Header Ads

"হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেল্থ"


অধ্যাপক প্রশান্ত চক্রবর্তী, কটন বিশ্ববিদ্যালয়, গুয়াহাটি

১৯৯০ সালে পশ্চিমের দেশগুলোতে নয়টি ঘাতক রোগ চিহ্নিত করেছিল~যেগুলো মানবসমাজে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর কারণ। এর মধ্যে চার নম্বরে ছিল বিমর্ষতা, বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন। এই তথ্য জানিয়ে বিশিষ্ট অসমিয়া চিন্তাশীল সাহিত্যকার হোমেন বরগোহাঞি তখন লিখেছিলেন~২০২০ নাগাদ ডিপ্রেশন বিশ্বের দ্বিতীয় মারণরোগ রূপে পরিণত হতে পারে। কেননা, আধুনিক জীবনের মূল অভিশাপ বিরামবিহীন স্ট্রেস~এবং অন্তহীন বিষাদ বা জটিল মনস্তাত্ত্বিক নানা সমস্যা মানুষের শরীর-মনকে ক্রমশ বিধ্বস্ত করে দেবে। (দ্র. সাৰাংশ, পৃ. ২৫৮-৬১)।
করোনা-মহামারির চরম ছোবলে নীল এই পৃথিবীতে এই মুহূর্তে মানসিকভাবেও মানবসমাজ ভয়াবহ আক্রান্ত। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা অনেক আগেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, দুশ্চিন্তা, আতঙ্ক আর বিষাদরোগ কিন্তু একই পরিবারের কাকাত-জ্যেঠাত ভাই-বেরাদরের মতো। একেক সময় একেকটি বাড়ে কমে। আর এই সব কিছুর মূলে একটি পুপুলার ইংরেজি শব্দ~"টেনশন"। বাংলাতে 'টানাপোড়েন' বলে যে-শব্দটি তারই সম্বন্ধী এই 'টেনশন'। এটি এখন আমাদের প্রত্যেকের জীবনসঙ্গী। টেনশনবিহীন লোক খুঁজতে হলে হিমালয়ে যেতে হবে। লোকালয়ে পাওয়া মুশকিল। হিন্দিতে বলে~টেনশন দেনে কি লিয়ে, লেনে কি লিয়ে নেহি। কিন্তু টেনশন আমরা নিতে বাধ্য। পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে, বিশ্বে~সর্বত্র~মনের প্রচণ্ড টানাপোড়েন। চাপ। নিয়ত পিষ্ট হচ্ছে মানুষ। ফলে নিজের চাপ সে অন্যকে দিতে চাইছে। মন যা চায়~তা পাচ্ছে না। অসম দুরন্ত প্রতিযোগিতা~রেট রেস~বা ইঁদুরদৌড়। কবির ভাষায়~"তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই। চপলচরণ মনোহরণ সোনার হরিণ চাই।" কিন্তু প্রাপ্তি তো সহজ নয়। তাই কবির ভাষায়ই~যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই~যা পাই তাহা চাই না। মনের এই যে টালমাটাল অবস্থা~এটার মূলে বহু বহুমুখী কারণ আছে। অতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে সময়। চিন্তা। বোধ। টেকনোলজি। যোগাযোগ। বিনোদন। পরিবার। বিবাহপ্রথা। সামাজিক সম্পর্ক। রাজনীতি। অর্থনীতি। ভোগপণ্য। সমস্ত কিছু। LPG বা লিবালেরাইজেশন, প্রাইভেটাইজেশন, গ্লোবালাইজেশন~ আগাপাশতলা আমাদের সবার জীবন পাল্টে দিয়েছে। যৌথপরিবার এখন সিনেমায় দেখা যায়। জন্মাচ্ছে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি। চরম ব্যস্ততা। ঊর্ধ্বশ্বাস। তীব্র উচ্চাকাঙ্ক্ষা। ভোগ। কাজ, কাজ, কাজ। অর্থ, সম্পদ, প্রতিপত্তি...! কিন্তু এই বৈভব প্রাচুর্য, ক্ষমতা, যশ~কোনো কিছুই মানুষকে শান্তি দিতে পারছে না। সোনার পালঙ্ক কিনেও ঘুম নেই। রাতে অ্যালজোলাম বা জ্যাপিজ খেয়ে ঘুমুতে হচ্ছে। নেট সার্চ করলেই এই তথ্য মিলবে যে~উন্নত রাষ্ট্র বলে শক্তি-অর্থ-টেকনোলজির দম্ভে অহংকারী দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি স্লিপিং ট্যাবলেট বিক্রি হয়। দামি এসি চালিয়ে, দুগ্ধফেনার মতো নরম বিছানায় শুয়েও এপাশ ওপাশ। ঘুম নেই। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রাতভর জ্বলন্ত সিগারেট। নচেৎ~মদের গ্লাসে চুমুক। অর্থ, মান, যশ, প্রতিপত্তি~সব অলীক মায়ার রাতপাখির মতন উড়ে যায় তখন। সব থাকার পরও মানুষ একা। নিঃসঙ্গ। বিষণ্ণ। বিমর্ষ। সব আছে~অথচ জীবনটা ফাঁকা~সুনা সুনা~শূন্যতায় ভরা। জীবনানন্দ নিজেই সারা জীবন ডিপ্রেশনের রোগী ছিলেন~তাঁর এই বিখ্যাত কবিতাটি অনেকেই জানেন~

"
বধূ শুয়ে ছিল পাশে~
শিশুটিও ছিল;
প্রেম ছিল, আশা ছিল~
জ্যোৎস্নায়~
তবুও সে দেখিল
কোন্ ভূত?"
সব আছে~তবুও নিশি ডেকে নিয়ে যায় মানুষকে।
"অর্থ নয়, কীর্তি নয়,
স্বচ্ছলতা নয়~
আরও এক বিপণ্ণ বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের
ভিতরে খেলা করে।"
তাই~
"
কাল রাতে~
ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হলো তার সাধ।"
সব থাকার পরও ডিপ্রেশন থাকে। এবং সেটার চরম পরিণতি~আত্মহত্যা।
এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে~একাকিত্ব। বোরডম। একঘেঁয়েমি। মানুষ নিতে পারছে না। অনেকেই।
জীবনশৈলীর এই ভারসাম্যহীন অবস্থাই আজ কমবেশি আমাদের জীবনকে এক ধার থেকে ঘূণপোকার মতন কুটে কুটে খাচ্ছে। এরই চূড়ান্ত পরিণতি~আত্মহত্যা।
•••

বাবা-মা বা বড় কেউ বকা দিয়েছেন? গাল ফুলিয়ে জ্যেঠিমা, কাকিমা, দিদিমা~কারও কাছে ছুটে যাওয়া যেত। বড়দা, মেজদা, সেজদা~ফুলদা, নদিদি, ছোড়দি~মেজদি~এসব এখন শুধু সাহিত্যে আর সিনেমায় থেকে গেছে। এখন তো বাচ্চাদের কিস্যু বলার উপায় নেই। ফোঁস করে। মা বাবারও পরোয়া করে না। মোবাইল চেয়েছিল। বাবার নুন আনতে পানতা ফুরায় দশা~মেয়ের উৎপাতে বাবা দিয়েছিল থাপ্পড়। মেয়ে সোজা গিয়ে ফাঁস। এই তো গেল বার। অসমের ছয়গাঁওতে। আমার মনে আছে~ছোটবেলা বেদম মার খেয়ে বড় হয়েছি। গরুপিটনও কপালে জুটত। সেই শাসন যে সোহাগমাখা ছিল। আর আজ~বাপের একটা থাপ্পড়~আর সামান্য একটা মোবাইল~সেটা আত্মহত্যার কারণ!!! ঘরে ঘরে অশান্তি। পান থেকে চুন থেকে খসলেই দক্ষযজ্ঞ বা লংকাকাণ্ড। মানুষ হিংস্র হচ্ছে। হতাশা থেকে। সামান্য একটা টুলে বসা নিয়ে বচসা~গুয়াহাটির নুনমাটিতে একটি সদ্য সন্তানের বাবা যুবককে দলবদ্ধভাবে মেরে ফেলল! এই তো দিন দুয়েক আগে। অশান্ত মন। আক্রমণাত্ম মন। মারমুখী মন। সমাজমন। বাড়তে বাড়তে বিপ্লবের নামে খুন। সাম্যবাদের মাওবাদের নামে সন্ত্রাসবাদ। সবই তো মনের কারসাজি!? তাই নয় কি?!
•••

১৯৬৬-এ জেনিভাতে ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশন-এর উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী সম্মেলনে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আত্মহত্যা-বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন~এমন একটা দিনও আসতে পারে~যখন আত্মহত্যা সংক্রামক মহামারীর মতো দেখা দেবে। বিজ্ঞান বলে~পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ জীবনে একবার হলেও আত্মহত্যার চিন্তা করে। যাঁর গান কবিতা শুনে নতুন করে রোজ বাঁচি~সেই স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও বিষাদে ভুগতে ভুগতে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন। জেনিভার ওই সম্মেলনে তথ্য উঠে এসেছিল~প্রতিদিন বিশ্বে গড়ে এক হাজার লোক আত্মহত্যা করে। আর বছরে ত্রিশ লক্ষ। এবং দেড় কোটি লোক আত্মহত্যার কথা ভাবে। তবে চিন ও রাশিয়া তাদের হিসেবটা তখন দেয়নি। আজ এই সংখ্যা কত হবে~অনুমান করুন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে~ওই বছরই ভিয়েনায় "আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সমিতি" গঠন করা হয়। তার সেক্রেটারি ড. ফারবেরোকে জানিয়েছিলেন~ শিল্পসমৃদ্ধ দেশে আত্মহত্যার হার সব চেয়ে বেশি। এবং পরেও গবেষণায় দেখা গেছে~কৃষি ও দারিদ্রপ্রধান সমাজে আত্মহত্যা কম। কেননা~মানুষের যত বৈভব~ততই টেনশন, চাপ উৎকণ্ঠা। লক্ষ করবেন~আগে মানুষ গরিব ছিল~ঘরে ঘরে খেটেখুটে দুবেলা আহার জুটত লোকের,~কিন্তু মনে শান্তি ছিল। এবং তখন আত্মহত্যাচিন্তাটাই পাপের ছিল। যে আত্মহত্যা করত~তাঁকে পাপী বলা হতো। এর কারণ~এই প্রবণতাকে যেন মানুষ ঘৃণা করে~পাপবোধ জাগলে হয়তো এর থেকে সরে আসবে। ধর্মের ধারণা দিয়ে আত্মহত্যামানসিকতাকে ঠেকানো। বিজ্ঞান এসে মনের রহস্য অনেকটাই বিশ্লেষণ করে ফেলেছে। বিষাদ, বিমর্ষতা~আনন্দহীনতা~এর মূলে যে মস্তিষ্কে সেরেটোনিন নামের কেমিক্যাল কমে যাওয়া~এটা পরীক্ষিত সত্য। আত্মহত্যার মূলে যে মূলত হতাশা ও বিষাদ বা ডিপ্রেশন~সেটাও প্রমাণিত। এর পাশাপাশি নানা উপসর্গ। মন ভার, মুড সুইং, অকারণ কান্নার ভাব। চট করে চোখে জল~"আমাকে কেউ বুঝল না"-ভাব। রাগ। রোষপ্রবণতা। বিরক্তি। বিরক্তি বা ইরিটেশন তো রাগের ছোটভাই। বার্টান্ড রাসেল তাঁর জগৎবিখ্যাত বিখ্যাত "কনকোয়েস্ট অব হ্যাপিনেস" নামক বইয়ে 'ইরিটেশন' নামে একটা আলাদা চ্যাপ্টারই করেছেন। এবং বলেছেন~বিরক্তি শব্দটা ছোট হলেও পারিবারিক কোন্দল থেকে দেশে-দেশে যে-যুদ্ধ হয়~সবার মূলেই কিন্তু বিরক্তি। ডিপ্রেশনে যারা ভোগে~তারা দেখবেন খুব বিরক্ত হয়। সামান্য কিছুতেই। ভুগতে ভুগতে এমন দশা হয় যে~কলিং বেলের শব্দে, গাড়ির হর্নে মাথা ফেটে যায় যেন। এর পরের স্তর প্যানিক। অযথা আতঙ্ক। অকারণ ভয়। নার্ভাস ব্রেক ডাউন। গলা শুকিয়ে যায়। খাওয়া কমে যায়। ঘুম কমে যায়। সারাক্ষণ একই চিন্তা। আসলে দুশ্চিন্তা। মন একবার অতীতে~একবার ভবিষ্যতে ঘোরে। "আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম"! বা~"কাল হো না হো"। আর অনবরত নিজেকে দোষারোপ। অথবা জগৎসংসারকে অভিশাপ। নিন্দা। ডিপ্রেসনের এমন এক অধ্যাপিকা রোগীকে দেখছি~দিনরাত অন্যের চরিত্রনিধন করে। সব পুরুষই লম্পট~আর নিজে সে সতী। মনোবিদরা বলেন~এটা একটা তীব্র মেয়েলি প্রবণতা। অনবরত অন্যের চরিত্রহনন। ব্যতিক্রম আছে। তবুও। এর সাথে যুক্ত হয়~ঈর্ষা। মেয়েরা মেয়েদের সবচেয়ে ঈর্ষা করে। এর অন্তরালেও একটা সূক্ষ্ম ডিপ্রেশন কাজ করে। পুরুষদের মারমুখী প্রবণতা বেশি হয়। হুট করে রাগ। দপ করে জ্বলে ওঠা। ডিপ্রেশনের উল্টোটা ম্যানিয়া। অকারণ কাজ, উৎসাহ~ছোটাছুটি। এমনকি যৌনতা। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির জন্য মদ সিগারেট যেমন একটা সহায়ক কারক~যৌনতাও। লক্ষ করা যায়~যারা মনের দিক থেকে অসুখী~তারা প্রেমের নামে যৌনতায় জড়ায়। আজকাল তো নেট খুললেই নানা যৌন-উপাচার। সেসবে আসক্ত হয়। সারা পৃথিবীতে পর্ন সাইটে যারা নিয়মিত ঘোরে~তাদের একটা বিরাট অংশ ডিপ্রেশনের রোগী। দেহমনের সাময়িক শান্তি খোঁজে তারা। এর পাশাপাশি~এমন কাউকে চায়~যাকে সব বলা যায়~যে উজাড় করে ভালোবাসবে। ভালোবাসাহীনতা ডিপ্রেশনের একটা প্রধান কারণ। কথায় বলে~প্রেম আর ভূত সমার্থক। দুটোই ঘাড়ে চাপে~আর দুটোরই কোনো অস্তিত্ব নেই। তবুও শরীরের অতিরিক্ত মনের একটা চাহিদা তিলে তিলে খায়। কিন্তু জীবনের চরম সত্য হলো~সর্বাংশে মনের মানুষ পাওয়া যায় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা লক্ষ করেছেন~শারীরিক ঘামঝরানো আনন্দদায়ক শ্রম ডিপ্রেশন কমায়। এতে সেরেটোনিন বাড়ে। তাই তো হাঁটতে বলা হয়। হাঁটা সবচেয়ে সহজ পরিশ্রম বা ব্যায়াম। চারপাশ দেখতে দেখতে পথ চলা। কিংবা জিম। মোট কথা শরীরের কসরত। কখনও কোনো কাজের মহিলাকে ডিপ্রেশনে ভুগতে দেখেছেন? খুব কম। শ্রমিক চাষি মজুর~সারা দিন খেটেও রাতে চরম সোহাগ করতে পারে। আনন্দ-হরমোন ঝরায়। আমাদের পূর্বজরা তাই কীর্তনের বিধান দিয়েছিলেন। বিরসবদনে কীর্তন হয়? কিংবা নাচ? নাচের শিল্পীরা কম ডিপ্রেশনে ভোগে। যারা ব্যস্ত থাকে, তারা আনন্দে থাকে। কোনো অলসকে কখনও আনন্দে থাকতে দেখেছেন?
•••
আমাদের দেশে শরীরের রোগে আমরা যতটা সচেতন~মনের রোগে কি ততটা? সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোচিকিৎসকের কাছে কয়জন যায়? গেলেও বলে~পাগলের ডাক্তারের কাছে গেছো। অথচ দেহের যেমন ওষুধপত্র, পথ্যি-যত্ন আছে~মনেরও খোরাক চাই। এবং বেশি করে চাই। কেননা মন থেকেই তো বহু রোগের জন্ম। মনের রোগীদের সবচেয়ে ভালো ওষুধ ভালোবাসা। সহমর্মিতা। পরিবারগুলোয় এখন এই ওষুধ কমে গেছে। সমাজেও। বাড়ছে স্বার্থের সম্পর্ক। মানবিক অনুভূতিগুলোও যেন কমে যাচ্ছে। বৃদ্ধাশ্রম-কালচারটি কত দিনের? ছেলেমেয়েরা উড়ে যাচ্ছে বাইরে~আর ফিরছে না। এখন আবাসনবাড়িগুলো তো ক্রমশ বৃদ্ধাশ্রম হয়ে যাচ্ছে। আর ঘরে ঘরে ভুল বিয়ে। অসুখী দাম্পত্য। সুখের অভিনয়। তাই তো তুষের আগুনের মতো বাড়ছে~পরকিয়া,ভার্চুয়াল প্রেম।•••
এই পরিস্থিতিতে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায়~কোনো সত্তাপোষণী আদর্শকেন্দ্রিক জীবন। একটা লাভসেন্টার গড়ে তোলা। যা করলে জীবন ও বৃদ্ধির পথে আনন্দদায়ক অনুভূতি নিত্যদিন জাগে~তার সাথে যুক্ত হওয়া। মস্তিষ্কে সেরেটোনিন বাড়ানোর এর চেয়ে সহজ উপায় আর নেই।
•••

সহায়ক গ্রন্থাবলি :
১. মনের সুখ-অসুখ~অমিত চক্রবর্তী
২. উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-উগ্রতা~অসীম বর্ধন
৩.অবসাদ : এক গোপন মহামারী~ডা. হিরণ্ময় সাহা
৪.মনোবিজ্ঞান ও আমরা~অমরেন্দ্রনাথ বসু
৫. সিগমুন্ড ফ্রয়েড~সম্পাদনা পুষ্পা মিশ্র~এবং মুসায়েরা
৬. মনের বিকার ও প্রতিকার~ডা. ধীরেন্দ্রনাথ নন্দী
৭. টেনশন থেকে মুক্তি~ডা. শ্যামল চক্রবর্তী
৮. মানসিক চাপ জয় করার উপায়~স্বামী গোকুলানন্দ

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.