশ বাড়ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্ৰীর কথায় এইভাবে আক্ৰান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে আগামী চার দিনের মধ্যে মহানগরে হাসপাতালে বিছানা আর অবশিষ্ট থাকবে না। মহানগরের রোগীকে অন্য জেলায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হবে। পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ হবে কেউ কোরোনা আক্ৰান্ত হলে তাকে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে হবে। হাসপাতালে রাখার আর জায়গা থাকবে না।

বৰ্তমানে অসমে ৬৬৪৬ জন করোনা আক্ৰান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৬০.৬৮ শতাংশ সুস্থ হয়েছে। এখন পৰ্যন্ত ৪০৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। কিছু আক্ৰান্ত আইসোলেশনে রয়েছেন। 

করোনার প্ৰকোপ শেষ না হওয়া পৰ্যন্ত প্ৰত্যেক শনিবার এবং রোববার গোটা অসমে লকডাউন অব্যাহত থাকবে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী শৰ্মা। যার নাম দেওয়া হয়েছে উইক এন্ড লকডাউন।





কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.