Header Ads

চৈতালি বেলা শেষে....এক বাংলাদেশী কন্যের গপ্প অষ্টম পর্ব (৮)

 দেবাশীষ মুখার্জী

মহানগরী কলকাতা...

রানাঘাট থেকে ট্রেনে করে হাওড়া এসে পৌঁছে সেখান থেকে কলকাতায় গিয়ে পৌঁছায় মৌলি...সাথে জমি বাড়ির দালালী করা.... অল্প দিনের চেনা বাসুদা....


বাসুর কলকাতা ভালোই চেনা...মৌলিকে নিয়ে সোজা পোঁছে যায় বাংলাদেশের দূতাবাসে....মায়ের ফিরে যাবার পারমিশনের জন্য বেশ কিছু ফর্ম ফিলাপ করে মৌলি...কিছু ডকুমেন্ট জমা দেয়...কিন্তু আরো কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়...সেদিন সব কাগজ আনা হয়নি তার...তাই আজ আর পারমিশন হয় না...পরের দিন আবার আসতে হবে তাকে এই সব কাজগপত্র নিয়ে....

বাংলাদেশের এম্ব্যাসি থেকে বেরিয়ে একটু এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করার পর বাসুদা মৌলিকে বলে চলো কিছু খেয়ে নিই...
মৌলির খাবার ইচ্ছে ছিলো না...কিন্তু বাসুদা তার কাজেই এসেছে...তাই নিমরাজি হতেই হলো...

বাসুদা মৌলিকে নিয়ে এবার ঢুকলো একটা কেতাদুরস্ত খাবার হোটেলে...

মৌলি আর বাসু একটা টেবিলে গিয়ে বসে...রেস্টুরেন্টের ভিতরটা আলো আঁধারি..চারপাশের টেবিলে কিছু লোকজন বসে আছে...তাদের। মুখগুলো ঠিক ভাবে দেখা যাচ্ছে না...
মৌলি বুঝতে পারে এটা একটা বার...বাসু তাকে বারে এনে ঢুকিয়েছে....

এরপরেই নাটক শুরু...

বাসু মৌলিকে হুইস্কি নেবার জন্য জোরাজুরি করে অনুরোধের সুরে...
কিন্তু মৌলি সটান বাসুর মুখের ওপর না বলে দিয়ে বলে...এটা তো বার...তুমি আমাকে এখানে কেন এনেছো....
বাসু কথা না বাড়িয়ে ফটাফট দু পেগ হুইস্কির অর্ডার দিয়ে দেয়....
মৌলি আড়ষ্ট ভাবে বসে থাকে....
দু পেগ হুইস্কি পেটে পড়ার পর বাসুর আসল রুপ বেরিয়ে আসে...
বাসু মৌলিকে বলে...তোমার রুপ আমার শরীরে আগুন জ্বালায়...কিন্তু আমি বলতে পারিনি এটা তোমাকে...অনেকদিন ধরেই বলবো ভাবছি কিন্তু সুযোগ আসেনি....
বাসুর দুচোখে তখন জ্বলন্ত লালসা....
বাসু মৌলিকে চন্দননগর এর কাছে একটা রিসর্টে যাবার জন্য একটা ডেট ফিক্স করতে বলে...শুধু বলাই নয় বাসু মৌলিকে বলে সেখানে তারা কেবলমাত্র ফুর্তি করতে যাবে...আর মৌলিকে সেখানে নিয়ে গিয়ে সে এতো শারীরিক সুখ দেবে যে মৌলি সেটা কল্পনাতেও ভাবতে পারবে না....
মৌলি বাসুর মুখে এসব শুনে আরো ঘাবড়ে যায়....
বাসু তার মেয়ের বয়সি মৌলিকে বলে...আমার যৌনতা আমার বউ ঠিকভাবে নিতে পারেনা...তুমি পারবে এটা নিতে...তাই তোমাকে ওখানে নিয়ে যেতে চাই...

মৌলির জন্য আসা খাবার কোনমতে মৌলি মুখেচোখে গুঁজে বার থেকে বেরিয়ে আসে...বাসু তখন বেহেড মাতাল....
কোনক্রমে বাসুকে নিয়ে মৌলি রানাঘাটে ফেরে....
সারা রাস্তায় বাসু বকবক করলেও মৌলি চুপ থাকে...
মৌলির মাথায় তখন আগুন জ্বলছে...সে ভাবতে পারছে না তার বাবার বয়সি একজন লোক তাকে এভাবে কি করে বলতে পারে....

বাড়ি ফিরে মাকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে থাকে মৌলি...মা সব শুনে তারপরদিন ডেকে পাঠান বাসুকে...বাসু কিচ্ছু বলে না....মুখ বুজে সব শোনে...
বাসু সবার অলক্ষ্যে মৌলির কাছে এসে ক্ষমা চেয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে চায়....মৌলিও আর চায় না এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি হোক.....সেদিনের মতো ব্যাপারটা মিটে যায় সেখানে....

কিন্তু দূতাবাসের কাজ মিটবে কি ভাবে...মৌলির মায়ের বাংলাদেশ ফিরে যাবার জন্য যে কাগজ তৈরি করাতেই হবে...

অগত্যা আবার মা মেয়েতে নিলয়ের শরণাপন্ন হয়....

নিলয় সেদিন মৌলিদের বাড়ি এসেছে...মৌলির মাকে নিয়ে সে দূতাবাসে যাবে....

দু এক কথার পর নিলয় মৌলিকে বলে চলো কাছের কোন স্টল থেকে কিছু কিনে নিয়ে আসি...

খাবার স্টলে খাবার কিনতে গিয়ে দেখে বাসুও সেখানে খাবার কিনছে...

মৌলিকে দেখতে পেয়ে বাসু বলে...

কি...!!! কেমন আছো...??

মৌলি বলে....ভালো আছি...

বাসু মৌলিকে বলে....মনে আছে তো চন্দননগর এর ওই ব্যাপারটা...যাবো কিন্তু....!!!!

বাসুর কথায় লজ্জায় মাটিতে মিশে যায়...মৌলি

আবার নতুন বিপদ সামনে আসে মৌলির....

নিলয় জানতে চায় মৌলির কাছে....কোথায় যাবার কথা বলছিলো ওই লোকটা...কে ওই লোকটা...চেনো তুমি ওকে..???

চলবে.....

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.