বিজেপি রাজত্বে ৫৬৫টি গন্ডার হত্যা করা হয়েছে, শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তরুণ গগৈয়ের, অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমের বনজ সম্পদ রক্ষা করা হচ্ছে না। গন্ডার থেকে শুরু করে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ক্রমশ ধ্বংসের পথে। এই অভিযোগকে সামনে রেখে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এবং বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যর মধ্যে প্রচন্ড বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ টুইট করে বিজেপি আমলে ৫৬৫ গন্ডার নিহত হয়েছে, কিন্তু বিজেপি সরকার প্রকৃত তথ্য লুকিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বিজেপি এবং কংগ্রেস আমলের তুলনা করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য এই অভিযোগ নস্যাৎ করে আজ বলেন, রোগগ্রস্ত হয়ে এবং নিজেদের মধ্যে ফাইটিং করে এবং বৃদ্ধ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় গন্ডার মারা যায়। তাকে চোরা শিকারিদের দিয়ে হত্যা বলা যাবে না। মৃত্যু এবং হত্যা প্রথক, তাকে গুলিয়ে ফেলা যাবে না। তিনি বলেন মানুষের মত গন্ডারও
মরণশীল, মৃত্যু হবেই। তিনি দাবি করেন, গন্ডার রক্ষা করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কাজিরঙা পবিতরা বন্যার ফলে প্লাবিত হয়েছে। হাইল্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। প্রকৃতি প্রেমী সংগঠন নেচার অভজারভারের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার মেধি ২০০৫ সালের তথ্য জানার অধিকার অনুযায়ী বন বিভাগের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, অসমে মোট কয়টি গন্ডার আছে এবং কয়টি মরেছে। জবাবে বন বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত ৫৬৪টি গন্ডার মারা গেছে। কাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানে ২৪১৩টি গন্ডার আছে। পবিতরা অভয়ারণ্যে আছে ১০২টি, ওরাং রাষ্ট্রীয় উদ্যানে আছে ১০১ টি এবং মানস রাষ্ট্রিয় উদ্যানে আছে ৩৪ টি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ সম্ভবত এই তথ্য তুলে ধরে অভিযোগ করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। কাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের প্রায় ৭০ শতাংশ বন্যার জলে ডুবে গেছে। বন্য জন্তুদের মধ্যে হাহাকার অবস্থা। কাজিরঙা উদ্যান সূত্রে জানা গেছে, এপর্যন্ত একটি গন্ডার, ১৪ টি হরিণ মারা গেছে। ৩৭ নম্বর জাতীয় পথে গাড়ি চাপা পড়ে মারা গেছে ১৩টি হরিণ। যানবাহন চলাচলে গতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ কেউ মানছে না। ৩০০টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে। টাইম কার্ড চালু করে গতি ৪০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ১৪৪ জারি করা হয়েছে তারপরও যানবাহনের চাকায় পৃষ্ট হয়ে পশু মারা
যাচ্ছে। উদ্যানের ২২৩টি বন শিবিরের মধ্যে ১৪৩টি ডুবে গেছে। উদ্যানের বানভাসি অঞ্চল থেকে গন্ডার হরিণ হাতি, বন্য শুকুর প্রভৃতি বন্য জন্তু ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অতিক্রম করে কার্বিআংলং জেলার বুড়া পাহাড়ের উঁচু স্থানে গিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে। সেখানে চোরা শিকারিদের হাতে প্রাণ যায় অনেক পশুর।
মরণশীল, মৃত্যু হবেই। তিনি দাবি করেন, গন্ডার রক্ষা করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কাজিরঙা পবিতরা বন্যার ফলে প্লাবিত হয়েছে। হাইল্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। প্রকৃতি প্রেমী সংগঠন নেচার অভজারভারের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার মেধি ২০০৫ সালের তথ্য জানার অধিকার অনুযায়ী বন বিভাগের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, অসমে মোট কয়টি গন্ডার আছে এবং কয়টি মরেছে। জবাবে বন বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত ৫৬৪টি গন্ডার মারা গেছে। কাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানে ২৪১৩টি গন্ডার আছে। পবিতরা অভয়ারণ্যে আছে ১০২টি, ওরাং রাষ্ট্রীয় উদ্যানে আছে ১০১ টি এবং মানস রাষ্ট্রিয় উদ্যানে আছে ৩৪ টি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ সম্ভবত এই তথ্য তুলে ধরে অভিযোগ করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। কাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের প্রায় ৭০ শতাংশ বন্যার জলে ডুবে গেছে। বন্য জন্তুদের মধ্যে হাহাকার অবস্থা। কাজিরঙা উদ্যান সূত্রে জানা গেছে, এপর্যন্ত একটি গন্ডার, ১৪ টি হরিণ মারা গেছে। ৩৭ নম্বর জাতীয় পথে গাড়ি চাপা পড়ে মারা গেছে ১৩টি হরিণ। যানবাহন চলাচলে গতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ কেউ মানছে না। ৩০০টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে। টাইম কার্ড চালু করে গতি ৪০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ১৪৪ জারি করা হয়েছে তারপরও যানবাহনের চাকায় পৃষ্ট হয়ে পশু মারা
যাচ্ছে। উদ্যানের ২২৩টি বন শিবিরের মধ্যে ১৪৩টি ডুবে গেছে। উদ্যানের বানভাসি অঞ্চল থেকে গন্ডার হরিণ হাতি, বন্য শুকুর প্রভৃতি বন্য জন্তু ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অতিক্রম করে কার্বিআংলং জেলার বুড়া পাহাড়ের উঁচু স্থানে গিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে। সেখানে চোরা শিকারিদের হাতে প্রাণ যায় অনেক পশুর।
কোন মন্তব্য নেই