করোনা আতঙ্কে এগিয়ে আসেনি কেউ, বাবার মরদেহ কাঁধে নিল চার কন্যা !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
করোনা ঠেকাতে ভারতজুড়ে চলছে নুষ্ঠানে যোগ দিল না কেউ। যদিও ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারালকডাউন। প্রতি মুহূর্তে বলা হচ্ছে, বাঁচতে হলে একমাত্র অস্ত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। আর সেই সামাজিক দূরত্বের কারণে এবার মৃত্যুর পর এক ব্যক্তির শেষকৃত্য অ যাননি। পরিস্থিতি দেখে তার শেষকৃত্যে এগিয়ে আসে তার চার মেয়ে। তারাই বাবার মরদেহ কাঁধে করে নিয়ে যায় শ্মশানে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার। স্থানীয় সূত্রে খবর, আলিগড়ের নুমাইশ ময়দানের চা-হেলিংয়ের বাসিন্দা ছিলেন বছর ৪৫ এর সঞ্জয় কুমার। পেশা চা বিক্রেতা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে টিবিতে ভুগছিলেন তিনি। অভাবের সংসারে সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনেই কোনও রকমে নিজের রোগ ঠেকাবার চেষ্টা করছিলেন সঞ্জয়। এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে, আর চার মেয়ে অভাবের কারণেই পড়াশোনা ছেড়ে ঘরের কাজ করে।
তবু চরম অভাবের মধ্যেও কারও সাহায্য নেননি সঞ্জয় কুমার। সম্প্রতি তার শরীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু ভারতজুড়ে চলা লকডাউনে সরকারি হাসপাতালেও ওষুধের সঙ্কট তৈরি হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া সম্ভব ছিল না তার পক্ষে। ফলে শেষরক্ষা হয়নি আর। অবশেষে মারা গেলেন তিনি।
কিন্তু আতঙ্ক আর সামাজিক দূরত্ব রক্ষার কারণে তার মৃত্যুর পর সৎকারের কাজেও এগিয়ে আসেনি কেউ। শেষে চার মেয়েই কাঁধে করে বাবার মরদেহ নিয়ে যায় শ্মশানে। সেখানেই হয় শেষকৃত্য !
কোন মন্তব্য নেই