একটানা বৃষ্টির জেরে বরাক উপত্যকায় ধস নেমে মৃত ২০, ৩০০ গ্রাম জলের তলায়, ২৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট
নয়া ঠাহর
প্রতিবেদন, গুয়াহাটি: একটানা বৃষ্টির জেরে অসমের বরাক উপত্যকার তিন জেলায় ভয়াবহ ধস। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের জেরে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতও হয়েছেন অনেকে। বেশ কিছু বাড়ি-ঘরও ধসের গ্রাসে চলে গিয়েছে। বৃষ্টি না কমলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে অসমের হাইলাকান্দিতে ধস নামে। ধসের গ্রাসে পড়ে মৃত্যু হয় দুই শিশু-সহ ৭ জনের। একটি কাঁচা বাড়িতে ছিলেন তাঁরা। আচমকা ধস নেমে আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও একটানা বৃষ্টির জেরে অসমের করিমগঞ্জে ধস নেমে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কাছার জেলাতেও ধসের কবলে পড়ে মৃত ৭।
অসমের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই একটানা বৃষ্টি চলছে। বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতির জেরে সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে গোয়ালপাড়া জেলায়।
বহু মানুষ ঘরছাড়া। সরকারি ত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। একই পরিস্থিতি নগাঁও ও হজাই জেলাতেও। ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন মানুষ। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, একটানা বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই অসমের প্রায় সাড়ে ৩০০ গ্রাম জলের তলায়। ২৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দিতে ও বাসিন্দাদের সহায়তা করতে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। এরই পাশাপাশি মঙ্গলবার ধসের কবলে পড়ে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা করেছেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই