কোয়ারাইন্টাইনে থাকা বা লকডাউনে বিপদগ্রস্ত মানুষদের অনলাইনে নিখরচায় যাবতীয় পরামর্শ দীপানির সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলরদের
বিপ্লব বৈদ্য, আগরতলা : করোনা ভাইরাসের হঠাৎ আক্রমনে লন্ডভন্ড গোটা দুনিয়া। এই অতিমারীর প্রকোপে গভীর সংকটে পড়েছে মানুষ। প্রতিদিনের কাজের ধারা বদলে যাওয়ায় দিশেহারা অবস্থা মানুষের। একদিকে ভাইরাসের প্রকোপ,
অন্যদিকে রুটি,
রুজিতে টান পড়েছে বেশীরভাগ মানুষের।
অসহ্য মানসিক অবসাদে ভুগছেন বহু মানুষ। এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন -দীপানি এনকোর এলএলপি। পৃথিবীর এই গভীর অসুখের দিনে আমরা আরো বেশী মানুষের কাছে পৌঁছে তাঁদের জীবনের স্বাদ আরো বাড়াতে চাই- এইভাবেই না বললেন দীপানির কর্নধার দীপিকা তরফদার। দীপিকার কথায়, এই সময়ে কিভাবে শিশুদের সামলাবেন অভিভাবকরা,
যুবকরা কিভাবে কাটাবেন ব্যক্তিগত জীবন,
অপ্রত্যাশিতভাবে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে কিভাবে ধরে রাখবেন মনের জোর,
কোয়ারাইন্টাইনে গেলে কিভাবে সামলাবেন নিজেকে? বিপদগ্রস্ত মানুষদের অনলাইনে নিখরচায় যাবতীয় পরামর্শ দেবেন দীপানির সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলররা। পেশায় সাইকোলজিস্ট দীপিকা ছাড়াও রয়েছেন আর সাতজন কাউন্সিলর। দীপানির ৯৮৩১০৬৩৬১৫/ ৯৪৭৭২৩৫১১০ নাম্বারগুলিতে যোগাযোগ করলেই মিলবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট। রুটিন মাফিক কাউন্সিলিং নেবেন সাইকোলজিস্ট অঙ্গিরা চক্রবর্তী দাশগুপ্ত, অপর্না ভট্টাচার্য্য, দেবস্মিতা বসু,
পাপড়ি দাস, ডক্টর শ্রীতমা ঘোষ, তমাল দাশগুপ্ত , চৈতালি ভট্টাচার্য্য ও দীপিকা তরফদাররা। দীপিকা জানালেন, বাংলা, ইংরেজী, হিন্দী ও মারাঠি ভাষায় বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মানুষকে কাউন্সিলিং করতে পারেন তাঁরা। শুধুমাত্র মানসিক অবসাদে ভোগা ব্যক্তিরা নন,
তাঁর পরিবার,
বন্ধু কিংবা প্রতিবেশীদেরও পরামর্শ দেবেন তাঁরা। ২০১৮ সালেই কলকাতায় গড়ে উঠা এই সংস্হা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের,
পথশিশুদের জন্যও কাজ করেন। প্রতিনিয়ত কাউন্সিলিং করান বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকদের। সাবেক স্কুল শিক্ষিকা দীপিকা তরফদারের কথায় ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে একমাত্র ছেলেকে মানুষ করার দায়িত্ব পালন করে সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই ব্যবসায়ী স্বামী অনিন্দ্য তরফদারের উৎসাহে দুজনে গড়ে তুলেছেন দীপানি। দীপানি মানে আলো, অন্ধকার গব্বর থেকে মানুষকে আলোর দিকে নিয়ে যেতে একরোখা দীপিকা-অনিন্দ্যর-দীপানি।
কোন মন্তব্য নেই