জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেস আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিলেন রিপুন বরা
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : দেশে করোনা ভাইরাস উদ্ভূত জটিল পরিস্থিতি, মানুষ নিজেদের ঘরে আবদ্ধ, হাট-বাজার, ব্যাবসা-বানিজ্য বন্ধের ফলে শ্রমজীবী গরিব মানুষের দুরবস্থার অন্ত নেই। আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে তেলের দাম কমছে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার ডিজেল, পেট্রোল, এল পি জি-র দাম ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে। তেলের উপর বার বার আবগারি মাশুল বাড়িয়ে, ডিজেল, পেট্রোল এল পি জি-র দাম বাড়িয়ে জন বিরোধী নীতি গ্রহণ করেছে। আজ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি রিপুন বরা সাংবাদিক সম্মেলন করে নানা তথ্যপাতি দিয়ে প্রমাণ করে দেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের বা অশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারাল ৪০ ডলার, তখন প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ছিল ৩৬ টাকা ৮১ পয়সা। ডিজেল ছিল ২৪ টাকা ১৬ পয়সা এবং এল পি জি ছিল ২৬১ টাকা। অথচ এখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম একই বা তার কম থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র প্রতি লিটার পেট্রলে ২৩ টাকা ৭৮ পয়সা এবং প্রতি লিটার ডিজেলে ২৮ টাকা ৩৭ পয়সা রাজস্ব শুল্ক বসিয়ে গরিব আমজনতাকে চূড়ান্ত বিপদে ফেলে দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, গত ৯ দিনে পেট্রোলের অতিরিক্ত দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৩২ পয়সা। ডিজেল বেড়েছে ৪ টাকা ৬৪ পয়সা করে। এখন লিটার পিছু পেট্রোলের দাম হয়েছে ৭৫ টাকা ৭৮ পয়সা। ডিজেল হয়েছে ৭৪ টাকা ০৩ পয়সা এবং এল পি জি হয়েছে ৫৯৩ টাকা। এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি সামগ্রীর দাম বহুগুণ বেড়ে গেছে।
যানবাহনের ভাড়া বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্ন মুখী হওয়া সত্ত্বেও কেন তেলের দাম বাড়ল। এই প্রশ্ন তুলে অবিলম্বে তেলের উপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি জানান। তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেস দল তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এই জটিল পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের এপ্রিল মাসে সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে অর্ধেক মাশুল নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ছিলেন। যতদিন বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকবে ততদিন অর্ধেক মাশুল রাখার দাবি জানালেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী রিপুন বরা।
কোন মন্তব্য নেই