Header Ads

সাপ্তাহিক টুকরো খবর


আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস পালন শিলচর মেডিক্যাল কলেজে
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, শিলচর : 'মাদকের নেশা নয়, স্বাস্থ্যই হোক জীবনের নতুন প্রত্যাশা'-- আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবসে এমনটাই মন্তব্য করলেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজের Nodal officer , OST center  তথা বিশিষ্ট মস্তিস্করোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রসেনজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের যুবসমাজের একটি বিরাট অংশ আজ মাদকের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই দেশে যুবসমাজের মধ্যে মাদকাসক্তির পরিমাণ সাম্প্রতিক সময়ে আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপে বলা হয়েছে,ভারতে তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতিবছর ৭৫ হাজার লোকের মৃত্যু হয় এবং ৫ লক্ষ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। তাছাড়া ইয়াবা একটি মারাত্মক ক্ষতিকর মাদক। এটি নিয়মিত সেবন করলে মস্তিষ্ক কোষে ভোপামাইন কমে গিয়ে পারকিনসানস রোগ হতে পারে। ইয়াবা মস্তিষ্কের রক্তবাহী সুক্ষ্ম নালিগুলোকে ধ্বংস করে ব্রেইনস্ট্রোক ঘটাতে পারে। আজকের এই দিনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডাঃ ঘোষ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডাঃ সুমন বৈদ্য, ডাঃ অংশুমান বরা সহ অন্যান্যরা।

সানি রায়, পাঁচগ্ৰাম : উত্তর হাইলাকান্দির প্রত্যন্ত গ্ৰামাঞ্চলে গরমের শুরুতেই অহরহ লোডশেডিং এ নাজেহাল গ্ৰামের মানুষ। জানা যায়, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের। বদরপু্র সাব ডিভিশনের অন্তর্গত এলাকায় এরকম লাগামহীন বিদ্যুৎ পরিষেবায় নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এটা বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতি ছাড়া আর কিছুই নয় বলে অভিযোগ সচেতন মহলের। তাছাড়া, অল্প বৃষ্টি হলেই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ছোটোখাটো বাতাস বয়ে গেলেই প্রায় দু-তিন ঘন্টার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া, মিটার রিডিং এর নামে ঘরে বসেই লাগাম ছাড়া বিল তৈরি করে গ্ৰাহকদের হয়রানি বাড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তাই সবমিলিয়ে অতি শীঘ্রই উক্ত এলাকার বিদ্যুৎ ব্যর্থতা ও গাফিলতিকে দুর করে যথোপযুক্ত ভূমিকায় সঠিক পরিষেবা প্রদান করতে আর্জি জানান স্থানীয় জনসাধারণ বলে বিশেষ সূত্রে প্রকাশ।

হাইলাকান্দি : সম্প্রতি, হাইলাকান্দির ডিসির নির্দেশে ঠাণ্ডাপুরে অবস্থিত শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বর শিবমন্দিরের সড়কের পাশে থাকা দানপাত্রের কিছু অংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, আলগাপু্র সেটেলমেন্ট অফিসারের পাঠানো চিঠিতে এএসও(এ) ১/২০০৯-১০/পিটি/২-৪ তারিখ ৬/১/২০২০ ও এএসও (এ) ১/২০০৯-১০/পিটি/তারিখ ১৭/৩/২০২০ উল্লেখিত রেফারেন্সে হাইকোর্টের নির্দেশ উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জনসাধারণের জায়গায় এই দানপাত্রের অংশ ঢুকে পড়েছে। তাই মন্দির কমিটি গত মঙ্গলবার আইনকে সম্মান জানিয়ে দানপাত্রের বেশ কিছু অংশ ভেঙে দেন বলে জানান পরিচালন কমিটির সম্পাদক সুজন ভট্টাচার্য। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, হাইলাকান্দির বিজেপি জেলা সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য, যুবমোর্চা জেলা সভাপতি সুরজ সেন, পরিচালন কমিটির পক্ষে দিব্যজ্যোতি চৌধুরী, শমীন্দ্র পাল সহ অন্যান্যরা।

বদরপু্র : মড়ক লেগেছে গবাদি পশুর। সম্প্রতি বদরপুর বিধানসভা এলাকার প্রতিটি গ্ৰামাঞ্চলে গবাদি পশুর বসন্ত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ফলে মারা গেছে অনেক গবাদি পশু। একদিকে করোনার আতঙ্ক, তার উপর বর্ষাকাল হলো ধানচাষের মুখ্য সময়। এই সময় হাজার হাজার গবাদি পশু বসন্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকরা। বদরপু্র এলাকার চাষী আব্দুল মান্নান, সুবিনয় নাথ প্রমুখরা অভিযোগ করেন, বদরপুরে পশু হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও কোন সুবিধা পাচ্ছেন না কৃষকরা। পশু চিকিৎসা শুধু খাতায় কলমে চলছে। তাছাড়া, বদরপু্র শহর থেকে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার দূরে বগলিগুল অঞ্চলের এই পশু হাসপাতালে দিনের পর দিন ডাক্তাররা অনুপস্থিত থাকেন, নেই কোন ওষুধ। মাত্র একজন চৌকিদার দিয়ে চলছে এই পশু হাসপাতাল। শুধু তাই নয়, বদরপু্র থেকে ডাক্তার ডেকে বাড়িতে আনলে লাগে মোটা অংকের টাকা বলে অভিযোগ করেন তারা। কৃষকদের মতে, তাদের একমাত্র সম্বল এই হালের গরু। ফলে এই গরুগুলো বিনা চিকিৎসায় এভাবে দিনের পর দিন আক্রান্ত হলে কীভাবে পুরো বছরের খোরাক জোগাড় করবেন কৃষকরা? তাই অবিলম্বে তারা বদরপু্র বিধানসভার অন্তর্গত প্রতিটি গ্ৰামে সরকারের তরফ থেকে গবাদি পশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে জেলাশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বলে বিশেষ সূত্রে প্রকাশ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.