Header Ads

মৌলানা সাদ মরকজ থেকে বেরোতে দেয়নি, জেরায় স্বীকার করল ১৬৬ জামাতি !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
দিল্লী পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ মৌলানা সাদের ছেলে আর তাঁর আত্মীয় সমেত মোট ১৬৬ জন জামাতিদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে। সুত্র অনুযায়ী, বেশীরভাগ জামাতি ক্রাইম ব্রাঞ্চে দেওয়া নিজের বয়ানে স্বীকার করেছে যে, ২০ মার্চের পর মরকজে থাকার জন্য মৌলানা সাদই তাদের বলেছিল।

বেশীরভাগ জামাতি ক্রাইম ব্রাঞ্চকে জানায় যে, তারা মরকজ থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল, কিন্তু মৌলানা সাদ তাদের সেটা করতে দেয়নি। ক্রাইম ব্রাঞ্চের সুত্র অনুযায়ী, মৌলানা সাদ ইচ্ছে করে নিজের করোনা টেস্টও সরকারি হাসপাতাল থেকে করায়নি।
কারণ মৌলানা সাদ জানত যে, সরকারি হাসপাতালে করোনার পরীক্ষা করালে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাত, এমনকি তাকে গ্রেফতারও করতে পারত।
মৌলানা সাদ এটা জানত যে, যতক্ষণ না তার করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট সামনে আসছে, ততক্ষণ ক্রাইম ব্রাঞ্চ মেডিকেল প্রোটোকল অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকতে পারবে না। আর সেই কারণে মৌলানা নিজের আইনজীবীদের মাধ্যমে মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়িয়ে নিজের জন্য প্রমাণ যোগাড় করছিল। মৌলানার লক্ষ্য একটাই ছিল যে, আদালতে ছাপানো ভুয়ো খবর দেখিয়ে নিজের পক্ষ মজবুত করা।
এদিকে  দিল্লী পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ প্রায় ৭০০ জামাতির পাসপোর্ট এবং অন্যান্য কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। দিল্লী পুলিশের সুত্র অনুযায়ী, জামাতিদের উপরে সন্দেহ যে, তারা মিথ্যে বলে ভারতের ভিসা সংগ্রহ করেছিল। এবার তাদের টেবিল হিস্ট্রি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সমস্ত জামাতি ভারতে ট্যুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে এসেছিল আর এরপর নিজামুদ্দিন মরকজে অংশ নিয়েছিল। ভিসার শর্ত লঙ্ঘনের মামলায় ভারত সরকার সাবার ভিসা স্থগিত করেছে আর নির্দেশ দিয়েছে যাতে কেউ দেশের বাইরে না যেতে পারে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মালয়েশিয়ার কয়েকজন মিথ্যে বলে তাদের দেশের স্পেশ্যাল ফ্লাইটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তখনই দিল্লী পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিদেশী আইন আর ভিসা প্রতারণা মামালা দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছে দিল্লী পুলিশ।
অভিযোগ উঠেছিল যে, গোটা বিশ্ব থেকে হাজার হাজার মানুষ নিজামুদ্দিনে আসে, আর সেখান থেকে বেরিয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নিজামুদ্দিন মরকজের প্রধান মৌলানা সাদ এখনো ফেরার। দিল্লী পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এখনো মৌলানা সাদের তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।
কিছুদিন আগে দিল্লী পুলিশ একটি নোটিশের মাধ্যমে এইমস অথবা অন্য কোন সরকারি হাসপাতালে মৌলানা সাদের করোনার টেস্ট করানোর কথা বলেছিল। মৌলানা সাদ সেই নোটিশের জবাবে বলেছিল, তার করোনা টেস্ট হয়ে গেছে আর সে সম্পূর্ণ সুস্থ। সাদ জানিয়েছিল, কোন সরকারি না, প্রাইভেট ল্যাবে তার টেস্ট করানো হয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.